টানা কয়েক মাস ধরে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো বন্ধ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ।
মঙ্গলবার ঢাকার পান্থপথে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, দেশের মিলগুলো গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সক্ষমতার অর্ধেকও কাজে লাগাতে পারছেনা; ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে দেশীয় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরাও এখন দেশীয় সুতা না কিনে সুলভ মূল্যের জন্য বিদেশ থেকে সুতা আমদানি করে পণ্য রপ্তানি করছে। এদিকে টেক্সটাইল মিলগুলোর সুতার স্তুপ জমছে।
সংকট আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে জানিয়ে বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, “পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা মিলগুলো কতদিন চালু রাখতে পারব বা এর কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা কতদিন সামাল দিতে পারব জানিনা।”
বিটিএমএ সভাপতি খোকন বলেন, সর্বশেষ শিল্প ও ক্যাপটিভ গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম এক লাফে ৮৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা করা হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার জন্য এলএনজি আমদানির বাড়তি খরচ মেটাতে এই মূল্য বৃদ্ধি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ট্যারিফ বৃদ্ধির আগে এবং পরে গ্যাস সরবরাহ অবস্থা শোচনীয়ই রয়ে গেছে। বর্তমানে অসহনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
“গ্যাস ট্যারিফ বৃদ্ধির কারণে স্পিনিং মিলগুলোর সুতার উৎপাদন খরচ প্রতি কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে গ্যাসের স্বল্প চাপের কারণে মিলগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। উৎপাদন ক্ষমতার সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি ব্যবহার করতে না পারায় সুতার উৎপাদন খরচ আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস ট্যারিফ ৬১৭ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের অগাস্টে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ১৮ পয়সায় এবং শিল্প সংযোগের জন্য প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ৮৬ পয়সায় গ্যাস দেওয়া হতো। এখন তা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে।
দেশে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমে যাওয়ায় মিলগুলোর সুতা বিক্রি বন্ধের উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।
“২০২২ সালের জানুয়ারিতে যে সুতার (৩০ কাউন্ট) মূল্য প্রতিকেজি ৪ দশমিক ৯ ডলার ছিল গত এপ্রিলে তা কমে প্রতি কেজি ৩ দশমিক ১০ ডলার হয়েছে। মিলগুলো শুধু তাদের উৎপাদন অব্যাহত, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ ইউটিলিটি বিল নিয়মিত দেওয়ার জন্য উৎপাদন খরচের চেয়েও ১৮ থেকে ২০ শতাংশ কম মূল্যে সুতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সৃষ্ট প্রোডাকশন লস, গ্যাস ব্যবহার না করে অতিরিক্ত গ্যাস বিল ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জামানত প্রদানের কারণে স্পিনিং মিলগুলোর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গত ১৫ মাসে (জানুয়ারি ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩ ) প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
টানা কয়েক মাস ধরে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে দেশের টেক্সটাইল মিলগুলো বন্ধ হতে চলেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন-বিটিএমএ।
মঙ্গলবার ঢাকার পান্থপথে বিটিএমএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে বলেন, দেশের মিলগুলো গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে সক্ষমতার অর্ধেকও কাজে লাগাতে পারছেনা; ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে দেশীয় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরাও এখন দেশীয় সুতা না কিনে সুলভ মূল্যের জন্য বিদেশ থেকে সুতা আমদানি করে পণ্য রপ্তানি করছে। এদিকে টেক্সটাইল মিলগুলোর সুতার স্তুপ জমছে।
সংকট আওতার বাইরে চলে যাচ্ছে জানিয়ে বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, “পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা মিলগুলো কতদিন চালু রাখতে পারব বা এর কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে তা কতদিন সামাল দিতে পারব জানিনা।”
বিটিএমএ সভাপতি খোকন বলেন, সর্বশেষ শিল্প ও ক্যাপটিভ গ্রাহকদের জন্য গ্যাসের দাম এক লাফে ৮৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিট ৩০ টাকা করা হয়েছে। তখন বলা হয়েছিল নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়ার জন্য এলএনজি আমদানির বাড়তি খরচ মেটাতে এই মূল্য বৃদ্ধি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ট্যারিফ বৃদ্ধির আগে এবং পরে গ্যাস সরবরাহ অবস্থা শোচনীয়ই রয়ে গেছে। বর্তমানে অসহনীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে।
“গ্যাস ট্যারিফ বৃদ্ধির কারণে স্পিনিং মিলগুলোর সুতার উৎপাদন খরচ প্রতি কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে গ্যাসের স্বল্প চাপের কারণে মিলগুলো তাদের উৎপাদন ক্ষমতা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি ব্যবহার করতে পারছে না। উৎপাদন ক্ষমতার সম্পূর্ণ ক্যাপাসিটি ব্যবহার করতে না পারায় সুতার উৎপাদন খরচ আরেক দফা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস ট্যারিফ ৬১৭ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯ সালের অগাস্টে ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট ৪ টাকা ১৮ পয়সায় এবং শিল্প সংযোগের জন্য প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ৮৬ পয়সায় গ্যাস দেওয়া হতো। এখন তা বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে।
দেশে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমে যাওয়ায় মিলগুলোর সুতা বিক্রি বন্ধের উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।
“২০২২ সালের জানুয়ারিতে যে সুতার (৩০ কাউন্ট) মূল্য প্রতিকেজি ৪ দশমিক ৯ ডলার ছিল গত এপ্রিলে তা কমে প্রতি কেজি ৩ দশমিক ১০ ডলার হয়েছে। মিলগুলো শুধু তাদের উৎপাদন অব্যাহত, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়মিত বেতন-ভাতাদি পরিশোধসহ ইউটিলিটি বিল নিয়মিত দেওয়ার জন্য উৎপাদন খরচের চেয়েও ১৮ থেকে ২০ শতাংশ কম মূল্যে সুতা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ না থাকায় সৃষ্ট প্রোডাকশন লস, গ্যাস ব্যবহার না করে অতিরিক্ত গ্যাস বিল ও অতিরিক্ত নিরাপত্তা জামানত প্রদানের কারণে স্পিনিং মিলগুলোর আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গত ১৫ মাসে (জানুয়ারি ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৩ ) প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি।