বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের পর ট্রানজিশন পিরিয়ড ছয় বছর বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বার ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। সাক্ষাতে এ আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, ডেপুটি হেড অব মিশন প্রীতি রহমান, এমসিসিআই এর সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সাইফুল আজম।
তারা বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষ করে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের ফলে ইইউয়ের বাণিজ্য প্রতিযোগী সক্ষমতা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য যেসব প্রভাব পড়বে, সেগুলোসহ নিয়ে বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার মধ্যে এলডিসি-পরবর্তী সময়ে প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখার জন্য ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের মাধ্যমে ইইউকে জিএসপির (ইবিএ) ট্রানজিশন পিরিয়ড তিন বছর থেকে ছয় বছর বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে শিল্পের ব্যাপক অর্জনগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ হলো, ইইউ এর জিএসপি স্কিমের অধীনে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা। খাতটি এখন এমনভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা অর্থনীতি, পরিবেশ এবং মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। পোশাক শিল্প চক্রাকার ফ্যাশন পদ্ধতিতে কাজ করছে এবং প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করা এবং পরবর্তী-ভোক্তা বর্জ্য আপসাইকেল করার উপর বিনিয়োগ করছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর অব্যাহত অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বাংলাদেশের শিল্পকে তার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।’
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩
বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশ এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের পর ট্রানজিশন পিরিয়ড ছয় বছর বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বার ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল। সাক্ষাতে এ আহ্বান জানানো হয়।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন- তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, ডেপুটি হেড অব মিশন প্রীতি রহমান, এমসিসিআই এর সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সাইফুল আজম।
তারা বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষ করে এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তোরণের ফলে ইইউয়ের বাণিজ্য প্রতিযোগী সক্ষমতা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য যেসব প্রভাব পড়বে, সেগুলোসহ নিয়ে বিভিন্ন বাণিজ্য সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার মধ্যে এলডিসি-পরবর্তী সময়ে প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের প্রস্তুতির বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
বাংলাদেশের এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্ন রাখার জন্য ইইউ পার্লামেন্ট সদস্যের মাধ্যমে ইইউকে জিএসপির (ইবিএ) ট্রানজিশন পিরিয়ড তিন বছর থেকে ছয় বছর বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ জানায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে শিল্পের ব্যাপক অর্জনগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সাফল্যের অন্যতম প্রধান কারণ হলো, ইইউ এর জিএসপি স্কিমের অধীনে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা। খাতটি এখন এমনভাবে টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা অর্থনীতি, পরিবেশ এবং মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। পোশাক শিল্প চক্রাকার ফ্যাশন পদ্ধতিতে কাজ করছে এবং প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করা এবং পরবর্তী-ভোক্তা বর্জ্য আপসাইকেল করার উপর বিনিয়োগ করছে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর অব্যাহত অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা বাংলাদেশের শিল্পকে তার টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করবে।’