দীর্ঘ সময় পর করোনাভাইরাসজনিত কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। মহামারীর কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তাও পূরণ করতে চায় দেশটি। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফেরাতে চায়। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে চীনের বাজারে বিস্তৃতি বাড়ানোর অনুমতি পাচ্ছে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। নিক্কেই এশিয়া। গত বছরের অক্টোবরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস ছিল। সেখানে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সে সময়ই বৈশ্বিক পরিসরে ব্যবসা করে এমন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে ব্যবসার অনুমতির বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়। চীনের ক্ষমতাসীনদের জন্য এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ঘটনা বেশ বিরল। সেইসঙ্গে এটাও ইঙ্গিত দেয় যে চীন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চাইছে।
চীনে ব্যবসা করার জন্য যে বিদেশি কোম্পানিগুলো অনুমোদন পেয়েছে, তার বেশিরভাগই সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতের। চীনে যে খাতটির বাজারের আকার ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহেই জেপি মর্গান চীনের বাজারে থাকা মিউচুয়াল ফান্ড জয়েন্ট ভেঞ্চারকে পুরোপুরি নিজেদের মালিকানায় নিয়েছে। কানাডার প্রতিষ্ঠান ম্যানুলাইফও একই ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। গত নভেম্বরেই চীনে অবস্থিত নিজেদের অংশের সম্পূর্ণ মালিকানা বুঝে নিয়েছে তারা। এছাড়া ফিডেলিটির মতো আরও বেশকিছু সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান খুচরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের কাজ গত নভেম্বর-ডিসেম্বরেই শুরু করেছে। চলতি মাসে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্ক্রডার্স সম্পূর্ণ নিজস্ব মালিকানায় চীনে মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি খোলার প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছে।
এসব অনুমোদন এক অর্থে চীনের অর্থনৈতিক খাতের বিকাশের বা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়। ২০২০ সালে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের পরিমাণ ৫১ শতাংশে বেঁধে দেয়ার নিয়মটি তুলে নেয়া হয়। এ নিয়ম ওঠে যাওয়ার পর ব্ল্যাকরক নামে একটি বিদেশি কোম্পানি প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিজস্ব মালিকানায় চীনে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু এরপরই জিরো কভিড নীতিমালায় কঠোর হতে শুরু করে চীন। যার কারণে অনেক বিদেশি কোম্পানি অনুমোদন চাইলেও তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এ কার্যক্রম গতি পেয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশি কোম্পানি সাংহাইতেই অফিস খুলে কাজ শুরু করেছে।
শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
দীর্ঘ সময় পর করোনাভাইরাসজনিত কঠোর বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে চীন। মহামারীর কারণে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে তাও পূরণ করতে চায় দেশটি। সেইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ফেরাতে চায়। এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন সরকার। এরই অংশ হিসেবে চীনের বাজারে বিস্তৃতি বাড়ানোর অনুমতি পাচ্ছে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। নিক্কেই এশিয়া। গত বছরের অক্টোবরে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির জাতীয় কংগ্রেস ছিল। সেখানে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সে সময়ই বৈশ্বিক পরিসরে ব্যবসা করে এমন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনে ব্যবসার অনুমতির বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু হয়। চীনের ক্ষমতাসীনদের জন্য এ ধরনের অনুমতি দেয়ার ঘটনা বেশ বিরল। সেইসঙ্গে এটাও ইঙ্গিত দেয় যে চীন বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে চাইছে।
চীনে ব্যবসা করার জন্য যে বিদেশি কোম্পানিগুলো অনুমোদন পেয়েছে, তার বেশিরভাগই সম্পদ ব্যবস্থাপনা খাতের। চীনে যে খাতটির বাজারের আকার ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহেই জেপি মর্গান চীনের বাজারে থাকা মিউচুয়াল ফান্ড জয়েন্ট ভেঞ্চারকে পুরোপুরি নিজেদের মালিকানায় নিয়েছে। কানাডার প্রতিষ্ঠান ম্যানুলাইফও একই ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। গত নভেম্বরেই চীনে অবস্থিত নিজেদের অংশের সম্পূর্ণ মালিকানা বুঝে নিয়েছে তারা। এছাড়া ফিডেলিটির মতো আরও বেশকিছু সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান খুচরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহের কাজ গত নভেম্বর-ডিসেম্বরেই শুরু করেছে। চলতি মাসে যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্ক্রডার্স সম্পূর্ণ নিজস্ব মালিকানায় চীনে মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি খোলার প্রাথমিক অনুমতি পেয়েছে।
এসব অনুমোদন এক অর্থে চীনের অর্থনৈতিক খাতের বিকাশের বা পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়। ২০২০ সালে বিদেশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানার ক্ষেত্রে অংশীদারত্বের পরিমাণ ৫১ শতাংশে বেঁধে দেয়ার নিয়মটি তুলে নেয়া হয়। এ নিয়ম ওঠে যাওয়ার পর ব্ল্যাকরক নামে একটি বিদেশি কোম্পানি প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিজস্ব মালিকানায় চীনে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু এরপরই জিরো কভিড নীতিমালায় কঠোর হতে শুরু করে চীন। যার কারণে অনেক বিদেশি কোম্পানি অনুমোদন চাইলেও তাদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর এ কার্যক্রম গতি পেয়েছে। বেশিরভাগ বিদেশি কোম্পানি সাংহাইতেই অফিস খুলে কাজ শুরু করেছে।