alt

অর্থ-বাণিজ্য

যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়ন সম্ভব

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়ন সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস যৌথভাবে আয়োজিত ‘ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য স্থানীয় মুদ্রায় করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ কাজে লাগিয়ে এ দেশে একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। তিনি জানান, দুই দেশের রেল যোগাযোগ উন্নয়নে যমুনা রেল সেতু স্থাপনসহ বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে প্রভৃত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে সহজতর করবে। তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পাশাপাশি অন্য প্রদেশে বিনিয়োগ ও পণ্য রপ্তানিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ হতে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আরোপিত এন্টি-ডাম্পিং ডিউটির ফলে আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন, যা নিরসনে ভারত সরকারকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণের ওপর জোররোপ করেন ড. মসিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ২০২২ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শুল্ক বহির্ভূত যোগাযোগ অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বিশ^ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করো হয়েছে, দেশ দুটোর যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় আয় যথাক্রমে ১৭% ও ৮% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, দুটো দেশের রয়েছে পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম সীমান্ত, এমতাবস্থায় সীমান্ত এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হলে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যারিস্টার সাত্তার বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের যোগাযোগের উন্নয়নে দুই দেশের আঞ্চলিক বাজার ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ভারতীয় উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে এগ্রো-প্রসেসিং, টেক্সটাইল, অটোমোবাইল, তথ্য-প্রযুক্তি ও সেবা প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি জানান, গত এক দশকে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং প্রস্তাবিত ‘সেপা’ চুক্তির বাস্তাবয়ন হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় আরো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে। হাইকমিশনার বলেন, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসকল্পে আধুনিক সড়ক, রেল ও নদী পথের যোগাযোগ এবং অবকাঠামো খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং বর্তমানে ৭টি ‘ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন’ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে, যা সম্পন্ন হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সহজতর হবে। তিনি জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৭টি স্থানে ‘বর্ডার-হাট’ পরিচালনার মাধ্যম স্থানীয় উদ্যোক্তারা সহজেই পণ্য রপ্তানিতে সক্ষম হয়েছেন এবং সামনের দিনগুলোতে বর্ডার হাট কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অন্য দেশে পণ্য রপ্তানিতে কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। সেমিনারে বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ হয়ে থাকে স্থলবন্দরের মাধ্যমে এবং এক্ষেত্রে বেনাপল-পেট্রোপল বন্দরের ব্যবহারের হার প্রায় ৭০%।

মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গত ৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ৩ বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এছাড়া বাংলাদেশের রেলওয়ে খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত সরকার বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার সুফল শীঘ্রই কাজে আসবে। সেইসঙ্গে বলা হয়, প্রস্তাবিত ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ পাইপলাইন’ এর কার্যক্রম চালু হলে প্রতিবছর প্রায় ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল পরিবহন সক্ষম হবে, যেটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

ছবি

সরকার পতনের পরও রিজার্ভ সংকট কাটেনি, এখনও ২০ বিলিয়নের নিচে

ছবি

আইএটিএ সদস্যপদ পেল এয়ার এ্যাস্ট্রা 

ছবি

কমওয়ার্ড ২০২৪ এ ১৬টি পুরস্কার জিতেছে বিকাশ

ছবি

সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা সাইনোভিয়া ফার্মা কর্তৃপক্ষের

ছবি

সূচকের বড় পতনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১২ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি

তামাকের ক্ষতিহ্রাস পণ্যের নিয়ন্ত্রণে যুক্তিসংগত নীতিমালা চায় বেন্ডস্টা

ছবি

গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি – সব বিল পেমেন্টে ‘ভরসা বিকাশ’

ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অমিত শাহর সফর বাতিল, বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধা সীমিত: সপ্তাহে একদিন নিলামের নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি

টেকনাফে আরও ২০০ টন পেঁয়াজের কার্গো জাহাজ ভিড়েছে

ছবি

পেট্রাপোলের টার্মিনাল উদ্বোধনে অমিত শাহ আসছেন না, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

বন্যা ও মজুদদারির কারসাজিতে চালের দাম বৃদ্ধি, শুল্ক কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল করার উদ্যোগ

ছবি

আইসিসি বাংলাদেশের আয়োজনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা

ছবি

ডিবির সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক হ্রাস, এনবিআরের নতুন পদক্ষেপ

ছবি

বিদেশি ঋণ ছাড়ে ৩৪ শতাংশ পতন, ঋণ পরিশোধে শীর্ষে বাংলাদেশ

ছবি

পর্ষদ বাতিল করে বিজিএমইএ-তে প্রশাসক বসাল সরকার

ছবি

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় ৯ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি আটাবের

ছবি

শ্রমিক অসন্তোষ: ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ক্ষতির কথা জানাল বিজিএমইএ

