alt

অর্থ-বাণিজ্য

নিত্যপণ্য ও পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় বিশ্বজুড়ে মাংস ও ডেইরি খাতের মুনাফা কমার আশঙ্কা

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের ও পশুখাদ্যের দাম। সেই সঙ্গে কার্বন ট্যাক্সের পরিমাণও বেড়েছে। এ অবস্থায় কাক্সিক্ষত মুনাফার দেখা পাচ্ছে না গবাদিপশু উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। অলাভজনক সংস্থা এফএআইআরআরের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪০টি বৃহৎ গবাদিপশু উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মোট মুনাফা কমবে ৭ শতাংশ। অর্থমূল্যে যা প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলার। রয়টার্স।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকার টাইসন ফুডস ও ডিম উৎপাদক ক্যাল-মাইন ফুডসের মতো কোম্পানিও। যাদের মুনাফা মার্জিনে ১১ শতাংশের মতো পতন দেখা দিতে পারে। অন্য মাংস উৎপাদক যেমন ব্রাজিলের জেবিএস ও চীনের ডব্লিউএইচ গ্রুপের মতো কোম্পানি রয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে।

মাংস ও দুধের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি যে গবাদিপশুর কদর সেটি হলো গরু। আর গরু লালনপালনকারী ও উৎপাদকদেরই সবচেয়ে বেশি কার্বন ট্যাক্স দিতে হয়। সব মিলিয়ে পূর্বাভাস বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ধেককেই লোকসানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তঃসরকারি প্যানেলের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। গবাদিপশু পালন বেশি ঝুঁকিতে পড়বে কারণ ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো গবাদিপশু খাদ্যে ব্যবহৃত শস্যের ফলন প্রভাবিত হতে পারে তাপ, খরা ও বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তনের কারণে।

আবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর তেমন কোন পদক্ষেপও নেই। এ ৪০টি বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ছয়টি জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। বেশির ভাগের কাছেই জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সমস্যা বিশ্লেষণের কোন উদ্যোগ নেই। অথচ এটি কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এফএআইআরআরের মতে, গবাদিপশু পালন খাতের মুনাফায় সবচেয়ে বড় আঘাত আসবে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ব্যয় বৃদ্ধিতে, যা গড়ে ৯ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ উচ্চ খাদ্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ৪ শতাংশ পশুপালন খাতের কার্বন নিঃসরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

এখন এ সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তারও একটি ধারণা দিয়েছে এফএআইআরআর। সংস্থাটি বলছে, মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি এবং বিকল্প পশুখাদ্যের ব্যবস্থা করার মতো কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে।

সংস্থাটির মতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে উত্তর আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ হিসেবে ভুট্টার দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। যেহেতু কৃষি খাতে এখনও কার্বন ট্যাক্স আরোপ হয়নি, তাই হয়তো প্রভাব কিছুটা কম হবে। তবে নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে যেখানে মোট কার্বন নিঃসরণের অর্ধেকের দায়ই কৃষি খাতের, সেখানে প্রথম দেশ হিসেবে কৃষি নির্গমনের ওপর শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেটি বাস্তবায়ন হলে ফসল উৎপাদনের খরচ বাড়বে। যার রেশ গিয়ে পড়বে পশুপালন খাতের ওপরও।

ছবি

নতুন অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.০২ শতাংশই থাকবে : বিশ্বব্যাংক

সূচকের উত্থানেও লেনদেনে মন্দা

বাংলাদেশ থেকে প্রশিক্ষিত নার্স নিতে চায় যুক্তরাজ্য

বাংলাদেশের অর্থনীতির উপরটা চকচকে, তবে গভীরতা কম : পরিকল্পনামন্ত্রী

ছবি

ভরিতে সোনার দাম বাড়লো ১৭৫০ টাকা

ছবি

জ্বালানি সংকটে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ : বিশ্বব্যাংক

ছবি

নতুন অর্থবছরের প্রবৃদ্ধি আগের মতই রাখল বিশ্ব ব্যাংক, হবে ৬.২%

ছবি

এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা পরিশোধ করতে ৭ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ

ছবি

ডিজিটাল আইনের মামলায় ইভ্যালির রাসেলের হাইকোর্টে জামিন

১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

ছবি

আমদানির ঘোষণায় কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম

৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন পুঁজিবাজারে

স্বর্ণের অলংকার বিক্রিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর দাবি বাজুসের

স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত বাজেট অসঙ্গতিপূর্ণ

নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধসহ ৪ দাবিতে বিড়ি শ্রমিকদের বাজেট আলোচনা

ছবি

ঢুকছে ভারতীয় পেঁয়াজ: কেজিতে দাম পড়বে ৩০ টাকা, খবরে দেশে দাম কমল ২৫ টাকা

ছবি

পর পর ২ দিন শেয়ারবাজারে লেনদেনের রেকর্ড

ছবি

দেশে মূল্যস্ফীতি ১২ বছরে সর্বোচ্চ

ছবি

কলকাতা না গিয়ে আকাশ থেকেই ফিরল বিমানের ফ্লাইট

ছবি

তেলের দাম বাড়াতে চায় সৌদি আরব

ছবি

দেশে প্রাপ্য সম্মান পাননি অর্থনীতিবিদ নুরুল ইসলাম

ছবি

পেঁয়াজ কেজি ৩৫ থেকে ১০০ টাকা, আমদানির অনুমতি

ছবি

মে মাসে রপ্তানি আয় বাড়লো ২৭ শতাংশ

ছবি

তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান বাড়ানো দরকার : পরিকল্পনামন্ত্রী

৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে

বিও হিসাবধারীরা কিনতে পারবেন ট্রেজারি বন্ড

ছবি

বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকনির্দেশনা নেই : বিসিআই

ছবি

কাল সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে সরকার

ছবি

মে মাসে রপ্তানি আয় ৪৮৫ কোটি ডলার

ছবি

বাজেটের পর শেয়ারবাজারে রেকর্ড লেনদেন

ছবি

সেরা মানের চায়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেল কেদারপুর টি

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যংকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গ্লোবাল ডেবিট কার্ড সেবা উদ্বোধন

ছবি

বার্ডস আইয়ের গরমের শার্ট

ছবি

তিনগুণ ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের

ছবি

এক ঘণ্টায় ডিএসইর লেনদেন ৪৬৬ কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি

যে ৩৮ ধরণের সেবা পেতে ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে

tab

অর্থ-বাণিজ্য

নিত্যপণ্য ও পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় বিশ্বজুড়ে মাংস ও ডেইরি খাতের মুনাফা কমার আশঙ্কা

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

বিশ্বজুড়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের ও পশুখাদ্যের দাম। সেই সঙ্গে কার্বন ট্যাক্সের পরিমাণও বেড়েছে। এ অবস্থায় কাক্সিক্ষত মুনাফার দেখা পাচ্ছে না গবাদিপশু উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। অলাভজনক সংস্থা এফএআইআরআরের এক হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৪০টি বৃহৎ গবাদিপশু উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের মোট মুনাফা কমবে ৭ শতাংশ। অর্থমূল্যে যা প্রায় আড়াই হাজার কোটি ডলার। রয়টার্স।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে উত্তর আমেরিকার টাইসন ফুডস ও ডিম উৎপাদক ক্যাল-মাইন ফুডসের মতো কোম্পানিও। যাদের মুনাফা মার্জিনে ১১ শতাংশের মতো পতন দেখা দিতে পারে। অন্য মাংস উৎপাদক যেমন ব্রাজিলের জেবিএস ও চীনের ডব্লিউএইচ গ্রুপের মতো কোম্পানি রয়েছে, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছে।

মাংস ও দুধের জন্য বিশ্বে সবচেয়ে বেশি যে গবাদিপশুর কদর সেটি হলো গরু। আর গরু লালনপালনকারী ও উৎপাদকদেরই সবচেয়ে বেশি কার্বন ট্যাক্স দিতে হয়। সব মিলিয়ে পূর্বাভাস বলছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বড় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্ধেককেই লোকসানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তঃসরকারি প্যানেলের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, অদূর ভবিষ্যতে পৃথিবীর উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ফসল উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। গবাদিপশু পালন বেশি ঝুঁকিতে পড়বে কারণ ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো গবাদিপশু খাদ্যে ব্যবহৃত শস্যের ফলন প্রভাবিত হতে পারে তাপ, খরা ও বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তনের কারণে।

আবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর তেমন কোন পদক্ষেপও নেই। এ ৪০টি বড় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ছয়টি জলবায়ু পরিবর্তন পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করেছে। বেশির ভাগের কাছেই জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত সমস্যা বিশ্লেষণের কোন উদ্যোগ নেই। অথচ এটি কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই জরুরি বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এফএআইআরআরের মতে, গবাদিপশু পালন খাতের মুনাফায় সবচেয়ে বড় আঘাত আসবে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ব্যয় বৃদ্ধিতে, যা গড়ে ৯ শতাংশের বেশি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ উচ্চ খাদ্যমূল্যের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ৪ শতাংশ পশুপালন খাতের কার্বন নিঃসরণের সঙ্গে সম্পর্কিত।

এখন এ সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তারও একটি ধারণা দিয়েছে এফএআইআরআর। সংস্থাটি বলছে, মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন খাতের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যে বৈচিত্র্য সৃষ্টি এবং বিকল্প পশুখাদ্যের ব্যবস্থা করার মতো কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে।

সংস্থাটির মতে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে উত্তর আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ হিসেবে ভুট্টার দাম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হচ্ছে। যেহেতু কৃষি খাতে এখনও কার্বন ট্যাক্স আরোপ হয়নি, তাই হয়তো প্রভাব কিছুটা কম হবে। তবে নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে যেখানে মোট কার্বন নিঃসরণের অর্ধেকের দায়ই কৃষি খাতের, সেখানে প্রথম দেশ হিসেবে কৃষি নির্গমনের ওপর শুল্কের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেটি বাস্তবায়ন হলে ফসল উৎপাদনের খরচ বাড়বে। যার রেশ গিয়ে পড়বে পশুপালন খাতের ওপরও।

back to top