alt

অর্থ-বাণিজ্য

আবার বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম

কমেছে গরুর মাংসের দাম

আমিরুল মোমিনিন সাগর : শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

https://sangbad.net.bd/images/2023/April/01Apr23/news/image-134928-1661494213.jpg

তিন দিন আগেই ব্রয়লার মুরগির দাম কমে দাঁড়িয়েছিল প্রতি কেজি ১৯০, ১৯৫ টাকায়। আর শুক্রবার তা আবার বেড়ে হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। সপ্তাহ খানেক আগে এই মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। বড় চারটি কোম্পানি দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর কমেছিল দাম।

আর সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল-ডাল-আটা-ময়দা-তেল-চিনিসহ বেশকিছু নিত্যপণ্য।

শুক্রবার রাজধানীর তিনটি কাঁচাবাজার ও বেশ কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মেসার্স হাজী আফজাল গোস্ত বিতানের বিক্রয়কর্মী নুরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘বেচা-বিক্রি কমে যাওয়ায় আজ গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা বিক্রি করছি। আগের সপ্তাহে ৮০০ বিক্রি করেছি। কিনতেই ৭৩০ টাকা পড়ে। একটু বিক্রি বাড়লে আবার ৮০০ টাকা উঠবে।’

শ্যামলী কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর একই ব্রয়লার মুরগি সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে ২৩০ টাকা ও কারওয়ান বাজারে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকার ও বাজার ভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি দরে ।

শ্যামলী কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ টায় বিক্রি করছি।’ তিনি বলেন, ‘তিন দিন আগে দাম কমেছিল, তখন ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।’

ওই দোকানে ব্রয়লার মুরগির কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কবির হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘সেদিনে ১৯৫ টাকা কেনি কিনছি, আজ আবার ২২০ টাকা কেজি। রোজার এই সময়টাতে কম রাখা উচিত ছিল কিন্তু কিছুই করার নেই।’

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাস আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ হতে ২৩০ টাকা। সেই হিসাব অনুযায়ী গত এক মাসে ব্রয়লারের দাম কমেছে ৬.৯৮ শতাংশ। ঠিক এক বছর আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

খোলা বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ডিম হালি ৫০ টাকা ও ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বাজার ভেদে খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা ও বকরির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ও আকার ভেদে দেড় কেজি ওজনের রুইমাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে চাষের কৈ মাছ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি এক কেজি ওজনের কাতল ২৬০ টাকা, ও পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজি ৫০ থেকে ৫১ টাকা ও পাইজাম জাতের মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৫ টাক কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মান ও বাজার ভেদে বিআর আটাশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭২ থেকে ৭৫ টাকা ও ভালো মানের চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে।

https://sangbad.net.bd/images/2023/April/01Apr23/news/images11111.jpg

খোলা আটা ৬০ টাকা ও খোলা ময়দা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেশি মুসুর ডাল কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছোলা বুট বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

পাশাপাশি সাদা চিনিও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ভালো মানের লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা রোজার শুরুতে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে।

এছাড়া সাজনা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি করলা ১০০ টাকা, বরবটি ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। পটোল-ভেন্ডি-ঝিঙা-চিচিংগা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং টমেটো ও গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে শশা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে। লেবু জাত ও আকার ভেদে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়।

শুক্রবার রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘রোজার প্রথম দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার চাপ তৈরি হয়, বর্তমানে সেই চাপ কমে গেছে। তাই ঢাকা শহরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজে ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছি।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি রমজানে কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও তা কমে এসেছে। অন্য দেশের তুলনায় এবং নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। টিসিবির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারকে তেল, চিনিসহ অন্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে নিত্যপণ্যের যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।’

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের নির্বিঘ্ন প্রবেশাধিকার দাবি ডিআরইউর

ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা স্বেচ্ছাচারিতামূলক আচরণ: টিআইবি

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রন আনতে বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো সঠিক : আইএমএফ

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, চীন পাঁচ ও ভারত নয়ে

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

tab

অর্থ-বাণিজ্য

আবার বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম

কমেছে গরুর মাংসের দাম

আমিরুল মোমিনিন সাগর

শনিবার, ০১ এপ্রিল ২০২৩

https://sangbad.net.bd/images/2023/April/01Apr23/news/image-134928-1661494213.jpg

তিন দিন আগেই ব্রয়লার মুরগির দাম কমে দাঁড়িয়েছিল প্রতি কেজি ১৯০, ১৯৫ টাকায়। আর শুক্রবার তা আবার বেড়ে হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা। সপ্তাহ খানেক আগে এই মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়। বড় চারটি কোম্পানি দাম কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর কমেছিল দাম।

আর সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকায়। আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল-ডাল-আটা-ময়দা-তেল-চিনিসহ বেশকিছু নিত্যপণ্য।

শুক্রবার রাজধানীর তিনটি কাঁচাবাজার ও বেশ কয়েকটি মুদি দোকান ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সেগুন বাগিচা কাঁচা বাজারের গরুর মাংস বিক্রেতা মেসার্স হাজী আফজাল গোস্ত বিতানের বিক্রয়কর্মী নুরুল ইসলাম সংবাদকে বলেন, ‘বেচা-বিক্রি কমে যাওয়ায় আজ গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা বিক্রি করছি। আগের সপ্তাহে ৮০০ বিক্রি করেছি। কিনতেই ৭৩০ টাকা পড়ে। একটু বিক্রি বাড়লে আবার ৮০০ টাকা উঠবে।’

শ্যামলী কাঁচাবাজারে ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর একই ব্রয়লার মুরগি সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে ২৩০ টাকা ও কারওয়ান বাজারে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আকার ও বাজার ভেদে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি দরে ।

শ্যামলী কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান সংবাদকে বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০ টায় বিক্রি করছি।’ তিনি বলেন, ‘তিন দিন আগে দাম কমেছিল, তখন ১৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।’

ওই দোকানে ব্রয়লার মুরগির কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী কবির হোসেন সংবাদকে বলেন, ‘সেদিনে ১৯৫ টাকা কেনি কিনছি, আজ আবার ২২০ টাকা কেজি। রোজার এই সময়টাতে কম রাখা উচিত ছিল কিন্তু কিছুই করার নেই।’

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাস আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ২০০ হতে ২৩০ টাকা। সেই হিসাব অনুযায়ী গত এক মাসে ব্রয়লারের দাম কমেছে ৬.৯৮ শতাংশ। ঠিক এক বছর আগে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।

খোলা বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ডিম হালি ৫০ টাকা ও ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

বাজার ভেদে খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা ও বকরির মাংস ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজার ও আকার ভেদে দেড় কেজি ওজনের রুইমাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া বাজারে চাষের কৈ মাছ ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি এক কেজি ওজনের কাতল ২৬০ টাকা, ও পাবদা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে স্বর্ণা জাতের মোটা চাল কেজি ৫০ থেকে ৫১ টাকা ও পাইজাম জাতের মোটা চাল ৫৪ থেকে ৫৫ টাক কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মান ও বাজার ভেদে বিআর আটাশ ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭২ থেকে ৭৫ টাকা ও ভালো মানের চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে।

https://sangbad.net.bd/images/2023/April/01Apr23/news/images11111.jpg

খোলা আটা ৬০ টাকা ও খোলা ময়দা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেশি মুসুর ডাল কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি ছোলা বুট বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।

পাশাপাশি সাদা চিনিও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ভালো মানের লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা রোজার শুরুতে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে।

এছাড়া সাজনা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি করলা ১০০ টাকা, বরবটি ও কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। পটোল-ভেন্ডি-ঝিঙা-চিচিংগা ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং টমেটো ও গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মানভেদে শশা বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ থেকে ১০০ টাকা দরে। লেবু জাত ও আকার ভেদে হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৭০ টাকায়।

শুক্রবার রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘রোজার প্রথম দিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার চাপ তৈরি হয়, বর্তমানে সেই চাপ কমে গেছে। তাই ঢাকা শহরেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেছে। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে। দেশের কৃষকরা যাতে পেঁয়াজে ন্যায্যমূল্য পায় তা নিশ্চিত করতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমিয়ে দিয়েছি।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থানে রয়েছে। চলতি রমজানে কিছু পণ্যের দাম বাড়লেও তা কমে এসেছে। অন্য দেশের তুলনায় এবং নিত্যপণ্যের দাম ক্রমান্বয়ে কমছে। টিসিবির মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবারকে তেল, চিনিসহ অন্য পণ্য দেওয়া হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে নিত্যপণ্যের যে দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।’

back to top