alt

অর্থ-বাণিজ্য

ডিএসইতে মোট লেনদেনের ৪২ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। সব ধরনের সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ টাকা যার মোট লেনদেনের ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। দশ কোম্পানি একাই লেনদেন হয়েছে ৬৯৩ কোটি ২২ টাকা। তবে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ২ দশমিক ২৭ গুণ বেশি ছিল।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯১টির, দর কমেছে ৪০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৭টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২০৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে যা আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ৩৫ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ২০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ লেনদেন করেছে। এছাড়া ইস্টার্ন হাউজিং ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড (বি ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সি পাল বিচ ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২ দশমিক ৮১ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কস ২ দশমিক ৩৫ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই সময় স্টকের বাজার মূলধন পরিমাণ কমেছে ৫৭৪ কোটি টাকা। একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক কমেছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৬টির, দর কমেছে ৪৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির। যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতন তুলনায় উত্থান ১ দশমিক শূন্য ৭ গুণ বেশি হয়েছে।

পাঁচ ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২৮৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৬ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪১ দশমিক ৮১ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৬২ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৪৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই এসএমইএক্স সূচক দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।

ছবি

‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ: চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার বরখাস্ত

ছবি

প্রসাধনীতে শুল্ক বাড়ায় রাজস্ব নয়, বাড়বে অর্থপাচার-চোরাচালান: বিসিটিআইএ

ছবি

৪০ শতাংশ কৃষক যথাযথ মজুরি পান না: বিবিএসের জরিপ

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ১১ ব্যাংকের সম্পদের মান যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত

চট্টগ্রামে সমন্বিত তৈরি পোশাক শিল্পাঞ্চল গড়ার প্রস্তাব বিজিএমইএর

অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন ১৭ লাখের বেশি করদাতা: এনবিআর

ছবি

বাক্কো ও আকিজ টেলিকমের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত

মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেখ হাসিনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি সোমবার

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল ছয় মাসের জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার অনুমোদন

ছবি

সব সঞ্চয়পত্রের মুনাফা কমলো

ছবি

‘শাটডাউন’ এর মধ্যে কাস্টমস চাকরিকে অত্যাবশ্যক ঘোষণা করল সরকার

ছবি

স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করলে তদন্তে ভয় নেই’— এনবিআর ইস্যুতে অর্থ উপদেষ্টার মন্তব্য

ছবি

বিমানবন্দরের ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম গুটাতে বলল কর্তৃপক্ষ

ছবি

অর্থবছরের শেষ দিন শেয়ারবাজারে পতন

ছবি

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম

ছবি

রাজস্ব আদায় গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

মঙ্গলবার ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ থাকবে

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে: ডিবিএ সভাপতি

ছবি

দাম কমেছে অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনের

ছবি

দুদক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার বেড়ে ৫

ছবি

রাজস্ব আদায়ে জোর, ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের

ছবি

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৩১ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

রিজার্ভের নতুন হিসাব প্রকাশ: নিট রিজার্ভে উল্লেখযোগ্য উল্লম্ফন

স্টার্লিংয়ের এফডিআরের টাকা ফেরত দেয়নি ফারইস্ট ফাইন্যান্স, তদন্তে বিএসইসি

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কে পোশাকের দাম বাড়ছে: এইচঅ্যান্ডএম সিইও

ছবি

আলোচনার আশা ভেঙে সচিবালয় থেকে ফিরে গেলেন এনবিআর আন্দোলনকারীরা

লজিস্টিক পলিসির বাস্তবায়নে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান অপরিহার্য: ঢাকা চেম্বার

পরপর পাঁচ কার্যদিবস উত্থানে শেয়ারবাজার

ছবি

জাপান ও ভারতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ছে

ছবি

‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচিতে কাস্টমস কার্যক্রমে অচলাবস্থা

ছবি

‘শর্ত ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করুন’—ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর অনুরোধ

ছবি

বিদেশিদের হস্তান্তরের আগপর্যন্ত এনসিটি পরিচালনায় আলোচনায় নৌবাহিনী

ব্যাংকিং খাত বর্তমানে সংকটময় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে: ডিসিসিআই

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করলো বিডা

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ডিএসইতে মোট লেনদেনের ৪২ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। সব ধরনের সূচকও কমেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ টাকা যার মোট লেনদেনের ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশই দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। দশ কোম্পানি একাই লেনদেন হয়েছে ৬৯৩ কোটি ২২ টাকা। তবে শেয়াবাজারে মূলধন পরিমাণ বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। এরপরও কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর পতনের তুলনায় উত্থান ২ দশমিক ২৭ গুণ বেশি ছিল।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর বাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬২ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩১ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৯৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৬১ কোটি ৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ১২২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৫২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। গেল সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৯১টির, দর কমেছে ৪০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩৭টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ৩৩টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে ডিএসইর সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ২০৬ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৫১ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩ দশমিক ৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ২০৯ দশমিক ৪৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে যা আগের সপ্তাহের শেষে পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ৩৫ পয়েন্ট ছিল। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারে কোন কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১৫ পয়েন্ট ছাড়ালেই তা বিনিয়োগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) মার্জিন ঋণের যোগ্যতা হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ পিই রেশিও বেঁধে দিয়েছে। এ হিসেবে ৪০ পর্যন্ত পিইধারীর শেয়ার বিনিয়োগের জন্য নিরাপদ বলে জানায় বিএসইসি। সেই হিসেবে গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর পিই দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। পিই রেশিও হিসেবে বিনিয়োগ নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি ২০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার বি ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে। সপ্তাহটিতে মোট লেনদেনের ৪২ দশমিক ২৯ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনিক হোটেলের শেয়ারে। একাই মোট শেয়ারের ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ লেনদেন করেছে। এছাড়া ইস্টার্ন হাউজিং ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিস ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, জেমিনি সি ফুড (বি ক্যাটাগরি) ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, সি পাল বিচ ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, এডিএন টেলিকম ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২ দশমিক ৮১ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড (বি ক্যাটাগরি) ২ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কস ২ দশমিক ৩৫ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই সময় স্টকের বাজার মূলধন পরিমাণ কমেছে ৫৭৪ কোটি টাকা। একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক কমেছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৮ কোটি ৯ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৭৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৫২ লাখ টাকা বা ৭৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। তালিকাভুক্ত ১৮৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৬টির, দর কমেছে ৪৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৭টি কোম্পানির। যা কোম্পানিগুলো শেয়ার দর পতন তুলনায় উত্থান ১ দশমিক শূন্য ৭ গুণ বেশি হয়েছে।

পাঁচ ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ২৮৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে। সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৭৫ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৬ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৩ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৪১ দশমিক ৮১ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৯৬২ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৪৮ দশমিক ৭৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই এসএমইএক্স সূচক দশমিক ৭৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৯৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে।

back to top