alt

অর্থ-বাণিজ্য

২০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য রেকর্ড করতে যাচ্ছে রাশিয়া-চীন

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক : শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে) ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং -ছবি ইন্টারনেট

রাশিয়া ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চলতি বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে। এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিন। পশ্চিমা বয়কটের মুখে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া। সিএনএন বিজনেস।

সম্প্রতি সাংহাইয়ে চায়না-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে দেয়া ভাষণে রুশ প্রধানমন্ত্রী মিশুসতিন বলেন, ‘?আশা করছি চলতি বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।’

চলতি বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে তা হবে উভয় দেশের জন্য অনন্য একটি অর্জন। ২০১৯ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক যৌথ ঘোষণায় বলেছিলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে।’

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলার স্পর্শ করা মানে রাশিয়া থেকে কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াবে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটি। এছাড়া চীনা গাড়ি কোম্পানিগুলো রাশিয়ায় স্থানীয়ভাবে গাড়ি নির্মাণ বাড়াবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকেই বড় আকারের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে মস্কো। পশ্চিমা দুনিয়ায় অনেকটা একঘরে করে রাখা হয় ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে। তবে ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কে পশ্চিমাদের তোয়াক্কা করেনি বেইজিং বরং চীন ও ভারতের মতো মিত্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টা করেছে রাশিয়া।

গত বছর রাশিয়ার সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে রেকর্ড ১৯ হাজার কোটি ডলার। ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে রাশিয়ায় চীনের রপ্তানি ছিল এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির মোট বাণিজ্যের ৩ শতাংশ। গত বছর রেলপথ হয়ে চীনে রাশিয়ার তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) রপ্তানি ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন কোম্পানি গ্যাজপ্রমের মতে, ২০২২ সালে পাওয়ার অব সাইবেরিয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়েছে চীনের।

২০২৩ সালে চীন-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেশ চাঙ্গা। চীনের শুল্ক বিভাগ বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৪১ শতাংশ বেড়েছে। সৌদি আরবকে হটিয়ে এখন চীনের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া।

চীন সফররত রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেইজিংয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহায়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়।’

গত বুধবার বেইজিংয়ে মিশুসতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। বিভিন্ন খাতে বাস্তবসম্মত পারস্পরিক সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনা প্রিমিয়ার।

রুশ প্রধানমন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষায় দুই পক্ষের সম্পর্কে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মিশুসতিনের। চীনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে চীনে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ ৪০ শতাংশ বাড়বে বলে আশাবাদী রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক।

বাণিজ্য পণ্যগুলোর মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল অন্যতম। রাশিয়া থেকে চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি গত মাসে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বেসরকারি বৃহৎ পরিশোধন কোম্পানিগুলো কম দামে জ্বালানি রাশিয়া থেকে কিনতে শুরু করায় আমদানিতে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, এপ্রিলে সমুদ্রপথে ও পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ৭১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে চীন। সে হিসাবে প্রতিদিন কেনা হয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। গত মার্চে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে রেকর্ড গড়েছিল চীন। আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২২ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। সে হিসাবে এপ্রিলে আমদানি ছিল কিছুটা কম। অর্থাৎ গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় বাড়লেও এ বছরের মার্চের তুলনায় সব মিলিয়ে আমদানি ১৬ শতাংশ কমেছে।

চীনে সরকারি পরিশোধন কেন্দ্র ও মেগা প্রাইভেট প্লান্টগুলো সৌদি আরব থেকেই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল কেনে। শুল্ক বিভাগের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে কেনা হয়েছে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টন বা দৈনিক ২০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২১ লাখ ব্যারেল। গত বছরের একই সময় যা ছিল দৈনিক ২১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ এক মাস ও এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে।

বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে আমদানি ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ টনে। অন্যদিকে সৌদি আরব থেকে আমদানি ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির ?পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টন। অর্থাৎ এবার চীনে জ্বালানি তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া।

ছবি

ঈদুল আজহা সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি ২১ মে থেকে

ছবি

এপ্রিল মাসে অর্থনীতির গতি কমেছে, পিএমআই সূচক নামলো ৮ দশমিক ৮ পয়েন্টে

অনিবন্ধিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার

বাংলাদেশ জুড়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের টেকসই নানা উদ্যোগ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করলেন এডিবি প্রেসিডেন্ট

মূল্যস্ফীতি ৪ থেকে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব: বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর

ছবি

কর প্রশাসন আধুনিকায়নে এডিবির সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রস্তাব অর্থ উপদেষ্টার

বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ

ছবি

২০৩০ সালে চালু হবে বে টার্মিনাল, কর্মসংস্থান লাখ মানুষের

ছবি

চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন রপ্তানি আয় এপ্রিলে

ছবি

গ্লাস শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০৩০ সাল পর্যন্ত মওকুফ

বিজিএমইএ নির্বাচন: সম্মিলিত পরিষদের ৩৫ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা

ছবি

মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, যা ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের চেয়েও বেশি

দ্বিতীয় দিনেও আইএমএফের সঙ্গে সমঝোতা হয়নি

ছবি

ডেনিম এক্সপো শুরু হচ্ছে ১২ মে

যুদ্ধের প্রভাবে সূচক পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারে, রুপিরও দরপতন

একনেকে ৩৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি

রাজশাহীতে দেড় হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির লক্ষ্য

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ঢাকার শেয়ারবাজারে বড় ধস

ছবি

পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার হবে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

ছবি

ফের পতন শেয়ারবাজারে, সূচকের অবস্থান ৪ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে

চার খাতে এডিবির কাছে সহযোগিতা চাইলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

বাংলাদেশকে প্রায় ৪০ কোটি ইউরো ঋণ ও অনুদান দিচ্ছে ইআইবি এবং ইইউ

ছবি

এপ্রিলে তৈরি পোশাকে রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার

ছবি

চট করে আইএমএফের শর্ত মেনে নিয়ে কিছুই করব না: অর্থ উপদেষ্টা

বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন শেয়ারবাজারে

ছবি

বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হলো সাউথইস্ট ব্যাংকের এমডিকে

বিনিয়োগ নিয়ে কাজ করা ছয় সংস্থা একীভূত করার উদ্যোগে কমিটি গঠন

ছবি

মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ২০ ব্যাংকের

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় ব্যাংকে অভিন্ন পদোন্নতি নীতিমালা

ছবি

আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন ডিএসইতে, সূচক বেড়েছে ৮ পয়েন্ট

ছবি

ঋণের দুই কিস্তি ছাড়ে ফের আলোচনায় বসছে আইএমএফ

ছবি

আইএমএফ ঋণ নিয়ে এডিবির জিজ্ঞাসা, আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ

ছবি

উদ্যোক্তাদের সুবিধায় বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এলো জাতিক ক্যাপিটাল

tab

অর্থ-বাণিজ্য

২০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য রেকর্ড করতে যাচ্ছে রাশিয়া-চীন

সংবাদ অনলাইন ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে) ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং -ছবি ইন্টারনেট

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

রাশিয়া ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চলতি বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে। এমনই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুসতিন। পশ্চিমা বয়কটের মুখে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াচ্ছে রাশিয়া। সিএনএন বিজনেস।

সম্প্রতি সাংহাইয়ে চায়না-রাশিয়া বিজনেস ফোরামে দেয়া ভাষণে রুশ প্রধানমন্ত্রী মিশুসতিন বলেন, ‘?আশা করছি চলতি বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।’

চলতি বছরে ২০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে তা হবে উভয় দেশের জন্য অনন্য একটি অর্জন। ২০১৯ সালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক যৌথ ঘোষণায় বলেছিলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলারের রেকর্ড গড়বে।’

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলার স্পর্শ করা মানে রাশিয়া থেকে কৃষিপণ্য আমদানি বাড়াবে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতিটি। এছাড়া চীনা গাড়ি কোম্পানিগুলো রাশিয়ায় স্থানীয়ভাবে গাড়ি নির্মাণ বাড়াবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আগ্রাসনের পর থেকেই বড় আকারের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে মস্কো। পশ্চিমা দুনিয়ায় অনেকটা একঘরে করে রাখা হয় ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়াকে। তবে ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কে পশ্চিমাদের তোয়াক্কা করেনি বেইজিং বরং চীন ও ভারতের মতো মিত্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়িয়ে অর্থনীতি সচল রাখার চেষ্টা করেছে রাশিয়া।

গত বছর রাশিয়ার সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে রেকর্ড ১৯ হাজার কোটি ডলার। ২০২১ সালের তুলনায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৩০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালে রাশিয়ায় চীনের রপ্তানি ছিল এশিয়ার শীর্ষ অর্থনীতির মোট বাণিজ্যের ৩ শতাংশ। গত বছর রেলপথ হয়ে চীনে রাশিয়ার তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) রপ্তানি ছিল দ্বিগুণেরও বেশি।

রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত তেল উত্তোলন কোম্পানি গ্যাজপ্রমের মতে, ২০২২ সালে পাওয়ার অব সাইবেরিয়া পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়েছে চীনের।

২০২৩ সালে চীন-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বেশ চাঙ্গা। চীনের শুল্ক বিভাগ বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ৪১ শতাংশ বেড়েছে। সৌদি আরবকে হটিয়ে এখন চীনের সর্বোচ্চ অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া।

চীন সফররত রুশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বেইজিংয়ের সঙ্গে জ্বালানি সহায়তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়।’

গত বুধবার বেইজিংয়ে মিশুসতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। বিভিন্ন খাতে বাস্তবসম্মত পারস্পরিক সহযোগিতায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন চীনা প্রিমিয়ার।

রুশ প্রধানমন্ত্রীর বরাতে বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়, পারস্পরিক স্বার্থ সুরক্ষায় দুই পক্ষের সম্পর্কে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মিশুসতিনের। চীনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরে চীনে রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহ ৪০ শতাংশ বাড়বে বলে আশাবাদী রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক।

বাণিজ্য পণ্যগুলোর মধ্যে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল অন্যতম। রাশিয়া থেকে চীনের অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি গত মাসে ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। বেসরকারি বৃহৎ পরিশোধন কোম্পানিগুলো কম দামে জ্বালানি রাশিয়া থেকে কিনতে শুরু করায় আমদানিতে উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, এপ্রিলে সমুদ্রপথে ও পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে ৭১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল কিনেছে চীন। সে হিসাবে প্রতিদিন কেনা হয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার ব্যারেল। গত মার্চে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিতে রেকর্ড গড়েছিল চীন। আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২২ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। সে হিসাবে এপ্রিলে আমদানি ছিল কিছুটা কম। অর্থাৎ গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় বাড়লেও এ বছরের মার্চের তুলনায় সব মিলিয়ে আমদানি ১৬ শতাংশ কমেছে।

চীনে সরকারি পরিশোধন কেন্দ্র ও মেগা প্রাইভেট প্লান্টগুলো সৌদি আরব থেকেই সবচেয়ে বেশি জ্বালানি তেল কেনে। শুল্ক বিভাগের তথ্যমতে, গত মাসে দেশটি থেকে সব মিলিয়ে কেনা হয়েছে ৮৪ লাখ ৬০ হাজার টন বা দৈনিক ২০ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল। মার্চে আমদানির পরিমাণ ছিল দৈনিক ২১ লাখ ব্যারেল। গত বছরের একই সময় যা ছিল দৈনিক ২১ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেল। অর্থাৎ এক মাস ও এক বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে।

বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়া থেকে আমদানি ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ টনে। অন্যদিকে সৌদি আরব থেকে আমদানি ২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির ?পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টন। অর্থাৎ এবার চীনে জ্বালানি তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে রাশিয়া।

back to top