alt

অর্থ-বাণিজ্য

৪ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আম রপ্তানি শুরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন ৪টি দেশে প্রায় ১০ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এবারের আম রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার টন। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানির উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

এদিকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ২৮টি দেশে ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়।

অনুষ্ঠানে ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে। দেশে ২৪ লাখ টনের ওপরে আম উৎপাদন হয়। গত বছর ১ হাজার ৭৫৭ টন রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।’

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০২২ থেকে ২০২৭ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫টি জেলার ৪৬টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তায় উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন প্রদর্শনী- ৩৫০টি, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন-৬০৪টি, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা-২৪০টি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী ২০০টি স্থাপন করা হয়েছে।

মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রদর্শনীগুলো ক্লাস্টার আকারে স্থাপিত করা হচ্ছে; ইতোমধ্যে ৯টি উপজেলায় ৩৭১ জন আম চাষিকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে। মানসম্মত আম উৎপাদন ও পোস্ট-হার্ভেন্ট ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে কৃষক গ্রুপে ম্যাংগো প্লাকার, হাইড্রোলিক ম্যাংগো হারভেস্টার, গার্ডেন টিলার, ফুট পাম্প, এলএলপি ও ফিতাপাইপ সেট সরবরাহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ) সনদ প্রদানে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বিদ্যমান না থাকায় ইউরোপ ও আমেরিকার মূলধারার সুপার মার্কেটগুলো আম রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। আমের গ্যাপ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রয়োজনীয় জনবল ও সক্ষমতা অর্জন করা গেলে বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশগুলো আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানি তরান্বিত করার লক্ষ্যে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আমের পেস্টরিস্ক অ্যানালাইসিস (পিআরএ) ও উত্তম কৃষি চর্চা তৈরি এবং জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদর্শনী এবং কৃষি প্রযুক্তির তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া রপ্তানিযোগ্য ৫টি আমের জাতের প্রোডাক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে।

ছবি

আয় বৈষম্য বেড়ে যাওয়া উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে: বিনায়ক সেন

ব্যাংক বিপর্যয় ঠেকাতে সংশোধনী পদক্ষেপের নির্দেশ

দেশে উদ্বেগজনক হারে আয় বৈষম্য বেড়েছে : বিনায়ক সেন

চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানিরও সম্ভাবনা আছে লোহা ও লোহাজাত পণ্য

ঢাকায় প্রবাসী আয় সবচেয়ে বেশি, কম লালমনিরহাটে

এলডব্লিউজি সনদ পেলো তিনটি ট্যানারি

ছবি

ব্যাংক বিপর্যয় ঠেকাতে সংশোধনী পদক্ষেপের নির্দেশ

ছবি

বিশ্বের ইতিহাসে সোনার দাম সর্বোচ্চ

ছবি

ডিএসইর পরিদর্শন: বন্ধ আছে পাঁচ কোম্পানির উৎপাদন

ছবি

সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

এলপি গ্যাস : পাঁচ মাসে ৫ দফা দাম বাড়লো

পোশাক শিল্প : এক বছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ২০ শতাংশ

চার মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ

একদিনে ১৭ হাজার কোটি টাকা ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

পরপর তিন দিন শেয়ারবাজারে উত্থান

সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া শীর্ষ ২০টির মধ্যে ১৮টিই বাংলাদেশের

ছবি

১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ২৩ টাকা

ছবি

রিহ্যাবে প্রশাসক হিসেবে উপসচিব জান্নাতুল ফেরদৌসের যোগদান

ইউরোপীয় কমিশনের প্রতিবেদন বাংলাদেশের জন্য ‘সতর্কবার্তা’

পতনে নিমজ্জিত শেয়ারবাজার, বাজার মূলধন আরও কমলো

আগামী বছর এশিয়ায় চাল উৎপাদন কমার আশঙ্কা

ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এখন ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি

ভ্যাট ১০ লাখ টাকা হলেই ই-পেমেন্ট করতে হবে

ইউরোপীয় কমিশনের মূল্যায়ন প্রতিবেদন : বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা হুমকির মুখে

বেড়েছে ডলারের দাম, কমেছে রিজার্ভ

নির্বাচনের প্রার্থীদের ঋণখেলাপির তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

