alt

অর্থ-বাণিজ্য

আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে বেশি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশে আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। একটি প্রজন্ম সম্পদ আয় করে ও পরবর্তী প্রজন্ম তা ভোগ করে। তাই সেখানে সম্পদের বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায্যতা নিয়ে আসতে হবে। ওই বৈষম্য হ্রাস ও রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশে উত্তরাধিকার কর প্রচলন অত্যন্ত প্রয়োজন।

বুধবার (২৪ মে) এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ‘স্টেট অ্যান্ড স্কোপ অব প্রোপার্টি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সিপিডি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রাজধানীর পূর্বাচলে হাজার হাজার প্লট খালি পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেখানে জমির মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, সেখানে জমি কিনছেন ধনী ব্যক্তিরা। কিন্তু এই জমির বিপরীতে তাদের কোন কর দেয়া লাগছে না। এভাবে পূর্বাচল তাদের জন্য একটি ট্যাক্স হ্যাভেনে (করের স্বর্গ) পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্পদ করের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। জমি ও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে কর আরোপ হচ্ছে না। এখানে বৈষম্য রয়েছে। জমির ওপর বিনিয়োগ বাড়ছে, কারণ জমির দাম অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে। এটার বড় কারণ এই বিনিয়োগে বড় ধরনের কর দিতে হয় না।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশের জিডিপি যদি ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, তাহলে সম্পদ কর ০.৪ শতাংশ বাড়ার কথা। আমরা যদি জিডিপি ৬ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ হিসাবে যোগ করে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি বিবেচনা করি, তাহলে সম্পদ কর ৬ হাজার কোটি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। সেটা আমরা পাইনি। উন্নয়নশীল দেশ বিবেচনায় আফ্রিকার সম্পদ কর ০.৩ শতাংশ, আমরা সেখান থেকেও পিছিয়ে আছি। অথচ আমাদের দেশের আয় অফ্রিকার দেশেগুলোর চেয়ে বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন ধরনের সম্পদ কর নিয়ে কাজ করেছি। একটি হলো প্রত্যক্ষ সম্পদ কর, হোল্ডিং কর ও উত্তরাধিকার কর। বাংলাদেশে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ, একইসঙ্গে বৈষম্যও বেড়েছে। কিন্তু দেখার বিষয় আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। আয় বৈষম্য ১.৪ শতাংশ বেড়ে থাকলে সম্পদের বৈষম্য বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ সম্পদের বৈষম্য ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হচ্ছে ও বৈষম্য কয়েকগুণ হারে বাড়ছে।’ দ্রেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তার প্রবন্ধে বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫ ধরনের ট্যাক্স চলমান রয়েছে- ভূমি উন্নয়ন কর, ওয়েলথ সারচার্জ, হোল্ডিং ট্যাক্স, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ও গিফট ট্যাক্স। এর মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি যখন নিজেদের মধ্যে দান বা হেবা হয়, সেখানে কোন ট্যাক্স নেই। আমরা এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছি। শুধু উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই ট্যাক্স অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে।’

সরকারকে করের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন নিজে কোন প্রকল্প গ্রহণ করেন, যেমন- ইকোনমিক জোন কিংবা বড় কোন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ করে। তখন তারা ট্যাক্স দেয় না। এখানে সরকার ব্যক্তি খাতের সঙ্গে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করছে। আবার সম্পদ সারচার্জ ৩৫ শতাংশ রয়েছে। এটাকেও আমরা উচ্চ মনে করছি। ট্যাক্স সিস্টেমের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যেও বৈষম্য রয়েছে। দেশের ভেতরে সম্পদ যেভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যেভাবে আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদ বৈষম্য বেশি বেড়েছে। ন্যায্যতা ও বৈষম্য হ্রাসে সম্পদ করের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ভূমি কর বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে। এখন আস্তে আস্তে কিছু কিছু সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনও বহু টাকা বকেয়া আছে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি শিল্প চলছে, কিন্তু গ্যাস বিল দিচ্ছে না। এভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে এভাবে আর চলতে পারে না।’

ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০-২৫ বছর আগেও মানুষের ভূমি নিয়ে এত আগ্রহ ছিল না। এখন মানুষ ভূমির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

সিপিডি বলছে, নতুন এলাকা হিসাবে ভূমি কর আধুনিক করতে হবে। হোল্ডিং ট্যাক্সকে যুগোপযোগী করতে হবে। সম্পদ আয় করে একটি প্রজন্ম। এটা ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্ম। সেখানে ন্যায্যতা নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের উত্তরাধিকার কর প্রচলন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এর সঙ্গে সার্বিক সুশাসন, কর ব্যবস্থাপনাকে সহজিকরণ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা জরুরি।

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা ‘ইতিবাচক’ তবে তা প্রকাশে অপারগ বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছবি

রেমিটেন্সের ঊর্ধ্বমুখী ধারায় নতুন অর্থবছর শুরু

ছবি

বৈদেশিক লেনদেনে স্বস্তি, কমেছে ‘বাণিজ্য ঘাটতি’

ছবি

ডলারের দর কমায় নিলামে ১৭ কোটি ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় কমেছে লেনদেন

ছবি

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নতুন মহাপরিচালকের যোগদান

ছবি

রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনে ৩০০০ টাকা ছাড়

দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থায় আছে: বিশ্বব্যাংক

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আলমগীরসহ তিনজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

১১ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ৪.২৪ শতাংশ, বেড়েছে রপ্তানি ও আমদানি

এক সপ্তাহে ডলারের দাম কমলো ২ টাকা ৯০ পয়সা

ছবি

জুনে ভারতে রপ্তানি কমেছে ৩২ শতাংশ

সূচকের পতন, কমেছে লেনদেনও

ছবি

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত-ঋণ-হিসাব বেড়েছে, কমেছে এজেন্ট-আউটলেট

ছবি

“বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা নয়, সত্য বলুন”—মোবাইল কোম্পানিগুলোর উদ্দেশে তৈয়্যব

‘সিন্ডিকেটের কবজায়’ এয়ারলাইন্সের টিকেট, অভিযোগ অ্যাটাবের

ছবি

২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে সরকারের ঋণ হবে সাড়ে ২৩ লাখ কোটি টাকা

পাল্টা শুল্কের শঙ্কায় বাংলাদেশ থেকে পোশাকের ক্রয়াদেশ পিছিয়েছে ওয়ালমার্ট

ছবি

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে

১০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধনে যোগ হলো শেয়ারবাজারে

ছবি

চার দিনের সফরে এসেছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ডলার ছাড়ালো

ছবি

বাংলাদেশে উন্মোচিত হলো টেকনো স্পার্ক ৪০ এবং স্পার্ক ৪০ প্রো

ছবি

বাজারে লেনোভোর আইডিয়াপ্যাড স্লিম ৩ আই সিরিজের নতুন পাঁচটি ল্যাপটপ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীন ও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে

তিন কারণে পণ্য রপ্তানিতে আগের মতোই প্রণোদনা পাবেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

টানা ৭ মাস বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের নিচে

পাল্টা শুল্ক নিয়ে চার উপদেষ্টাকে উদ্বেগ জানালেন ব্যবসায়ীরা

ছবি

ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়ার উদ্যোগ

আমদানিপণ্য দ্রুত খালাসের আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

ছবি

আবুল বারকাতকে রিমান্ডে চেয়ে দুদকের আবেদন, আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হলো

ছবি

দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি বেড়েছে

ছবি

বাজার সম্প্রসারণে আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে জোর ব্যবসায়ীদের

নথি গায়েব করে ১৪৬ কোটি টাকার কর ফাঁকি

অধিকাংশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে ‘ফিকশন’ পাওয়া গেছে: গভর্নর

tab

অর্থ-বাণিজ্য

আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে বেশি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশে আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। একটি প্রজন্ম সম্পদ আয় করে ও পরবর্তী প্রজন্ম তা ভোগ করে। তাই সেখানে সম্পদের বৈষম্য হ্রাস করে ন্যায্যতা নিয়ে আসতে হবে। ওই বৈষম্য হ্রাস ও রাজস্ব আদায়ে বাংলাদেশে উত্তরাধিকার কর প্রচলন অত্যন্ত প্রয়োজন।

বুধবার (২৪ মে) এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ‘স্টেট অ্যান্ড স্কোপ অব প্রোপার্টি ট্যাক্সেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সিপিডি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘রাজধানীর পূর্বাচলে হাজার হাজার প্লট খালি পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেখানে জমির মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ, সেখানে জমি কিনছেন ধনী ব্যক্তিরা। কিন্তু এই জমির বিপরীতে তাদের কোন কর দেয়া লাগছে না। এভাবে পূর্বাচল তাদের জন্য একটি ট্যাক্স হ্যাভেনে (করের স্বর্গ) পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্পদ করের ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে আছে। জমি ও বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে কর আরোপ হচ্ছে না। এখানে বৈষম্য রয়েছে। জমির ওপর বিনিয়োগ বাড়ছে, কারণ জমির দাম অস্বাভাবিকহারে বাড়ছে। এটার বড় কারণ এই বিনিয়োগে বড় ধরনের কর দিতে হয় না।’

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘দেশের জিডিপি যদি ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়, তাহলে সম্পদ কর ০.৪ শতাংশ বাড়ার কথা। আমরা যদি জিডিপি ৬ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ হিসাবে যোগ করে ১২ শতাংশ বৃদ্ধি বিবেচনা করি, তাহলে সম্পদ কর ৬ হাজার কোটি বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। সেটা আমরা পাইনি। উন্নয়নশীল দেশ বিবেচনায় আফ্রিকার সম্পদ কর ০.৩ শতাংশ, আমরা সেখান থেকেও পিছিয়ে আছি। অথচ আমাদের দেশের আয় অফ্রিকার দেশেগুলোর চেয়ে বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তিন ধরনের সম্পদ কর নিয়ে কাজ করেছি। একটি হলো প্রত্যক্ষ সম্পদ কর, হোল্ডিং কর ও উত্তরাধিকার কর। বাংলাদেশে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ, একইসঙ্গে বৈষম্যও বেড়েছে। কিন্তু দেখার বিষয় আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদের বৈষম্য বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। আয় বৈষম্য ১.৪ শতাংশ বেড়ে থাকলে সম্পদের বৈষম্য বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। অর্থাৎ সম্পদের বৈষম্য ক্রমান্বয়ে ঘনীভূত হচ্ছে ও বৈষম্য কয়েকগুণ হারে বাড়ছে।’ দ্রেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তার প্রবন্ধে বলেন, ‘বাংলাদেশে ৫ ধরনের ট্যাক্স চলমান রয়েছে- ভূমি উন্নয়ন কর, ওয়েলথ সারচার্জ, হোল্ডিং ট্যাক্স, ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স ও গিফট ট্যাক্স। এর মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি যখন নিজেদের মধ্যে দান বা হেবা হয়, সেখানে কোন ট্যাক্স নেই। আমরা এ বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছি। শুধু উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই ট্যাক্স অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে।’

সরকারকে করের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার যখন নিজে কোন প্রকল্প গ্রহণ করেন, যেমন- ইকোনমিক জোন কিংবা বড় কোন প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ করে। তখন তারা ট্যাক্স দেয় না। এখানে সরকার ব্যক্তি খাতের সঙ্গে এক ধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করছে। আবার সম্পদ সারচার্জ ৩৫ শতাংশ রয়েছে। এটাকেও আমরা উচ্চ মনে করছি। ট্যাক্স সিস্টেমের ক্ষেত্রে শহর ও গ্রামের মধ্যেও বৈষম্য রয়েছে। দেশের ভেতরে সম্পদ যেভাবে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যেভাবে আয়ের বৈষম্য বেড়েছে। আয় বৈষম্যের চেয়ে সম্পদ বৈষম্য বেশি বেড়েছে। ন্যায্যতা ও বৈষম্য হ্রাসে সম্পদ করের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ভূমি কর বাবদ হাজার হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেছে। এখন আস্তে আস্তে কিছু কিছু সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু এখনও বহু টাকা বকেয়া আছে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, সরকারি শিল্প চলছে, কিন্তু গ্যাস বিল দিচ্ছে না। এভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। তবে এভাবে আর চলতে পারে না।’

ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০-২৫ বছর আগেও মানুষের ভূমি নিয়ে এত আগ্রহ ছিল না। এখন মানুষ ভূমির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। এই প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

সিপিডি বলছে, নতুন এলাকা হিসাবে ভূমি কর আধুনিক করতে হবে। হোল্ডিং ট্যাক্সকে যুগোপযোগী করতে হবে। সম্পদ আয় করে একটি প্রজন্ম। এটা ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্ম। সেখানে ন্যায্যতা নিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের উত্তরাধিকার কর প্রচলন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এর সঙ্গে সার্বিক সুশাসন, কর ব্যবস্থাপনাকে সহজিকরণ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা জরুরি।

back to top