রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুত এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। শনিবার (২৭ মে) এফবিআইয়ের বোর্ড রুমে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে এসেই নেতাদের নিয়ে আমরা সেখানে ভিজিট করতে গিয়েছিলাম। এমনভাবে আগুন লাগলো সেখানে কিছুই নেই। আমি যখন গেলাম, মনে হলো আমাদের সামান্য হলেও সহযোগিতা করা উচিত। সেজন্য আমরা এই এক কোটি টাকা সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নেই, সজীব গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে। ৫২ জন মারা যান। ফ্যাক্টরিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মালিক ও মালিকের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছিল, প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের লাইসেন্স নিয়েছিল, তাহলে মালিক কেনো গ্রেপ্তার হলো যারা লাইসেন্স দেয়, তাদেরই দায়িত্ব নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কলকারখানা অধিদপ্তর লাইসেন্স দেয়, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স দেয়, কিন্তু তারা তো কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে পারে না। এজন্য এফবিসিসিআইতে একটি সেইফটি কাউন্সিল করা হয়েছে। যার অধীনে ৪৪ হাজার ফ্যাক্টরিকে তদারকি করা হবে। এটি এফবিসিসিআই-এর কাজ না। তারপরও আইএলও-কে সঙ্গে নিয়ে আমরা এটা করছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হাবিব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের সভাপতি নাজমুল হুদা।
এর আগে ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ৪৩টি ইউনিট যাওয়ার খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৪৮টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টায় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গত ৭ এপ্রিল সকালে আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে বঙ্গবাজার এলাকার মোট সাতটি মার্কেট পুড়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি পুরোপুরি ও তিনটি আংশিক। মার্কেটগুলো হলো- বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ হোমিও কমপ্লেক্স, বঙ্গবাজার মার্কেট, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট।
শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতিশ্রুত এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। শনিবার (২৭ মে) এফবিআইয়ের বোর্ড রুমে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি তখন দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে এসেই নেতাদের নিয়ে আমরা সেখানে ভিজিট করতে গিয়েছিলাম। এমনভাবে আগুন লাগলো সেখানে কিছুই নেই। আমি যখন গেলাম, মনে হলো আমাদের সামান্য হলেও সহযোগিতা করা উচিত। সেজন্য আমরা এই এক কোটি টাকা সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নেই, সজীব গ্রুপের একটি ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে। ৫২ জন মারা যান। ফ্যাক্টরিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় মালিক ও মালিকের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আমার মনে একটা প্রশ্ন জেগেছিল, প্রতিষ্ঠানটি সব ধরনের লাইসেন্স নিয়েছিল, তাহলে মালিক কেনো গ্রেপ্তার হলো যারা লাইসেন্স দেয়, তাদেরই দায়িত্ব নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কলকারখানা অধিদপ্তর লাইসেন্স দেয়, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স দেয়, কিন্তু তারা তো কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে পারে না। এজন্য এফবিসিসিআইতে একটি সেইফটি কাউন্সিল করা হয়েছে। যার অধীনে ৪৪ হাজার ফ্যাক্টরিকে তদারকি করা হবে। এটি এফবিসিসিআই-এর কাজ না। তারপরও আইএলও-কে সঙ্গে নিয়ে আমরা এটা করছি।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই-এর পরিচালক হাবিব উল্লাহ ডন, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন ও বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের সভাপতি নাজমুল হুদা।
এর আগে ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ৪৩টি ইউনিট যাওয়ার খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ৪৮টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টায় দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। গত ৭ এপ্রিল সকালে আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণের ঘোষণা দেয় ফায়ার সার্ভিস।
আগুনে বঙ্গবাজার এলাকার মোট সাতটি মার্কেট পুড়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি পুরোপুরি ও তিনটি আংশিক। মার্কেটগুলো হলো- বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট, বঙ্গ হোমিও কমপ্লেক্স, বঙ্গবাজার মার্কেট, এনেক্সকো টাওয়ার, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট।