বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফের বোর্ড সভা। এই ঋণ মঞ্জুরির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে গত নভেম্বরে ঢাকায় কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ। সেই ঋণচুক্তির শর্তসহ খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। গত সোমবার বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ওয়াশিংটনে ইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় ওঠে এবং অনুমোদন পায়।
এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিল যে, আইএমএফ হয়তো আমাদের এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল। তাই আইএমএফ এই ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকবে। এই ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।’
বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের যে ঋণ চেয়েছে, এরমধ্যে তিন ধরনের ঋণ রয়েছে। এগুলো হলো- বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)। ইসিএফ ও ইএফএফ থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। আরএসএফ থেকে পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। এই ঋণ পাওয়া যাবে ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফের বোর্ড সভা। এই ঋণ মঞ্জুরির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতার প্রকাশ ঘটেছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে গত নভেম্বরে ঢাকায় কর্মকর্তা পর্যায়ের বৈঠকে প্রাথমিক সমঝোতায় পৌঁছায় আইএমএফ। সেই ঋণচুক্তির শর্তসহ খুঁটিনাটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেন আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ। গত সোমবার বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ওয়াশিংটনে ইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় ওঠে এবং অনুমোদন পায়।
এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ এবং মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যারা এই ঋণ প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন, তাদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই সন্দেহ পোষণ করেছিল যে, আইএমএফ হয়তো আমাদের এই ঋণ দেবে না। তারা ভেবেছিল আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ দুর্বল। তাই আইএমএফ এই ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকবে। এই ঋণ অনুমোদনের মাধ্যমে এও প্রমাণিত হলো যে, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির মৌলিক এলাকাসমূহ শক্ত ভিতের ওপরে দাঁড়িয়ে আছে এবং অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো।’
বাংলাদেশ আইএমএফ থেকে ৪৭০ কোটি ডলারের যে ঋণ চেয়েছে, এরমধ্যে তিন ধরনের ঋণ রয়েছে। এগুলো হলো- বর্ধিত ঋণ সহায়তা (ইসিএফ), বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) ও রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ)। ইসিএফ ও ইএফএফ থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। আরএসএফ থেকে পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। এই ঋণ পাওয়া যাবে ৪২ মাসে সাত কিস্তিতে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ।