অপরিশোধিত চিনির বৈশ্বিক দাম এক দশকের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে। শীর্ষ দেশগুলো থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকট আকার ধারণ করায় বাজারদরে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। মার্কেট ইনসাইডার।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে গত বুধবার অপরিশোধিত চিনির দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। অথচ এর একদিন আগেই ভোগ্যপণ্যটির দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
চলতি বছরের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদক। কোটার ভিত্তিতে দেশটি চিনি রপ্তানি করে। আগামী মৌসুমে ভারত চিনি রপ্তানি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর প্রকাশের পর সর্বশেষ চিনির দাম বাড়ে।
এদিকে শীর্ষ উৎপাদক দেশ ব্রাজিলে এখনও চিনি মজুদ নিম্নমুখী। মূলত বৃষ্টির কারণে দেরিতে আখ সংগ্রহ শুরু করায় চিনি উৎপাদনেও বিলম্ব হয়েছে, যা মজুদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে ইউরোপ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন ও মেক্সিকোয়ও উৎপাদনে নানা চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে আইসিই ফিউচারস ইউরোপে সাদা চিনির দাম ১ শতাংশ কমে গেছে। অথচ মঙ্গলবার এর দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১২ বছরের সর্বোচ্চে উঠে এসেছিল।
এদিকে দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়তি। রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম এখন ৮৩ টাকা। দুই দিন আগে তা ছিল ৮৪ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল চিনির দাম। দুই মাস আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৯০ টাকায় উঠে গেছে। কারওয়ান বাজারে খোলা চিনির কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকা। আর প্যাকেট করা প্রতি কেজি চিনির দাম ৯৫ টাকার বেশি।
অলিগলির দোকানে ইচ্ছেমতো নেয়া হচ্ছে চিনির দাম। অনেক দোকানে চিনি মিলছে না। দোকানিরা বলেন, ‘চাহিদামতো চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, দাম বেশি।’
সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। এক মাস আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮০ থেকে ৮২ টাকা। মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ ভাগ। টিসিবি বলছে, এক বছর আগে এই সময়ে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা।
২০২১ সালের শুরুতে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৬৫ টাকা। পরবর্তী সময় ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৭০ টাকা। পরে গেল ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন-বিএসএফআইসি আরও ৫ টাকা দাম বাড়িয়ে করে ৭৫ টাকা।
শনিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৩
অপরিশোধিত চিনির বৈশ্বিক দাম এক দশকের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে। শীর্ষ দেশগুলো থেকে সরবরাহ কমে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকট আকার ধারণ করায় বাজারদরে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। মার্কেট ইনসাইডার।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে গত বুধবার অপরিশোধিত চিনির দাম ১ দশমিক ৯ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। অথচ এর একদিন আগেই ভোগ্যপণ্যটির দাম ২ দশমিক ৬ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
চলতি বছরের এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম ১৯ শতাংশ বেড়েছে। ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদক। কোটার ভিত্তিতে দেশটি চিনি রপ্তানি করে। আগামী মৌসুমে ভারত চিনি রপ্তানি না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর প্রকাশের পর সর্বশেষ চিনির দাম বাড়ে।
এদিকে শীর্ষ উৎপাদক দেশ ব্রাজিলে এখনও চিনি মজুদ নিম্নমুখী। মূলত বৃষ্টির কারণে দেরিতে আখ সংগ্রহ শুরু করায় চিনি উৎপাদনেও বিলম্ব হয়েছে, যা মজুদে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে ইউরোপ, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, চীন ও মেক্সিকোয়ও উৎপাদনে নানা চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে আইসিই ফিউচারস ইউরোপে সাদা চিনির দাম ১ শতাংশ কমে গেছে। অথচ মঙ্গলবার এর দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১২ বছরের সর্বোচ্চে উঠে এসেছিল।
এদিকে দেশের বাজারে চিনির দাম বাড়তি। রাজধানীর বৃহৎ পাইকারি বাজার মৌলভীবাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম এখন ৮৩ টাকা। দুই দিন আগে তা ছিল ৮৪ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল চিনির দাম। দুই মাস আগে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৭২ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ৯০ টাকায় উঠে গেছে। কারওয়ান বাজারে খোলা চিনির কেজি ৯০ থেকে ৯২ টাকা। আর প্যাকেট করা প্রতি কেজি চিনির দাম ৯৫ টাকার বেশি।
অলিগলির দোকানে ইচ্ছেমতো নেয়া হচ্ছে চিনির দাম। অনেক দোকানে চিনি মিলছে না। দোকানিরা বলেন, ‘চাহিদামতো চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। যাও পাওয়া যাচ্ছে, দাম বেশি।’
সরকারি বিপণন প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, টিসিবির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। এক মাস আগে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮০ থেকে ৮২ টাকা। মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৮ ভাগ। টিসিবি বলছে, এক বছর আগে এই সময়ে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৭৮ থেকে ৮০ টাকা।
২০২১ সালের শুরুতে এক কেজি চিনির দাম ছিল ৬৫ টাকা। পরবর্তী সময় ৫ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৭০ টাকা। পরে গেল ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন-বিএসএফআইসি আরও ৫ টাকা দাম বাড়িয়ে করে ৭৫ টাকা।