শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের আবাসন নিশ্চিতে ‘স্বপ্ননীড়’ নামে একটি প্রোডাক্ট চালু করেছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। নতুন এই প্রোডাক্টের আওতায় একক ও গ্রুপভিত্তিক ঋণ বা বিনিয়োগ করা হবে। ১০০০ বর্গফুট (কম-বেশি) আবাসন নির্মাণে সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন একজন গ্রাহক। তবে গ্রুপে আবাসন নির্মাণে প্রতিজন পাবেন সর্বোচ্চ সাড়ে ১৯ লাখ টাকা করে।
রোববার (১৯ মার্চ) বিএইচবিএফসির প্রধান কার্যালয়ে এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএইচবিএফসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ বর্মণ। বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএইচবিএফসির অন্যান্য পরিচালক, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএইচবিএফসি জানায়, নতুন এই প্রোডাক্টের জন্য সুদের হার/মুনাফা হচ্ছে- ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯ শতাংশ এবং অন্য এলাকার জন্য ৮ শতাংশ হবে। এই ঋণ পেতে গ্রাহকের ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ইক্যুইটি (ঋণ/বিনিয়োগ) হচ্ছে ৯০:১০। সম্ভাব্য কিস্তি (প্রতি লক্ষ টাকায়) হবে- ৭৭১.২০ টাকা (বার্ষিক ৮% হারে) ও ৮৩৯.২০ টাকা (বার্ষিক ৯% হারে)।
‘স্বপ্ননীড়’-এর আওতায় পড়বেন নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীরা। বিশেষত, সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী (চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব এসিন্টেন্টসহ অন্য কর্মচারী) এবং বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
গৃহ নির্মাণে ঋণ ও বিনিয়োগ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা বিএইচবিএফসি দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আবাসন নির্মাণে কাজ করছে। সহজ শর্ত ও দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেয় এ সংস্থা। স্বপ্ননীড় বিএইচবিএফসির ১২তম ঋণ ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট। প্রডাক্টটির অন্যান্য শর্তের বিষয়ে জানানো হয়, চাকরিকাল ন্যূনতম ৫ বছর হতে হবে; কনভেনশনাল/ইসলামী শরিয়াহ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ও এ প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও একক ক্ষেত্রে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবৃতাংশ বিবেচনায় ১ম তলা ও ২য় তলায় (১০০০ বর্গফুট) ব্যতীত অন্যান্য তলার জন্য প্রয়োজনে বিএইচএফসির অন্যান্য প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ নিতে পারবেন; ভূমির সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি তলা/বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সিলিং গ্রহণ করতে পারবেন; দেশের সব এলাকায় এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা হবে।
বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘৭ থেকে ৯ শতাংশ এতো কম সুদে আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিতে পারে না যেটি আমরা দিচ্ছি। আমাদের ১১টি প্রোডাক্ট চলমান রয়েছে। তার মধ্যে নতুন এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি বিশেষ। আশা করি অন্যান্য প্রোডাক্টের তোলনায় এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে।’ এ সময় স্বপ্ননীড় অর্থায়ন ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনাসহ এর সুবিধাসমুহ তোলে ধরেন।
বিএইচবিএফসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের জন্য ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মতো একটি প্রোডাক্ট। সমাজের বিশেষ শ্রেণী-পেশার বৃহৎ এক জনগোষ্ঠী সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ আবাসিক গৃহ নির্মাণে এ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করে ব্যপকভাবে উপকৃত হবে। আশা করি, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই প্রোডাক্ট।’ এ সময় ৮ লাখ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবী রয়েছে জানিয়ে তাদের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মরত নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের স্বপ্নের গৃহ নির্মাণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
এ সময় কৃষিজমি রক্ষায় শুধুমাত্র গ্রুপ ভিত্তিক প্রোডাক্ট চালু করার জন্য বিএইচবিএফসির সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।
রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩
শিক্ষক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাষিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের আবাসন নিশ্চিতে ‘স্বপ্ননীড়’ নামে একটি প্রোডাক্ট চালু করেছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। নতুন এই প্রোডাক্টের আওতায় একক ও গ্রুপভিত্তিক ঋণ বা বিনিয়োগ করা হবে। ১০০০ বর্গফুট (কম-বেশি) আবাসন নির্মাণে সর্বোচ্চ ২৫ বছর মেয়াদে ২৭ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ পাবেন একজন গ্রাহক। তবে গ্রুপে আবাসন নির্মাণে প্রতিজন পাবেন সর্বোচ্চ সাড়ে ১৯ লাখ টাকা করে।