পণ্যের ‘যে দাম! না খেয়ে মরণ লাগবো’

ছবি

তেজগাঁওয়ে ডিম বিক্রি শুরু, ব্যবসায়ীদের লোকসানের অভিযোগ

ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে : বিশ্বব্যাংক

ছবি

ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ছবি

বাংলাদেশের এমএসএমই সেক্টরকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রিয়শপ

ছবি

রিয়েলমি ১২ এর প্রি-অর্ডার ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

ছবি

বাজারে আসুস আরওজি সিরিজের নতুন গেমিং মনিটর

ছবি

ব্যাংক আমানত কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা, গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ

মাত্র দুই মাস সময় দিয়েই সরকারকে ব্যর্থ বলা যায় কিনা, প্রশ্ন বাণিজ্য উপদেষ্টার

ছবি

ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত

ছবি

মেট্রোরেলের একক টিকিট ফেরত না দেওয়ায় সঙ্কট: যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ

ছবি

পাঠাও ফেস্টে গোল্ড জিতে নেয়ার সুযোগ

ছবি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: আগামীকাল থেকে ওএমএসে সবজি বিক্রি করবে কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর

৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

tab

অর্থ-বাণিজ্য

যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়ন সম্ভব

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের অধিকতর উন্নয়ন সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস যৌথভাবে আয়োজিত ‘ভারত ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগাতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য স্থানীয় মুদ্রায় করা যেতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ কাজে লাগিয়ে এ দেশে একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। তিনি জানান, দুই দেশের রেল যোগাযোগ উন্নয়নে যমুনা রেল সেতু স্থাপনসহ বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যা সম্পন্ন হলে যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে প্রভৃত উন্নয়ন পরিলক্ষিত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে সহজতর করবে। তিনি ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের পাশাপাশি অন্য প্রদেশে বিনিয়োগ ও পণ্য রপ্তানিতে মনোযোগী হওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ হতে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আরোপিত এন্টি-ডাম্পিং ডিউটির ফলে আমাদের স্থানীয় উদ্যোক্তারা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন, যা নিরসনে ভারত সরকারকে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট প্রক্রিয়া আরও সহজীকরণের ওপর জোররোপ করেন ড. মসিউর রহমান।

অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ২০২২ অর্থবছরে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং শুল্ক বহির্ভূত যোগাযোগ অবকাঠামোর প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বিশ^ব্যাংক প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করো হয়েছে, দেশ দুটোর যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় আয় যথাক্রমে ১৭% ও ৮% বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জানান, দুটো দেশের রয়েছে পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম সীমান্ত, এমতাবস্থায় সীমান্ত এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হলে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। ব্যারিস্টার সাত্তার বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশের যোগাযোগের উন্নয়নে দুই দেশের আঞ্চলিক বাজার ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ভারতীয় উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং বাংলাদেশের বিনিয়োগ সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে এগ্রো-প্রসেসিং, টেক্সটাইল, অটোমোবাইল, তথ্য-প্রযুক্তি ও সেবা প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সেমিনারে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি জানান, গত এক দশকে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে এবং প্রস্তাবিত ‘সেপা’ চুক্তির বাস্তাবয়ন হলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থায় আরো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হবে। হাইকমিশনার বলেন, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসকল্পে আধুনিক সড়ক, রেল ও নদী পথের যোগাযোগ এবং অবকাঠামো খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এবং বর্তমানে ৭টি ‘ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন’ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ চলছে, যা সম্পন্ন হলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আরও সহজতর হবে। তিনি জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৭টি স্থানে ‘বর্ডার-হাট’ পরিচালনার মাধ্যম স্থানীয় উদ্যোক্তারা সহজেই পণ্য রপ্তানিতে সক্ষম হয়েছেন এবং সামনের দিনগুলোতে বর্ডার হাট কার্যক্রম আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা অন্য দেশে পণ্য রপ্তানিতে কলকাতা ও দিল্লি বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে। সেমিনারে বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তারা বলেন, দুই দেশের মোট বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ হয়ে থাকে স্থলবন্দরের মাধ্যমে এবং এক্ষেত্রে বেনাপল-পেট্রোপল বন্দরের ব্যবহারের হার প্রায় ৭০%।

মূল প্রবন্ধে জানানো হয়, গত ৫ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গত ৩ বছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি দ্বিগুণ হয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। এছাড়া বাংলাদেশের রেলওয়ে খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভারত সরকার বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যার সুফল শীঘ্রই কাজে আসবে। সেইসঙ্গে বলা হয়, প্রস্তাবিত ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ পাইপলাইন’ এর কার্যক্রম চালু হলে প্রতিবছর প্রায় ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন ডিজেল পরিবহন সক্ষম হবে, যেটি বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

back to top