alt

অর্থ-বাণিজ্য

অর্থবছরের ৬ মাস : এক দশকের সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে, যা গত ১০ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

টাকার অঙ্কে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এর পরিমাণ ৬০ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এডিপি বাস্তবায়নের সবশেষ এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এসময়ে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে সেতু বিভাগ।

এডিপি বাস্তবায়নের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর থেকে বাস্তবায়নের এত কম হার আর দেখা যায়নি। ওই অর্থবছরের ছয় মাসে বাস্তবায়নের হার ছিল ২৫ শতাংশ।

এ সময়কালের মধ্যে কোভিড মহামারী শুরুর ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও এর চেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরে স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার জন্য বরাদ্দসহ সরকার মোট ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথমার্ধ শেষে ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।

বাস্তবায়নের ধীরগতি প্রসঙ্গে আইএমইডির এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমিয়ে ডলার সাশ্রয়ে দেশি অর্থায়নের চলমান প্রকল্পে আমদানি অনুৎসাহিত করা হয়। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা হয়। তবে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমদানিতে সমস্যা নেই। এ কারণে বাস্তবায়নের হার কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

বাস্তবায়নের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। সরকারের নিজস্ব তহবিলের প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ২৩ শতাংশ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের ক্ষেত্রে তা মাত্র ২১ শতাংশ।

আইএমইডির আরেকজন কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের উদ্যোগ থাকায় বিদেশি পণ্য আমদানি করতে হয়- এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ঠিক থাকলেও প্রকল্পের অর্থছাড় না হাওয়ার কারণেও বাস্তবায়ন কম দেখানো হয়। সেই রকম কয়েকটি প্রকল্পও আছে বলে তিনি জানান।

আইএমইডি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে সেতু বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৩৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ২৮ শতাংশ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ করেছে ২৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে ২৬ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে ২৫ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় করেছে প্রায় ২৪ শতাংশ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।

সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ ‘ট্রেজারি বন্ড’

আগামী ৯ এপ্রিল থেকে নতুন নোট পাওয়া যাবে

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ আছে

ছবি

চলতি বছর এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ

সূচক উত্থানে শেয়ারবাজার

যশোরের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে বছরে বিক্রি ১৬২ কোটি টাকার পণ্য

ছবি

কার্ডে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন

ছবি

বড় লোকসানে ইনটেক লিমিটেড

ছয় মাসে পারিবারিক খরচ বেড়েছে ১৩ দশমিক ১ শতাংশ

জনপ্রিয়তা বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের

আমদানি পর্যায়ে আগাম কর প্রত্যাহারের দাবি এফবিসিসিআইর

শেয়ারবাজারে সামান্য উত্থান, বেড়েছে সূচক ও লেনদেন

ছবি

জ্বালানি তেলের সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ, দাম বাড়ছেই

ছবি

ভেঙে ছয় টুকরা হচ্ছে চীনের আলিবাবা

ছবি

কর্মীদের বোনাস কম দেবে মেটা

ছবি

লাইসেন্স নেই, অবৈধভাবে তৈরি হচ্ছিল ললিপপ-জুস

ছবি

আমাদের তরুণ উদ্ভাবকেরা শুধু দেশের নয় বিশ্বেরও সমস্যা সমাধান করবে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক

ছবি

২৪ দিনে প্রায় ১৬০ কোটি ডলার পাঠিয়েছে প্রবাসীরা

তারল্য সংকট দূর করতে পুঁজিবাজারে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ দেবে বিএসইসি

শেয়ারদর, সূচক ও লেনদেন সবই কমেছে

‘ব্যাংক কোম্পানি আইন-২০২৩’ সংশোধনী মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

ছবি

বাংলাদেশের ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং’ প্রস্তাবকে স্বাগত মৌরিতানিয়ার

ছবি

২০০ টাকায় ঠেকলো ব্রয়লারের দাম

ছবি

এক পরিবারে ৩ ব্যাংক পরিচালকের বেশি নয়, আইন অনুমোদন

ছবি

পোশাক শ্রমিকদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিজিএমইএর নির্দেশনা

ছবি

২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭ হাজার ৯৩ কোটি টাকা

ছবি

ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নে পাঠানো রেমিটেন্স তোলা যাবে বিকাশ এজেন্ট পয়েন্টে

ছবি

‘কৃষকের বাজার’ পরিধি বাড়িয়ে স্থায়ী করার দাবি

ছবি

রোজায় বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ

ছবি

জানুয়ারিতে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

ছবি

আজ থেকে নতুন সময়সূচিতে অফিস-ব্যাংক

সাত মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে তিন হাজার ৬৯ কোটি টাকার

অননুমোদিত পণ্য বিক্রি করায় ক্যারি ফ্যামেলিকে জরিমানা

শেয়ারবাজারে আস্থা তৈরিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান

ছবি

পদ্মা ব্যাংকে মানুষের আস্থা বাড়ছে : এমডি ও সিইও তারেক রিয়াজ খান

ছবি

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি: বাণিজ্যমন্ত্রী

tab

অর্থ-বাণিজ্য

অর্থবছরের ৬ মাস : এক দশকের সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩

চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে, যা গত ১০ অর্থবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

টাকার অঙ্কে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে এর পরিমাণ ৬০ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এডিপি বাস্তবায়নের সবশেষ এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, এসময়ে সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ অর্থ ব্যয় করেছে সেতু বিভাগ।

এডিপি বাস্তবায়নের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের পর থেকে বাস্তবায়নের এত কম হার আর দেখা যায়নি। ওই অর্থবছরের ছয় মাসে বাস্তবায়নের হার ছিল ২৫ শতাংশ।

এ সময়কালের মধ্যে কোভিড মহামারী শুরুর ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেও এর চেয়ে বেশি ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছিল।

চলতি অর্থবছরে স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার জন্য বরাদ্দসহ সরকার মোট ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন দিয়েছে। এরমধ্যে প্রথমার্ধ শেষে ব্যয় হয়েছে ৬০ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।

বাস্তবায়নের ধীরগতি প্রসঙ্গে আইএমইডির এক কর্মকর্তা বলেন, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় কমিয়ে ডলার সাশ্রয়ে দেশি অর্থায়নের চলমান প্রকল্পে আমদানি অনুৎসাহিত করা হয়। কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা হয়। তবে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমদানিতে সমস্যা নেই। এ কারণে বাস্তবায়নের হার কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে।

বাস্তবায়নের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। সরকারের নিজস্ব তহবিলের প্রকল্পের ক্ষেত্রে এ হার প্রায় ২৩ শতাংশ এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নের ক্ষেত্রে তা মাত্র ২১ শতাংশ।

আইএমইডির আরেকজন কর্মকর্তা জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম থেকেই বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের উদ্যোগ থাকায় বিদেশি পণ্য আমদানি করতে হয়- এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। আবার অনেক সময় প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ঠিক থাকলেও প্রকল্পের অর্থছাড় না হাওয়ার কারণেও বাস্তবায়ন কম দেখানো হয়। সেই রকম কয়েকটি প্রকল্পও আছে বলে তিনি জানান।

আইএমইডি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রাপ্ত ১৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৪৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে সেতু বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রায় ৩৩ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাস্তবায়ন করেছে প্রায় ২৮ শতাংশ, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ করেছে ২৭ শতাংশ, স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়ন করেছে ২৬ শতাংশ, রেলপথ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করেছে ২৫ শতাংশ, কৃষি মন্ত্রণালয় করেছে প্রায় ২৪ শতাংশ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বরাদ্দের মাত্র ২২ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে।

back to top