বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবারও ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। গত বুধবার দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে। প্রায় একমাস আগে গত ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২২ সালের ২৪ মে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (৮ মে) দেশের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে ২৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে এসেছিল। যেটা ছিল গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পেমেন্ট দেয়ায় রিজার্ভ নেমেছিল ৩০ বিলিয়নের নিচে। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ ছিল সর্বোচ্চ, ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।
তবে কোন দেশের জন্য কেমন রিজার্ভ থাকা দরকার বা কী পরিমাণ রিজার্ভ থাকলে সেটাকে বিপজ্জনক বলা যাবে না, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোন দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকলে সেটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না। এখন আমাদের যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে বর্তমানে আমাদের প্রতি মাসে আমদানির দায় মেটাতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়ছে। সে হিসাবে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি সময়ের আমদানির দায় মেটানো সম্ভব। ফলে দেশের বর্তমান রিজার্ভকে কোন অবস্থায় খারাপ বলা যাবে না।’
অন্যদিকে ঈদুল আজহা সামনে রেখে আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্স। চলতি মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।
আগামী জুন মাস থেকে নতুন নিয়মে রিজার্ভ গণনা করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রিজার্ভ গণনা নিয়ে আইএমএফ-এর আপত্তি আছে। আইএমএফ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করার একটি নীতিমালা জারি করে এর নাম দেয়া হয়েছে বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন)। বিশ্বে এটি বিপিএম৬ নামেই পরিচিত। এই পদ্ধতিতে রিজার্ভ গণনা করলে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে আসবে।
এতে রিজার্ভ হিসাবের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। একটি হচ্ছে গ্রস, অন্যটি নিট হিসাব। আইএমএফ-এর পদ্ধতিতে হিসাব করলে বৈদেশিক সম্পদ গণনায় সব বৈদেশিক দায় ও ঋণ এবং রিজার্ভের অর্থ অন্য কোন কাজে ব্যবহার করলে তা মূল রিজার্ভ থেকে বাদ যাবে।
বাংলাদেশ সরকার রিজার্ভের অর্থে ৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন ছাড়াও একাধিক তহবিল পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ বিমান ও শ্রীলঙ্কাকে কিছু অর্থ ঋণ দিয়েছে। আবার ইডিএফ ছাড়াও আরও দুটি তহবিল গঠন করে পরিচালনা করছে বৈদেশিক মুদ্রায়। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে ছিল গত জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ইডিএফ-এর পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে এনেছে। আইএমএফ-এর হিসাব পদ্ধতি মানলে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া আরও দায় থাকলেও বাদ দিয়ে রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতিতে যেতে হবে বাংলাদেশকে।
শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে আবারও ২৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। তিন সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত। গত বুধবার দিনশেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে। প্রায় একমাস আগে গত ৩০ এপ্রিল রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগে ২০২২ সালের ২৪ মে রিজার্ভ ছিল ৪২ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে (৮ মে) দেশের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়নের নিচে নেমে ২৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে এসেছিল। যেটা ছিল গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পেমেন্ট দেয়ায় রিজার্ভ নেমেছিল ৩০ বিলিয়নের নিচে। ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ ছিল সর্বোচ্চ, ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।
তবে কোন দেশের জন্য কেমন রিজার্ভ থাকা দরকার বা কী পরিমাণ রিজার্ভ থাকলে সেটাকে বিপজ্জনক বলা যাবে না, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘কোন দেশের তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর রিজার্ভ থাকলে সেটা কোন বিপদ সংকেত দেয় না। এখন আমাদের যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে ছয় মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে বর্তমানে আমাদের প্রতি মাসে আমদানির দায় মেটাতে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন পড়ছে। সে হিসাবে আমাদের রিজার্ভ দিয়ে ৫ মাসের বেশি সময়ের আমদানির দায় মেটানো সম্ভব। ফলে দেশের বর্তমান রিজার্ভকে কোন অবস্থায় খারাপ বলা যাবে না।’
অন্যদিকে ঈদুল আজহা সামনে রেখে আশা জাগাচ্ছে রেমিট্যান্স। চলতি মে মাসের প্রথম ১৯ দিনে এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি এক ডলার ১০৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ১২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা।
আগামী জুন মাস থেকে নতুন নিয়মে রিজার্ভ গণনা করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রিজার্ভ গণনা নিয়ে আইএমএফ-এর আপত্তি আছে। আইএমএফ-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাব করার একটি নীতিমালা জারি করে এর নাম দেয়া হয়েছে বিপিএম৬ (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন)। বিশ্বে এটি বিপিএম৬ নামেই পরিচিত। এই পদ্ধতিতে রিজার্ভ গণনা করলে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে আসবে।
এতে রিজার্ভ হিসাবের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে। একটি হচ্ছে গ্রস, অন্যটি নিট হিসাব। আইএমএফ-এর পদ্ধতিতে হিসাব করলে বৈদেশিক সম্পদ গণনায় সব বৈদেশিক দায় ও ঋণ এবং রিজার্ভের অর্থ অন্য কোন কাজে ব্যবহার করলে তা মূল রিজার্ভ থেকে বাদ যাবে।
বাংলাদেশ সরকার রিজার্ভের অর্থে ৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠন ছাড়াও একাধিক তহবিল পরিচালনা করছে। বাংলাদেশ বিমান ও শ্রীলঙ্কাকে কিছু অর্থ ঋণ দিয়েছে। আবার ইডিএফ ছাড়াও আরও দুটি তহবিল গঠন করে পরিচালনা করছে বৈদেশিক মুদ্রায়। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের উপরে ছিল গত জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ইডিএফ-এর পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে এনেছে। আইএমএফ-এর হিসাব পদ্ধতি মানলে ৭ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বাদ দিতে হবে। এছাড়া আরও দায় থাকলেও বাদ দিয়ে রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতিতে যেতে হবে বাংলাদেশকে।