বর্তমান সংকটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংবাদপত্রের করপোরেট করহার ১০-১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। বুধবার (৩১ মে) সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ‘১ জুন (আজ) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। কর, শুল্ক ও ভ্যাট-সংক্রান্ত জাতীয় বাজেট প্রণয়নের জন্য খাতভিত্তিক প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে এনবিআরের সঙ্গে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এনবিআর চেয়ারম্যান নোয়াবের অনুরোধগুলো বিবেচনা করে দেখবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন।’
‘নোয়াব মনে করে যে, বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিজ্ঞাপন আয় দিয়ে উৎপাদন ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দেড় বছর আগেও যেখানে প্রতি টন বিদেশি নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার এবং বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা, এখন সেখানে দাম ৭০০ ডলারের উপর এবং বিনিময় হার ১০৯ টাকা। তাছাড়া বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এটাকে আরও ভয়ংকর সংকটের মুখে ফেলেছে।’
‘এ প্রেক্ষিতে সংবাদপত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের জন্য বেশকিছু প্রস্তাবনা নোয়াবের পক্ষ হতে তুলে ধরছি। এর মধ্যে সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্তমানে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হলেও এর সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে মূল্য সংযোজন কর (১৫ শতাংশ), এআইটি (৫ শতাংশ), এটি (৫ শতাংশ) এবং ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংক ও পরিবহন ব্যয়সহ ল্যান্ডেড কষ্ট প্রায় ৩০ শতাংশ এর উপরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে যখন এই শিল্পের সংকটময় পরিস্থিতি চলছে তখন এই শুল্কের প্রত্যাহার সংবাদপত্র শিল্পের জন্য খুবই জরুরি বলে মনে করে নোয়াব।’ সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও একে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, অনিবন্ধিত কোম্পানি ও নন-রেসিডেনসিয়াল ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নোয়ারের পক্ষ হতে সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ- ১৫ শতাংশ করার দাবি করছে নোয়াব।
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস ৪ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ এআইটিসহ মোট ৯ শতাংশ ধরা হয়; অথচ অধিকাংশ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ৯ শতাংশ লভ্যাংশই থাকে না। তাই সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস ৪ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২ শতাংশ করা এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশ এর স্থলে এআইটি ০ শতাংশ করার দাবি জানায় নোয়াব।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে সংবাদ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনার অংশবিশেষ এই শিল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। সংগতকারণে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পকে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় আনাসহ উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্য বিশেষ অনুরোধ নোয়াবের।
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
বর্তমান সংকটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংবাদপত্রের করপোরেট করহার ১০-১৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। বুধবার (৩১ মে) সংগঠনটির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এই তথ্য জানা যায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, ‘১ জুন (আজ) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করা হবে। কর, শুল্ক ও ভ্যাট-সংক্রান্ত জাতীয় বাজেট প্রণয়নের জন্য খাতভিত্তিক প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে এনবিআরের সঙ্গে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এনবিআর চেয়ারম্যান নোয়াবের অনুরোধগুলো বিবেচনা করে দেখবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দেন।’
‘নোয়াব মনে করে যে, বিশ্বায়ন ও ডিজিটাল মিডিয়ার যুগে ছাপা সংবাদপত্র এমনিতেই রুগ্ন শিল্পে পরিণত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পত্রিকাগুলোর বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ায় বিজ্ঞাপন আয় দিয়ে উৎপাদন ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দেড় বছর আগেও যেখানে প্রতি টন বিদেশি নিউজপ্রিন্টের দাম ছিল ৫৭০ ডলার এবং বিনিময় হার ছিল ৮৫ টাকা, এখন সেখানে দাম ৭০০ ডলারের উপর এবং বিনিময় হার ১০৯ টাকা। তাছাড়া বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এটাকে আরও ভয়ংকর সংকটের মুখে ফেলেছে।’
‘এ প্রেক্ষিতে সংবাদপত্র শিল্পকে বাঁচানোর জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের জন্য বেশকিছু প্রস্তাবনা নোয়াবের পক্ষ হতে তুলে ধরছি। এর মধ্যে সংবাদপত্রের প্রধান কাঁচামাল নিউজপ্রিন্টের ওপর বর্তমানে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হলেও এর সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে মূল্য সংযোজন কর (১৫ শতাংশ), এআইটি (৫ শতাংশ), এটি (৫ শতাংশ) এবং ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংক ও পরিবহন ব্যয়সহ ল্যান্ডেড কষ্ট প্রায় ৩০ শতাংশ এর উপরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে যখন এই শিল্পের সংকটময় পরিস্থিতি চলছে তখন এই শুল্কের প্রত্যাহার সংবাদপত্র শিল্পের জন্য খুবই জরুরি বলে মনে করে নোয়াব।’ সংবাদপত্র সেবা শিল্প হওয়া সত্ত্বেও একে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, অনিবন্ধিত কোম্পানি ও নন-রেসিডেনসিয়াল ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে এবং করপোরেট ট্যাক্স ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। নোয়ারের পক্ষ হতে সংবাদপত্রের করপোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ- ১৫ শতাংশ করার দাবি করছে নোয়াব।
সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস ৪ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ এআইটিসহ মোট ৯ শতাংশ ধরা হয়; অথচ অধিকাংশ সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের মোট আয়ের ৯ শতাংশ লভ্যাংশই থাকে না। তাই সংবাদপত্রের বিজ্ঞাপন আয়ের ওপর টিডিএস ৪ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ২ শতাংশ করা এবং উৎসস্থলে কাঁচামালের ওপর ৫ শতাংশ এর স্থলে এআইটি ০ শতাংশ করার দাবি জানায় নোয়াব।
বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে সংবাদ শিল্পকে বাঁচাতে সরকারি প্রণোদনার অংশবিশেষ এই শিল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া আবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। সংগতকারণে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটে সংবাদপত্র শিল্পকে সরকার ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় আনাসহ উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্য বিশেষ অনুরোধ নোয়াবের।