শিল্প পরিচালনা ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে শিল্প খাতে আগাম আয়কর ও আগাম কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল্য সংযোজন করবিষয়ক প্রাক-বাজেট সভায় সংগঠনটি এ দাবি জানায়। সভায় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে সংগঠনটির চারজন প্রতিনিধি ও এনবিআরের মূসক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এফবিসিসিআই বেশকিছু দাবি তুলে ধরে। এরমধ্যে রয়েছে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত টার্নওভারকারী একক বা অধীনস্থ এন্টারপ্রাইজগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) তালিকাভুক্ত করা, সব বৃহৎ কর অঞ্চলে এলটিইউ স্থাপন করা, আউটপুট ভ্যাট থেকে ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করার সুবিধাসহ পণ্য ও পরিষেবা লেনদেনের মূল্যের পর মূসক ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা, ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করা না হলে সব প্রক্রিয়াজাত পণ্যে এবং সেবার লেনদেন মূল্যের ওপর এ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হারে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক বহাল করা, রিয়েল এস্টেট, লোহা ও ইস্পাত খাত ইত্যাদিসহ তালিকাভুক্ত খাতের জন্য নির্দিষ্ট ট্যারিফভিত্তিক মূসক বহাল করা, ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় না করা হলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে লেনদেনের মূল্যের ওপর মূসক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে বহাল করা।
নিম্ন আয় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যবহার্য পণ্য, সাধারণ পণ্য পরিবহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পের কাঁচামাল-উপকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রিসাইক্লিং, টেন্ডারবহির্ভূত সরাসরি পণ্য মেরামত বা সার্ভিসিং খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেয়ারও দাবি তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগাম কর সমন্বয়ের অপারগতা এবং উৎসে কর্তিত মূসক রিফান্ড নিতে না পারার কারণে উৎপাদন-পরবর্তী সমন্বয় চেইন ভেঙে পড়েছে ও মূলধন দায় বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার নির্বাহী খরচ, সময় ও হয়রানি বেড়ে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া অহেতুক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। পণ্য ও সেবা খাতে মূল্য সংযোজনভিত্তিক একক ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হলে খাত নির্বিশেষে সব পণ্য ও সেবা খাত বিভিন্ন এসআরওভিত্তিক অসম কর হার এবং জটিলতা থেকে রেহাই পাবে এবং কর ব্যবস্থা সহজ ও সরল হবে।
বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩
শিল্প পরিচালনা ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে শিল্প খাতে আগাম আয়কর ও আগাম কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মূল্য সংযোজন করবিষয়ক প্রাক-বাজেট সভায় সংগঠনটি এ দাবি জানায়। সভায় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুর নেতৃত্বে সংগঠনটির চারজন প্রতিনিধি ও এনবিআরের মূসক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এফবিসিসিআই বেশকিছু দাবি তুলে ধরে। এরমধ্যে রয়েছে নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত টার্নওভারকারী একক বা অধীনস্থ এন্টারপ্রাইজগুলোকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃহৎ করদাতা ইউনিটে (এলটিইউ) তালিকাভুক্ত করা, সব বৃহৎ কর অঞ্চলে এলটিইউ স্থাপন করা, আউটপুট ভ্যাট থেকে ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করার সুবিধাসহ পণ্য ও পরিষেবা লেনদেনের মূল্যের পর মূসক ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা, ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় করা না হলে সব প্রক্রিয়াজাত পণ্যে এবং সেবার লেনদেন মূল্যের ওপর এ আদেশ দ্বারা নির্ধারিত হারে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ মূসক বহাল করা, রিয়েল এস্টেট, লোহা ও ইস্পাত খাত ইত্যাদিসহ তালিকাভুক্ত খাতের জন্য নির্দিষ্ট ট্যারিফভিত্তিক মূসক বহাল করা, ইনপুট ভ্যাট সমন্বয় না করা হলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে লেনদেনের মূল্যের ওপর মূসক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে বহাল করা।
নিম্ন আয় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যবহার্য পণ্য, সাধারণ পণ্য পরিবহন, নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবা, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত শিল্পের কাঁচামাল-উপকরণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রিসাইক্লিং, টেন্ডারবহির্ভূত সরাসরি পণ্য মেরামত বা সার্ভিসিং খাত ইত্যাদি ক্ষেত্রে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেয়ারও দাবি তুলে ধরে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটি।
বৈঠকে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগাম কর সমন্বয়ের অপারগতা এবং উৎসে কর্তিত মূসক রিফান্ড নিতে না পারার কারণে উৎপাদন-পরবর্তী সমন্বয় চেইন ভেঙে পড়েছে ও মূলধন দায় বেড়ে যাচ্ছে। ব্যবসা পরিচালনার নির্বাহী খরচ, সময় ও হয়রানি বেড়ে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া অহেতুক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। পণ্য ও সেবা খাতে মূল্য সংযোজনভিত্তিক একক ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হলে খাত নির্বিশেষে সব পণ্য ও সেবা খাত বিভিন্ন এসআরওভিত্তিক অসম কর হার এবং জটিলতা থেকে রেহাই পাবে এবং কর ব্যবস্থা সহজ ও সরল হবে।