রোববার (১৯ মার্চ) বিএইচবিএফসির প্রধান কার্যালয়ে এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএইচবিএফসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন, এফসিএ, এফসিএমএ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব অমল কৃষ্ণ বর্মণ। বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএইচবিএফসির অন্যান্য পরিচালক, ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএইচবিএফসি জানায়, নতুন এই প্রোডাক্টের জন্য সুদের হার/মুনাফা হচ্ছে- ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ৯ শতাংশ এবং অন্য এলাকার জন্য ৮ শতাংশ হবে। এই ঋণ পেতে গ্রাহকের ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ইক্যুইটি (ঋণ/বিনিয়োগ) হচ্ছে ৯০:১০। সম্ভাব্য কিস্তি (প্রতি লক্ষ টাকায়) হবে- ৭৭১.২০ টাকা (বার্ষিক ৮% হারে) ও ৮৩৯.২০ টাকা (বার্ষিক ৯% হারে)।
‘স্বপ্ননীড়’-এর আওতায় পড়বেন নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীরা। বিশেষত, সরকারি ও বেসরকারি (এমপিওভুক্ত) স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী (চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব এসিন্টেন্টসহ অন্য কর্মচারী) এবং বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত নিম্ন আয়ের সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
গৃহ নির্মাণে ঋণ ও বিনিয়োগ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের একমাত্র বিশেষায়িত সংস্থা বিএইচবিএফসি দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে আবাসন নির্মাণে কাজ করছে। সহজ শর্ত ও দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ দেয় এ সংস্থা। স্বপ্ননীড় বিএইচবিএফসির ১২তম ঋণ ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট। প্রডাক্টটির অন্যান্য শর্তের বিষয়ে জানানো হয়, চাকরিকাল ন্যূনতম ৫ বছর হতে হবে; কনভেনশনাল/ইসলামী শরিয়াহ পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক ও এ প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ বিতরণ করা হবে।
এছাড়াও একক ক্ষেত্রে বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবৃতাংশ বিবেচনায় ১ম তলা ও ২য় তলায় (১০০০ বর্গফুট) ব্যতীত অন্যান্য তলার জন্য প্রয়োজনে বিএইচএফসির অন্যান্য প্রোডাক্টের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ নিতে পারবেন; ভূমির সুষম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য গ্রুপ ভিত্তিক বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতি তলা/বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সিলিং গ্রহণ করতে পারবেন; দেশের সব এলাকায় এ ঋণ/বিনিয়োগ প্রদান করা হবে।
বিএইচবিএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘৭ থেকে ৯ শতাংশ এতো কম সুদে আর কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ঋণ দিতে পারে না যেটি আমরা দিচ্ছি। আমাদের ১১টি প্রোডাক্ট চলমান রয়েছে। তার মধ্যে নতুন এই ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি বিশেষ। আশা করি অন্যান্য প্রোডাক্টের তোলনায় এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করবে।’ এ সময় স্বপ্ননীড় অর্থায়ন ব্যবস্থার বিস্তারিত বর্ণনাসহ এর সুবিধাসমুহ তোলে ধরেন।
বিএইচবিএফসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের জন্য ‘স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি উন্মুক্ত করা হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার মতো একটি প্রোডাক্ট। সমাজের বিশেষ শ্রেণী-পেশার বৃহৎ এক জনগোষ্ঠী সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ আবাসিক গৃহ নির্মাণে এ অর্থায়ন সুবিধা গ্রহণ করে ব্যপকভাবে উপকৃত হবে। আশা করি, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই প্রোডাক্ট।’ এ সময় ৮ লাখ নিম্ন আয়ের চাকরিজীবী রয়েছে জানিয়ে তাদের কাছে প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, ‘সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে স্বপ্ননীড়’ প্রোডাক্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, নিবন্ধিত স্বাস্থ্যকর্মী, ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মরত নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের স্বপ্নের গৃহ নির্মাণে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
এ সময় কৃষিজমি রক্ষায় শুধুমাত্র গ্রুপ ভিত্তিক প্রোডাক্ট চালু করার জন্য বিএইচবিএফসির সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান রাখেন তিনি।