ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পারিবারিক কর্তৃত্ব খর্ব হচ্ছে। এক পরিবার থেকে তিনজনের বেশি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না এমন বিধান রেখে ‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন এই আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মো. মাহমুদুল হাসান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘কোন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ তিনজন পরিচালক হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ চারজন পরিচালক নিযুক্ত হতে পারছেন।’ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলে পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের কর্তৃত্ব হ্রাস পাবে বলে জানান সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এমনকি ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও তিনি পরবর্তী পাঁচ বছর আর পরিচালক হতে পারবেন না।’ খসড়া আইন অনুযায়ী, ঋণ খেলাপিদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। ইচ্ছেকৃত ঋণ খেলাপি হলে ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা। জরিমানা এককালীন এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন ১ লাখ করে জরিমানা দিতে হবে।
আরও জানা গেছে, চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত একটি কর্ম-পরিকল্পনার আওতায় পুনর্গঠনের জন্য ব্যাংকটিকে এক বছর সময় বেঁধে দিতে পারে।
পুনর্গঠনের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্বানুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নতুন কোনো ব্যাংক-ব্যবসায় নিয়োজিত হতে বা সম্প্রসারণ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বার্ষিক ভিত্তিতে তার ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঋণ বা অগ্রিম) বৃদ্ধি করতে পারবে না এবং নগদ মুনাফা বণ্টন করতে পারবে না।
সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, ব্যাংকটির নিজস্ব পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক ব্যবস্থা নিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানির ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা, ব্যাংক-কোম্পানির পুনর্গঠন, অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানির সাথে একত্রীকরণ, ব্যাংক কোম্পানি পুনর্গঠনে অন্য যেকোনো পদক্ষেপ বা কার্যক্রম গ্রহণ, লাইসেন্স বাতিল ও অবসায়ন। একই সাথে ব্যাংক-কোম্পানির সঙ্কটাপন্ন অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর আওতায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনধিক ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। ক্ষতিকর কার্যকলাপের জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারিত হলে তিনি আর্থিক ক্ষতি পূরণে বাধ্য থাকবেন।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পারিবারিক কর্তৃত্ব খর্ব হচ্ছে। এক পরিবার থেকে তিনজনের বেশি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না এমন বিধান রেখে ‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন-২০২৩’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে নতুন এই আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সংস্কার ও সমন্বয়) মো. মাহমুদুল হাসান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বলেন, ‘কোন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে একটি পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ তিনজন পরিচালক হতে পারবেন। বিদ্যমান আইনে সর্বোচ্চ চারজন পরিচালক নিযুক্ত হতে পারছেন।’ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী কার্যকর হলে পরিচালনা পর্ষদে পরিবারের কর্তৃত্ব হ্রাস পাবে বলে জানান সচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ খেলাপি হলে তিনি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এমনকি ঋণের অর্থ পরিশোধ করলেও তিনি পরবর্তী পাঁচ বছর আর পরিচালক হতে পারবেন না।’ খসড়া আইন অনুযায়ী, ঋণ খেলাপিদের দেশের বাইরে যেতে হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে। ইচ্ছেকৃত ঋণ খেলাপি হলে ৫০ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা জরিমানা। জরিমানা এককালীন এই অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিন ১ লাখ করে জরিমানা দিতে হবে।
আরও জানা গেছে, চিহ্নিত দুর্বল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক প্রণীত একটি কর্ম-পরিকল্পনার আওতায় পুনর্গঠনের জন্য ব্যাংকটিকে এক বছর সময় বেঁধে দিতে পারে।
পুনর্গঠনের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের লিখিত পূর্বানুমোদন ছাড়া সংশ্লিষ্ট ব্যাংক নতুন কোনো ব্যাংক-ব্যবসায় নিয়োজিত হতে বা সম্প্রসারণ করতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত বার্ষিক ভিত্তিতে তার ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঋণ বা অগ্রিম) বৃদ্ধি করতে পারবে না এবং নগদ মুনাফা বণ্টন করতে পারবে না।
সংশোধিত খসড়া অনুযায়ী, ব্যাংকটির নিজস্ব পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গঠিত কমিটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে এক বা একাধিক ব্যবস্থা নিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে- সংশ্লিষ্ট ব্যাংক-কোম্পানির ব্যবসা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা, ব্যাংক-কোম্পানির পুনর্গঠন, অন্য কোনো ব্যাংক-কোম্পানির সাথে একত্রীকরণ, ব্যাংক কোম্পানি পুনর্গঠনে অন্য যেকোনো পদক্ষেপ বা কার্যক্রম গ্রহণ, লাইসেন্স বাতিল ও অবসায়ন। একই সাথে ব্যাংক-কোম্পানির সঙ্কটাপন্ন অবস্থার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এর আওতায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অনধিক ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। ক্ষতিকর কার্যকলাপের জন্য ব্যাংকের চেয়ারম্যান/ব্যবস্থাপনা পরিচালক অপসারিত হলে তিনি আর্থিক ক্ষতি পূরণে বাধ্য থাকবেন।