জেলাপর্যায়ে সেরা ভ্যাটদাতা ১৩৮ প্রতিষ্ঠান

যুক্তরাষ্ট্রের লিড স্বীকৃতি পেলো আরেক পোশাক কারখানা

নতুন আয়কর আইনেও ত্রুটি আছে : এনবিআর চেয়ারম্যান

কারণ ছাড়াই অস্বাভাবিক বাড়ছে জিকিউ বলপেনের দর

আন্তর্জাতিক বাজার : ডলারের দরপতন সবচেয়ে বেশি নভেম্বরে

উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে চীনা অর্থের সরবরাহ কমেছে

১৬তম জাতীয় আয়কর দিবস পালিত

এমসিসিআই নতুন সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান

করযোগ্য আয় করেন ৬৫-৭০ লাখ, রিটার্ন আসে অর্ধেক : এনবিআর

ছবি

৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, পদে নিয়োগ ৩১৪০

tab

অর্থ-বাণিজ্য

৪ হাজার টন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আম রপ্তানি শুরু

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের আম রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এদিন ৪টি দেশে প্রায় ১০ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এবারের আম রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার টন। যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার শ্যামপুরে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রপ্তানির উদ্বোধন করেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার।

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী, আম রপ্তানি প্রকল্পের পরিচালক আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস অ্যান্ড এলাইড প্রোডাক্ট এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

এদিকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ২ লাখ হেক্টর জমিতে ২৩ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হয়। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের ২৮টি দেশে ১ হাজার ৭৫৭ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হয়।

অনুষ্ঠানে ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘সারাবিশ্বেই বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে। দেশে ২৪ লাখ টনের ওপরে আম উৎপাদন হয়। গত বছর ১ হাজার ৭৫৭ টন রপ্তানি করা হয়েছে। বিশ্বে আম উৎপাদনে আমরা সপ্তম স্থানে থাকলেও রপ্তানি খুবই কম। রপ্তানি আরও বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য যত ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে তা দূর করা হবে। প্রয়োজনে উৎপাদন স্থানের কাছাকাছি প্যাকিং হাউজ করা হবে।’

রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ২০২২ থেকে ২০২৭ সাল মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৪৭ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে দেশের ১৫টি জেলার ৪৬টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রকল্প সহায়তায় উত্তম কৃষি চর্চার মাধ্যমে আম উৎপাদন প্রদর্শনী- ৩৫০টি, রপ্তানিযোগ্য জাতের আম বাগান সৃজন-৬০৪টি, বিদ্যমান আম বাগানে সার ও বালাই ব্যবস্থাপনা-২৪০টি এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার (প্রুনিং ব্যাগিং ও বালাই ব্যবস্থাপনা) মানসম্মত আম উৎপাদন প্রদর্শনী ২০০টি স্থাপন করা হয়েছে।

মানসম্মত আম উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রদর্শনীগুলো ক্লাস্টার আকারে স্থাপিত করা হচ্ছে; ইতোমধ্যে ৯টি উপজেলায় ৩৭১ জন আম চাষিকে ক্লাস্টার প্রদর্শনীর আওতায় আনা হয়েছে। মানসম্মত আম উৎপাদন ও পোস্ট-হার্ভেন্ট ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে কৃষক গ্রুপে ম্যাংগো প্লাকার, হাইড্রোলিক ম্যাংগো হারভেস্টার, গার্ডেন টিলার, ফুট পাম্প, এলএলপি ও ফিতাপাইপ সেট সরবরাহ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে উত্তম কৃষি চর্চা (গ্যাপ) সনদ প্রদানে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা বিদ্যমান না থাকায় ইউরোপ ও আমেরিকার মূলধারার সুপার মার্কেটগুলো আম রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। আমের গ্যাপ সার্টিফিকেট প্রদানের প্রয়োজনীয় জনবল ও সক্ষমতা অর্জন করা গেলে বাংলাদেশ থেকে উন্নত দেশগুলো আম রপ্তানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ থেকে আম রপ্তানি তরান্বিত করার লক্ষ্যে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের মাধ্যমে আমের পেস্টরিস্ক অ্যানালাইসিস (পিআরএ) ও উত্তম কৃষি চর্চা তৈরি এবং জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রদর্শনী এবং কৃষি প্রযুক্তির তথ্য আদান-প্রদান ও সংরক্ষণের কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়া রপ্তানিযোগ্য ৫টি আমের জাতের প্রোডাক্ট প্রোফাইল তৈরি করা হচ্ছে।

back to top