জাপান বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশে বিশ্ব বাজারের চাহিদার দিক বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের কাইকম এবং জাপানের ওয়াতামি গ্রুপ। জাপানি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা। তিনি বলেন, ‘জাপান সরকার বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো জাপানে দক্ষ মানবসম্পদ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি উইন অংশিদারিত্বের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি বলেন, ‘২০২২ সালে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই বছরই বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু করেছে; যেই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছে জাইকা। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু সেতু, শাহজালাল বিমানবন্দরের সৌন্দর্যবর্ধণসহ নানা প্রকল্পে জাইকা কাজ করছে। পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে জাপান।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাদের এবং ওয়াতামি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও জাপানের সাবক সংসদ সদস্য মিকি ওয়াতানাবে, জেট্রো বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডের (বিওইএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার। অনুষ্ঠানে ছিলেন ১৫টিরও বেশি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধি যারা বহু বছর ধরে বিভিন্ন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন।
ওয়াতামি এজেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুন ওনেদার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কাইকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অঞ্জন দাস। তিনি তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
মূলত এই উদ্যোগটির উদ্দেশ্য হচ্ছে কাইকম ড্রিম স্ট্রিট কোম্পানি লিমিটেড গঠন; যেটি জাপানি কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাংলাদেশি মানবসম্পদ তৈরি করবে। যা টিআইপিটি (প্রযুক্তিগত ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম) এবং এসএসডব্লিউ (নির্দিষ্ট দক্ষ কর্মী) পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই উদ্যোগের ফলে দুদেশের মধ্যে কর্মশক্তির ব্যবধান কমবে এবং পাশাপাশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। অনুষ্ঠানে কাইকম ও ওয়াতামি গ্রুপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
জাপানের একটি বিখ্যাত সফটওয়্যার এবং পরামর্শ পরিষেবা কোম্পানি কাইকম গ্রুপ। যারা বিগত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট সার্টিফিকেশন (জেপিটি) চালু করেছে। মূলত : তারা সার্টিফাইড দক্ষ জাপানি ভাষা শিক্ষার্থী তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
জাপান বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত
শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩
বাংলাদেশে বিশ্ব বাজারের চাহিদার দিক বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের কাইকম এবং জাপানের ওয়াতামি গ্রুপ। জাপানি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে দুই প্রতিষ্ঠানের একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি ইওয়ামা। তিনি বলেন, ‘জাপান সরকার বাংলাদেশ থেকে জনবল নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো জাপানে দক্ষ মানবসম্পদ রপ্তানির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।’
তিনি উইন অংশিদারিত্বের মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি তোমোহিদে ইচিগুচি বলেন, ‘২০২২ সালে জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ছিল। এই বছরই বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু করেছে; যেই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করেছে জাইকা। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু সেতু, শাহজালাল বিমানবন্দরের সৌন্দর্যবর্ধণসহ নানা প্রকল্পে জাইকা কাজ করছে। পারস্পরিক স্বার্থ বজায় রেখে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে জাপান।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুল কাদের এবং ওয়াতামি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও জাপানের সাবক সংসদ সদস্য মিকি ওয়াতানাবে, জেট্রো বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিস লিমিটেডের (বিওইএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার। অনুষ্ঠানে ছিলেন ১৫টিরও বেশি জাপানি কোম্পানির প্রতিনিধি যারা বহু বছর ধরে বিভিন্ন দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে কাজ করছেন।
ওয়াতামি এজেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট জুন ওনেদার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কাইকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অঞ্জন দাস। তিনি তার বক্তব্যে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
মূলত এই উদ্যোগটির উদ্দেশ্য হচ্ছে কাইকম ড্রিম স্ট্রিট কোম্পানি লিমিটেড গঠন; যেটি জাপানি কোম্পানিগুলোর চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ বাংলাদেশি মানবসম্পদ তৈরি করবে। যা টিআইপিটি (প্রযুক্তিগত ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম) এবং এসএসডব্লিউ (নির্দিষ্ট দক্ষ কর্মী) পাঠানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দুই প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, এই উদ্যোগের ফলে দুদেশের মধ্যে কর্মশক্তির ব্যবধান কমবে এবং পাশাপাশি উভয় দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। অনুষ্ঠানে কাইকম ও ওয়াতামি গ্রুপের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।
জাপানের একটি বিখ্যাত সফটওয়্যার এবং পরামর্শ পরিষেবা কোম্পানি কাইকম গ্রুপ। যারা বিগত ৫ বছর ধরে বাংলাদেশে তাদের জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতির প্রসার এবং বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জাপানিজ ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসিয়েন্সি টেস্ট সার্টিফিকেশন (জেপিটি) চালু করেছে। মূলত : তারা সার্টিফাইড দক্ষ জাপানি ভাষা শিক্ষার্থী তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।