alt

অর্থ-বাণিজ্য

শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন পুরণ করবে ‘স্বপ্ননীড়’

মোস্তাফিজুর রহমান : রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের আবাসন নিশ্চিতে ‘স্বপ্ননীড়’ নামে নতুন একটি প্রোডাক্ট চালু করেছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)।

‘স্বপ্ননীড়’ এর আওতায় একক ও গ্রুপ ভিত্তিক ঋণ/বিনিয়োগ করা হবে। ১০০০ বর্গফুট (কম-বেশি) আবাসন নির্মাণে সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন একজন গ্রাহক। তবে গ্রুপে আবাসন নিমার্ণে প্রতিজন পাবেন সর্বোচ্চ সাড়ে ১৯ লাখ টাকা করে।

বিএইচবিএফসি জানায়, নতুন এই প্রোডাক্টের জন্য সুদের হার/মুনাফা হচ্ছে- ঢাকা ও চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৮ শতাংশ হবে। এই ঋণ পেতে গ্রাহকের ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ইক্যুইটি (ঋণ/বিনিয়োগ) হচ্ছে ৯০:১০। সম্ভাব্য কিস্তি (প্রতি লক্ষ টাকায়) হবে- ৭৭১.২০ টাকা (বার্ষিক ৮% হারে) ও ৮৩৯.২০ টাকা (বার্ষিক ৯% হারে)।

‘স্বপ্ননীড়’ এর আওতায় পড়বেন নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীরা। বিশেষত, সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্য কর্মী (চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব এসিন্টেন্টসহ অন্যান্য কর্মচারী) এবং বিভিন্ন দফতরে কর্মরত নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।

গৃহ নির্মাণে ঋণ ও বিনিয়োগ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা বিএইচবিএফসি দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আবাসন নির্মাণে কাজ করছে। সহজ শর্ত ও দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেয় এ সংস্থা। স্বপ্ননীড় বিএইচবিএফসি'র ১২তম ঋণ ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট। প্রডাক্টটির অন্যান্য শর্তের বিষয়ে জানানো হয়, চাকরীকাল ন্যূনতম ৫ বছর হতে হবে; কনভেনশনাল/ইসলামী শরিয়াহ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ও এ প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করা হবে।

এছাড়াও একক ক্ষেত্রে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবৃতাংশ বিবেচনায় ১ম তলা ও ২য় তলায় (১০০০ বর্গফুট) ব্যতীত অন্যান্য তলার জন্য প্রয়োজনে বিএইচএফসি’র অন্যান্য প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ নিতে পারবেন; ভূমির সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি তলা/বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সিলিং গ্রহণ করতে পারবেন; দেশের সকল এলাকায় এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা হবে।

আজ রোববার দুপুরে বিএইচবিএফসি’র প্রধান কার্যালয়ে এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএইচবিএফসি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ বর্মণ। বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএইচবিএফসি’র অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, উর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

https://sangbad.net.bd/images/2023/March/19Mar23/news/Capture.JPG

বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘৭ থেকে ৯ শতাংশ এতো কম সুদে আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিতে পারে না যেটি আমরা দিচ্ছি। আমাদের ১১টি প্রোডাক্ট চলমান রয়েছে। তার মধ্যে নতুন এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি বিশেষ। আশা করি অন্যান্য প্রোডাক্টের তোলনায় এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে।’ এসময় স্বপ্ননীড় অর্থায়ন ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনাসহ এর সুবিধাসমুহ তোলে ধরেন।

বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের জন্য ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার মতো একটি প্রোডাক্ট। সমাজের বিশেষ শ্রেণি-পেশার বৃহৎ এক জনগোষ্ঠী সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ আবাসিক গৃহ নির্মাণে এ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করে ব্যপকভাবে উপকৃত হবে। আশা করি, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার পুরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই প্রোডাক্ট।’ এসময় ৮ লাখ নিম্ন আয়ের চাকরীজীবী রয়েছে জানিয়ে তাদের কাছে প্রোডাক্ট পৌছে দিতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মরত নিম্ন আয়ের চাকুরিজীবীদের স্বপ্নের গৃহ নির্মাণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’ এসময় কৃষিজমি রক্ষায় শুধুমাত্র গ্রুপ ভিত্তিক প্রোডাক্ট চালু করার জন্য বিএইচবিএফসি’র সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসন পুরণ করবে ‘স্বপ্ননীড়’

