alt

অর্থ-বাণিজ্য

সাত মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে তিন হাজার ৬৯ কোটি টাকার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩

মধ্যবিত্তের আস্থার জায়গা ছিল সঞ্চয়পত্র। চাকরি থেকে অবসরের পর পাওয়া অর্থ কিংবা বাড়তি টাকা হাতে থাকলেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হতো। তবে বিভিন্ন কড়াকড়ি আরোপের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছেই।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমছে তিন হাজার ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। এ সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি দিয়ে গ্রাহকের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করাও সম্ভব হয়নি। উল্টো সরকারি কোষাগার বা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ওই সময়ে সুদ-আসল পরিশোধের পরও সরকারের কোষাগারে ১২ হাজার ১৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জমা ছিল। সে সময়ে ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নেয়ার প্রয়োজন হয়নি।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিক্রির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, গত বছরেরর তুলনায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি ব্যাপক কমেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রথম ছয় মাসে এ খাত থেকে কোন ঋণ পায়নি সরকার। উল্টো সরকার পরিশোধ করেছে।

চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর চাপ কমাতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন সনদপত্র বাধ্যতামূলক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্তসহ আরও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরপরও বিক্রি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়। এরপরই বিক্রি কমতে থাকে।

অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

মানুষের আয়-উপার্জন কমে গেছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছে। এরপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই ধাক্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক দরপতন হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই বেশি। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় অর্থাৎ বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষের সঞ্চয় করার ক্ষমতা কমে গেছে। এ কারণে মানুষ আর আগের মতো সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) বেড়ে হয়েছে ৮.৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বাজারে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, গত মাসে সেই পণ্য বা সেবা নিতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৮.৭৮ টাকা।

ফেব্রুয়ারি মাসের এই মূল্যস্ফীতি তার আগের মাস জানুয়ারির তুলনায় ০ দশমিক ২১ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। এক দশকের রেকর্ড ভেঙে গত বছরের আগস্ট মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯.৮৪ শতাংশে পৌঁছায়। এরপর টানা পাঁচ মাস তা কমে জানুয়ারিতে ৮.৫৭ শতাংশে নেমে আসে।

এদিকে সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকে সরকারের ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৩৯৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

ছবি

বাজেটের পর শেয়ারবাজারে রেকর্ড লেনদেন

ছবি

সেরা মানের চায়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেল কেদারপুর টি

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যংকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গ্লোবাল ডেবিট কার্ড সেবা উদ্বোধন

ছবি

বার্ডস আইয়ের গরমের শার্ট

ছবি

তিনগুণ ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের

ছবি

এক ঘণ্টায় ডিএসইর লেনদেন ৪৬৬ কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি

যে ৩৮ ধরণের সেবা পেতে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে

ছবি

টানা চার সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার

ছবি

আইএমএফের শর্ত মেনে বাজেট নয়, তবে তাদের পরামর্শ ভালো : অর্থমন্ত্রী

ছবি

‘ধারণা’র বাজেট, বাস্তবতার সঙ্গে মিল নেই

ছবি

আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট করিনি: অর্থমন্ত্রী

করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে এফবিসিসিআইয়ের সাধুবাদ

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৭ কোটি টাকা লভ্যাংশ জমা দিলো চার কোম্পানি

বাজেটে শেয়ারবাজার সম্পর্কে উল্লেখ না থাকার বিষয়ে কিছু জানেন না অর্থমন্ত্রী

ছবি

চার বছরে ৭৫ শতাংশ লেনদেন ক্যাশলেসে আনার পরিকল্পনা সরকারের: গভর্নর

ছবি

মে মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১০ শতাংশের বেশী

বাজেটে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য নিরসনে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেই : ন্যাপ

ছবি

পুরো বাজেটটাই গরিবের জন্য : অর্থমন্ত্রী

ছবি

জিডিপি-মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত নয় : সিপিডি

ছবি

স্মার্টলি লুটপাটের বাজেট দিয়েছে সরকার : আমির খসরু

বাজেট পেশের পরই মাছ-মাংসের বাজারে উত্তাপ

ছবি

আয়কর আদায় বাড়াতে এজেন্ট নিয়োগ হচ্ছে

অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজেটে সমাধান অপ্রতুল : সিপিডি

