alt

অর্থ-বাণিজ্য

সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ ‘ট্রেজারি বন্ড’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবাই চায় বেশি সুদ, পাশাপাশি বিনিয়োগের নিরাপত্তা, যাতে চাওয়ামাত্র বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাওয়া যায়। টাকাও নিরাপদ থাকবে, আবার ভালো মুনাফাও মিলবে এমন আর্থিক পণ্য দেশে খুব বেশি নেই। এ কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সঞ্চয়ের জন্য প্রথম পছন্দ সঞ্চয়পত্র।

কিন্তু সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ১০ শতাংশ কর কর্তন করে সরকার। অন্যদিকে কেউ যদি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেন, তাহলে মুনাফা থেকে কর কর্তন করা হয় ৫ শতাংশ। আবার মুনাফার টাকাও পাওয়া যায় ছয় মাস অন্তর। আর ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এ বন্ডে বিনিয়োগকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

দেশের সব শ্রেণী-পেশার নাগরিক এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যান্য বন্ডের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের একটি ঊর্ধ্বসীমা থাকে। কিন্তু ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই। তাই এ বন্ডে আপনি যত খুশি তত বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বর্তমানে ব্যাংক বা পুঁজিবাজার থেকে ট্রেজারি বন্ড কেনার সুযোগ রয়েছে। তবে সব ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রয় করে না। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োজিত ডিলার ব্যাংকই ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে। তাই বিনিয়োগের আগে খোঁজ নিতে হবে, যে ব্যাংকে আপনার হিসাব রয়েছে, ওই ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে কি-না। যদি না করে, তাহলে যে ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে, সেই ব্যাংকে হিসাব খুলে বন্ড কিনতে হবে। আর শেয়ারবাজার থেকে বন্ড খোলার ক্ষেত্রে আপনার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে যেভাবে শেয়ার কেনা হয়, একইভাবে ট্রেজারি বন্ডও কেনা যায়।

তাই আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ব্যাংক নাকি পুঁজিবাজার থেকে ট্রেজারি বন্ড কিনবেন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ডের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু ১০০ টাকা অর্থাৎ আপনি চাইলে ১০০ টাকাও বিনিয়োগ করতে পারবেন একটি ট্রেজারি বন্ডে। তবে ব্যাংক থেকে কেনার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। ব্যাংক থেকে ন্যূনতম এক লাখ টাকার ট্রেজারি বন্ড কিনতে হয়। তাই আপনি যদি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হন, তাহলে আপনার জন্য পুঁজিবাজার থেকে বন্ড কেনা ভালো। আপনি যদি অনাবাসী বাংলাদেশি হন, তাহলে ব্যাংক থেকে বন্ড কেনা আপনার জন্য সহজ। এতে আপনি আপনার বিনিয়োগের অর্থ ও মুনাফা ডলারে ফেরত নিতে চাইলে সহজেই তা ফেরত নিতে পারবেন।

সাধারণত ট্রেজারি বন্ড বিভিন্ন মেয়াদি হয়ে থাকে। যেমন ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর ও ২০ বছর মেয়াদি। তাই আপনি আপনার সুবিধামতো স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে মুনাফার হার বেশি। বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে বিভিন্ন মেয়াদি প্রায় ২৫০টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। ট্রেজারি বন্ডের ক্ষেত্রে মুনাফাকে বলা হয় ‘কুপন হার’। নির্ধারিত এই কুপন হার অনুযায়ীই মিলবে মুনাফা।

বিনিয়োগের পর আপনার যেকোন সময় টাকার দরকার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির আগেই আপনি নগদায়ন করতে পারবেন। আপনি যদি ব্যাংক থেকে ট্রেজারি বন্ড কিনে থাকেন, তাহলে যে ব্যাংক থেকে বন্ড কিনেছেন, ওই ব্যাংক থেকেই নগদায়ন করতে পারবেন। আর যদি পুঁজিবাজার থেকে কিনে থাকেন, তাহলে পুঁজিবাজারে যেকোন সময় বিক্রয় করে বিনিয়োগ করা টাকা তুলে নিতে পারবেন। পুঁজিবাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে বাজারমূল্যেই তা বিক্রি করতে হবে আপনাকে।

সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করলে মুনাফার হার কিছুটা কমে যায়। কিন্তু ট্রেজারি বন্ডের ক্ষেত্রে আপনি যদি মেয়াদের আগে নগদায়ন করেন, তাহলে কুপনে যে হার উল্লেখ আছে, ওই হারেই মুনাফা মিলবে।

ছবি

বনশ্রীতে ‘হারল্যান স্টোর’ উদ্বোধন

ছবি

পেঁয়াজ আসছে দাম নামছে, আদা ও জিরায় আকাশচুম্বী

ছবি

১০ ব্যাংকেই প্রায় ৬২ শতাংশ খেলাপি ঋণ

ছবি

১০ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ালো ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিদের বিদেশ গমনের তথ্য জানানোর নির্দেশ

সহজের মালিকানায় আসছে এডিএন টেলিকম

ডিএসইতে ১০ কোম্পানিতেই ২৫ শতাংশ লেনদেন

ছবি

সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে এইচঅ্যান্ডএম গ্রুপের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহ্বান

ছবি

বঙ্গবাজারে অগ্নিকান্ডে দোকান কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দাবি

ছবি

সরকারি-বেসরকারি ১০ ব্যাংকে ঋণ খেলাপির সিংহভাগ

ছবি

কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে ব্যাখ্যা দিল ইউনূস সেন্টার

আর্জেন্টিনা গিয়ে মেসিদের খেলা দেখার সুযোগ বিকাশে পেমেন্ট করে

ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার, সূচকের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেন

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে শতাধিক প্রতিষ্ঠান

ছবি

লোডশেডিং ও গরমে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যানের

ছবি

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ফের বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

ছবি

বাড়লো স্বর্ণের দাম

ছবি

নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.০২ শতাংশই থাকবে : বিশ্বব্যাংক

সূচকের উত্থানেও লেনদেনে মন্দা

বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত নার্স নিতে চায় যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের অর্থনীতির উপরটা চকচকে, তবে গভীরতা কম : পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি

ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ১৭৫০ টাকা

ছবি

জ্বালানি সংকটে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংক

ছবি

নতুন অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি আগের মতই রাখল বিশ্ব ব্যাংক, হবে ৬.২%

ছবি

এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা পরিশোধ করতে ৭ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

ছবি

ডিজিটাল আইনের মামলায় ইভ্যালির রাসেলের হাইকোর্টে জামিন

১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

ছবি

আমদানির ঘোষণায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে

স্বর্ণের অলংকার বিক্রিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের

স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট অসঙ্গতিপূর্ণ

নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের বাজেট আলোচনা

ছবি

ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ: কেজিতে দাম পড়বে ৩০ টাকা, খবরে দেশে দাম কমল ২৫ টাকা

ছবি

পর পর ২ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের রেকর্ড

ছবি

দেশে মূল্যস্ফীতি ১২ বছরে সর্বোচ্চ

ছবি

কলকাতা না গিয়ে আকাশ থেকেই ফিরল বিমানের ফ্লাইট

tab

অর্থ-বাণিজ্য

সবচেয়ে নিরাপদ ও লাভজনক বিনিয়োগ ‘ট্রেজারি বন্ড’

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবাই চায় বেশি সুদ, পাশাপাশি বিনিয়োগের নিরাপত্তা, যাতে চাওয়ামাত্র বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাওয়া যায়। টাকাও নিরাপদ থাকবে, আবার ভালো মুনাফাও মিলবে এমন আর্থিক পণ্য দেশে খুব বেশি নেই। এ কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সঞ্চয়ের জন্য প্রথম পছন্দ সঞ্চয়পত্র।

কিন্তু সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ১০ শতাংশ কর কর্তন করে সরকার। অন্যদিকে কেউ যদি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেন, তাহলে মুনাফা থেকে কর কর্তন করা হয় ৫ শতাংশ। আবার মুনাফার টাকাও পাওয়া যায় ছয় মাস অন্তর। আর ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই এ বন্ডে বিনিয়োগকে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

দেশের সব শ্রেণী-পেশার নাগরিক এ বন্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যান্য বন্ডের ক্ষেত্রে বিনিয়োগের একটি ঊর্ধ্বসীমা থাকে। কিন্তু ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগের কোন ঊর্ধ্বসীমা নেই। তাই এ বন্ডে আপনি যত খুশি তত বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বর্তমানে ব্যাংক বা পুঁজিবাজার থেকে ট্রেজারি বন্ড কেনার সুযোগ রয়েছে। তবে সব ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রয় করে না। শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়োজিত ডিলার ব্যাংকই ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে। তাই বিনিয়োগের আগে খোঁজ নিতে হবে, যে ব্যাংকে আপনার হিসাব রয়েছে, ওই ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে কি-না। যদি না করে, তাহলে যে ব্যাংক ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করে, সেই ব্যাংকে হিসাব খুলে বন্ড কিনতে হবে। আর শেয়ারবাজার থেকে বন্ড খোলার ক্ষেত্রে আপনার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স বা বিও হিসাব থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার থেকে যেভাবে শেয়ার কেনা হয়, একইভাবে ট্রেজারি বন্ডও কেনা যায়।

তাই আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি ব্যাংক নাকি পুঁজিবাজার থেকে ট্রেজারি বন্ড কিনবেন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ডের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু ১০০ টাকা অর্থাৎ আপনি চাইলে ১০০ টাকাও বিনিয়োগ করতে পারবেন একটি ট্রেজারি বন্ডে। তবে ব্যাংক থেকে কেনার ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। ব্যাংক থেকে ন্যূনতম এক লাখ টাকার ট্রেজারি বন্ড কিনতে হয়। তাই আপনি যদি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হন, তাহলে আপনার জন্য পুঁজিবাজার থেকে বন্ড কেনা ভালো। আপনি যদি অনাবাসী বাংলাদেশি হন, তাহলে ব্যাংক থেকে বন্ড কেনা আপনার জন্য সহজ। এতে আপনি আপনার বিনিয়োগের অর্থ ও মুনাফা ডলারে ফেরত নিতে চাইলে সহজেই তা ফেরত নিতে পারবেন।

সাধারণত ট্রেজারি বন্ড বিভিন্ন মেয়াদি হয়ে থাকে। যেমন ২ বছর, ৫ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর ও ২০ বছর মেয়াদি। তাই আপনি আপনার সুবিধামতো স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে পারবেন। তবে দীর্ঘমেয়াদি ট্রেজারি বন্ডে মুনাফার হার বেশি। বর্তমানে দেশের পুঁজিবাজারে বিভিন্ন মেয়াদি প্রায় ২৫০টি ট্রেজারি বন্ড তালিকাভুক্ত রয়েছে। ট্রেজারি বন্ডের ক্ষেত্রে মুনাফাকে বলা হয় ‘কুপন হার’। নির্ধারিত এই কুপন হার অনুযায়ীই মিলবে মুনাফা।

বিনিয়োগের পর আপনার যেকোন সময় টাকার দরকার হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদপূর্তির আগেই আপনি নগদায়ন করতে পারবেন। আপনি যদি ব্যাংক থেকে ট্রেজারি বন্ড কিনে থাকেন, তাহলে যে ব্যাংক থেকে বন্ড কিনেছেন, ওই ব্যাংক থেকেই নগদায়ন করতে পারবেন। আর যদি পুঁজিবাজার থেকে কিনে থাকেন, তাহলে পুঁজিবাজারে যেকোন সময় বিক্রয় করে বিনিয়োগ করা টাকা তুলে নিতে পারবেন। পুঁজিবাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে বাজারমূল্যেই তা বিক্রি করতে হবে আপনাকে।

সঞ্চয়পত্রের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তার আগে সঞ্চয়পত্র নগদায়ন করলে মুনাফার হার কিছুটা কমে যায়। কিন্তু ট্রেজারি বন্ডের ক্ষেত্রে আপনি যদি মেয়াদের আগে নগদায়ন করেন, তাহলে কুপনে যে হার উল্লেখ আছে, ওই হারেই মুনাফা মিলবে।

back to top