মোস্তাফিজুর রহমান

রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩

শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের আবাসন নিশ্চিতে ‘স্বপ্ননীড়’ নামে নতুন একটি প্রোডাক্ট চালু করেছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন (বিএইচবিএফসি)।

‘স্বপ্ননীড়’ এর আওতায় একক ও গ্রুপ ভিত্তিক ঋণ/বিনিয়োগ করা হবে। ১০০০ বর্গফুট (কম-বেশি) আবাসন নির্মাণে সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন একজন গ্রাহক। তবে গ্রুপে আবাসন নিমার্ণে প্রতিজন পাবেন সর্বোচ্চ সাড়ে ১৯ লাখ টাকা করে।

বিএইচবিএফসি জানায়, নতুন এই প্রোডাক্টের জন্য সুদের হার/মুনাফা হচ্ছে- ঢাকা ও চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকার জন্য ৮ শতাংশ হবে। এই ঋণ পেতে গ্রাহকের ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ইক্যুইটি (ঋণ/বিনিয়োগ) হচ্ছে ৯০:১০। সম্ভাব্য কিস্তি (প্রতি লক্ষ টাকায়) হবে- ৭৭১.২০ টাকা (বার্ষিক ৮% হারে) ও ৮৩৯.২০ টাকা (বার্ষিক ৯% হারে)।

‘স্বপ্ননীড়’ এর আওতায় পড়বেন নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীরা। বিশেষত, সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্য কর্মী (চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব এসিন্টেন্টসহ অন্যান্য কর্মচারী) এবং বিভিন্ন দফতরে কর্মরত নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।

গৃহ নির্মাণে ঋণ ও বিনিয়োগ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা বিএইচবিএফসি দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আবাসন নির্মাণে কাজ করছে। সহজ শর্ত ও দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেয় এ সংস্থা। স্বপ্ননীড় বিএইচবিএফসি'র ১২তম ঋণ ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট। প্রডাক্টটির অন্যান্য শর্তের বিষয়ে জানানো হয়, চাকরীকাল ন্যূনতম ৫ বছর হতে হবে; কনভেনশনাল/ইসলামী শরিয়াহ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ও এ প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করা হবে।

এছাড়াও একক ক্ষেত্রে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবৃতাংশ বিবেচনায় ১ম তলা ও ২য় তলায় (১০০০ বর্গফুট) ব্যতীত অন্যান্য তলার জন্য প্রয়োজনে বিএইচএফসি’র অন্যান্য প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ নিতে পারবেন; ভূমির সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি তলা/বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সিলিং গ্রহণ করতে পারবেন; দেশের সকল এলাকায় এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা হবে।

আজ রোববার দুপুরে বিএইচবিএফসি’র প্রধান কার্যালয়ে এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএইচবিএফসি’র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ বর্মণ। বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএইচবিএফসি’র অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, উর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

https://sangbad.net.bd/images/2023/March/19Mar23/news/Capture.JPG

বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘৭ থেকে ৯ শতাংশ এতো কম সুদে আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিতে পারে না যেটি আমরা দিচ্ছি। আমাদের ১১টি প্রোডাক্ট চলমান রয়েছে। তার মধ্যে নতুন এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি বিশেষ। আশা করি অন্যান্য প্রোডাক্টের তোলনায় এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে।’ এসময় স্বপ্ননীড় অর্থায়ন ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনাসহ এর সুবিধাসমুহ তোলে ধরেন।

বিএইচবিএফসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের জন্য ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে দেয়ার মতো একটি প্রোডাক্ট। সমাজের বিশেষ শ্রেণি-পেশার বৃহৎ এক জনগোষ্ঠী সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ আবাসিক গৃহ নির্মাণে এ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করে ব্যপকভাবে উপকৃত হবে। আশা করি, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার পুরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই প্রোডাক্ট।’ এসময় ৮ লাখ নিম্ন আয়ের চাকরীজীবী রয়েছে জানিয়ে তাদের কাছে প্রোডাক্ট পৌছে দিতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরে কর্মরত নিম্ন আয়ের চাকুরিজীবীদের স্বপ্নের গৃহ নির্মাণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’ এসময় কৃষিজমি রক্ষায় শুধুমাত্র গ্রুপ ভিত্তিক প্রোডাক্ট চালু করার জন্য বিএইচবিএফসি’র সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।

back to top