ঘাটতি পূরণে ব্যাংক থেকে ১৭ শতাংশ ঋণ নিতে হবে

বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে, কমেছে জ্বালানিতে

যেসব পণ্যের দাম

জিডিপির হিসাবে শিক্ষায় কমেছে বরাদ্দ

কৃষি খাতে ২৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব

ছবি

সামাজিক সুরক্ষায় বাড়ছে বরাদ্ধ

সরকারের ব্যাংক নির্ভরতা আর্থিক খাতকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ফেলবে

ছবি

সর্বোচ্চ বরাদ্দ অর্থ বিভাগে

বিদেশ থেকে সোনা আনলে প্রতি ভরিতে ৪ হাজার টাকা কর

লিফট, চলন্ত সিঁড়ি আমদানিতে বাড়ছে শুল্ক

বাজেটে স্থান পেলো না পুঁজিবাজার

কৃষি যন্ত্রাংশে কর অব্যাহতির প্রস্তাব

রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব

tab

অর্থ-বাণিজ্য

সাত মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে তিন হাজার ৬৯ কোটি টাকার

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ২৬ মার্চ ২০২৩

মধ্যবিত্তের আস্থার জায়গা ছিল সঞ্চয়পত্র। চাকরি থেকে অবসরের পর পাওয়া অর্থ কিংবা বাড়তি টাকা হাতে থাকলেই সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ হতো। তবে বিভিন্ন কড়াকড়ি আরোপের কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমছেই।

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রি কমছে তিন হাজার ৬৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকার। এ সময়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি দিয়ে গ্রাহকের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করাও সম্ভব হয়নি। উল্টো সরকারি কোষাগার বা ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ১২ হাজার ১৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ওই সময়ে সুদ-আসল পরিশোধের পরও সরকারের কোষাগারে ১২ হাজার ১৭৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা জমা ছিল। সে সময়ে ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নেয়ার প্রয়োজন হয়নি।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৩৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিক্রির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। তথ্য বলছে, গত বছরেরর তুলনায় সঞ্চয়পত্র বিক্রি ব্যাপক কমেছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে প্রথম ছয় মাসে এ খাত থেকে কোন ঋণ পায়নি সরকার। উল্টো সরকার পরিশোধ করেছে।

চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল এক লাখ ১৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। মূলত সঞ্চয়পত্র বিক্রির ওপর চাপ কমাতে ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে কর ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। একই সঙ্গে এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন সনদপত্র বাধ্যতামূলক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার শর্তসহ আরও কিছু ব্যবস্থা নেয়া হয়। এরপরও বিক্রি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ২ শতাংশ কমিয়ে দেয়া হয়। এরপরই বিক্রি কমতে থাকে।

অন্যদিকে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

মানুষের আয়-উপার্জন কমে গেছে। অনেকে চাকরি হারিয়েছে। এরপর শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই ধাক্কায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশে ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক দরপতন হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে সরকার। বাজারে জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই বেশি। এর ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় অর্থাৎ বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় মানুষের সঞ্চয় করার ক্ষমতা কমে গেছে। এ কারণে মানুষ আর আগের মতো সঞ্চয়পত্র কিনতে পারছে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় (পয়েন্ট টু পয়েন্ট) বেড়ে হয়েছে ৮.৭৮ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের বাজারে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, গত মাসে সেই পণ্য বা সেবা নিতে ব্যয় করতে হয়েছে ১০৮.৭৮ টাকা।

ফেব্রুয়ারি মাসের এই মূল্যস্ফীতি তার আগের মাস জানুয়ারির তুলনায় ০ দশমিক ২১ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। এক দশকের রেকর্ড ভেঙে গত বছরের আগস্ট মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি ৯.৮৪ শতাংশে পৌঁছায়। এরপর টানা পাঁচ মাস তা কমে জানুয়ারিতে ৮.৫৭ শতাংশে নেমে আসে।

এদিকে সঞ্চয়পত্র থেকে কোনো ঋণ না পাওয়ায় ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকারের নেয়া ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১৫ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ব্যাংকে সরকারের ঋণ বেড়েছে এক লাখ ৩৯৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

back to top