পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ দাম আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আজ (৩১ জানুয়ারি) এটি প্রচার করা হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসেই গত ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘন্টা) গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেটি জানুয়ারি থেকেই কার্যকর করা হয়। এবার ফেব্রুয়ারি থেকে গড়ে আরো পাঁচ শতাংশ দাম বাড়ানো হলো।
১৯ দিনের মাথায় আবারও ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ‘এটা নতুন করে বাড়ানো নয়, আগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’
জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৩নং আইন) এর ধারা অনুযায়ী ‘ভর্তুকি সমন্বয়ের’ লক্ষ্যে ‘জনস্বার্থে’ ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে৷
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬২ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬২ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বেড়ে ১০ টাকা ৯৬ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১২ টাকা ০৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৬৩ পয়সা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে পাইকারি দামের বিষয়ে বলা হয়, ‘সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ অনুযায়ী ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) কর্তৃক বিভিন্ন বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে নিতে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস করা হয়।
গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১ বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম আবার বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এ দাম আগামীকাল ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। গতকাল সোমবার (৩০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। আজ (৩১ জানুয়ারি) এটি প্রচার করা হয়েছে।
এর আগে চলতি মাসেই গত ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট/ঘন্টা) গড়ে পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেটি জানুয়ারি থেকেই কার্যকর করা হয়। এবার ফেব্রুয়ারি থেকে গড়ে আরো পাঁচ শতাংশ দাম বাড়ানো হলো।
১৯ দিনের মাথায় আবারও ৫ শতাংশ দাম বাড়ানোর বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, ‘এটা নতুন করে বাড়ানো নয়, আগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনটি সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।’
জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ (২০০৩ সনের ১৩নং আইন) এর ধারা অনুযায়ী ‘ভর্তুকি সমন্বয়ের’ লক্ষ্যে ‘জনস্বার্থে’ ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে৷
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবাসিক গ্রাহকদের মধ্যে ৫০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারী লাইফলাইন গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম ইউনিটপ্রতি ৩ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ১৪ পয়সা, শূন্য থেকে ৭৫ ইউনিট ব্যবহারকারীর বিদ্যুতের দাম ৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৪ টাকা ৬২ পয়সা এবং ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ১ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৩১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ২০১ থেকে ৩০০ ইউনিট ব্যবহারকারীদের ৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৬ টাকা ৬২ পয়সা, ৩০১ থেকে ৪০০ ইউনিটের জন্য ৬ টাকা ৬৬ পয়সা থেকে বেড়ে ৬ টাকা ৯৯ পয়সা, ৪০১ থেকে ৬০০ ইউনিটের জন্য ১০ টাকা ৪৫ পয়সা থেকে বেড়ে ১০ টাকা ৯৬ পয়সা এবং ৬০০ ইউনিটের ওপরে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল ১২ টাকা ০৩ পয়সা থেকে বেড়ে ১২ টাকা ৬৩ পয়সা করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে পাইকারি দামের বিষয়ে বলা হয়, ‘সরকার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ অনুযায়ী ভর্তুকি সমন্বয়ের লক্ষ্যে জনস্বার্থে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বাবিউবো) কর্তৃক বিভিন্ন বিতরণ সংস্থা বা কোম্পানিকে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের পাইকারি (বাল্ক) মূল্যহার পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) পাশ কাটিয়ে নির্বাহী আদেশে বাড়ানো হলো বিদ্যুতের দাম। দাম বাড়ানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে নিতে সম্প্রতি জাতীয় সংসদে একটি আইন পাস করা হয়।
গত ১৪ বছরে এ নিয়ে ১১ বারের মতো গ্রাহক পর্যায়ে বাড়ল বিদ্যুতের দাম।