alt

অর্থ-বাণিজ্য

সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে বিক্রি বেশি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে বিনিয়োগে নানা শর্ত দেয়া হয়েছে, যার কারণে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে বিক্রি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র কিনেছে তার চেয়ে তিন হাজার ৫৮০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি করেছে গ্রাহকরা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় কোন স্কিমের মেয়াদ শেষ হলে আবার সেখানেই বিনিয়োগ করতেন বেশিরভাগ গ্রাহকরা। তবে এখন মেয়াদপূর্তির পর যে হারে সঞ্চয়পত্র ভাঙছে, সেই হারে নতুন বিনিয়োগ করছে না। এর কারণে বিক্রির আয়ের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে এ খাতে ধারাবাহিক বিনিয়োগ কমে বেশ কয়েক মাস ধরে ঋণাত্বক (নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধি চলছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উল্টো ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সরকার তার কোষাগার ও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে।

সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে এক মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার। বিপরীতে ওই মাসে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। এ সময় নিট বিক্রির দাঁড়িয়েছে ৫৮১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের মাস মার্চে নিট বিক্রির ঘাটতি (ঋণাত্মক) ছিল ৬৫২ কোটি টাকা।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। সরকার তা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির ভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১০ মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোন ঋণ পায়নি। উল্টো আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের নগদায়নের চাপে মূল ও মুনাফাসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।

এদিকে অতি মাত্রায় সুদ পরিশোধ কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে নানা শর্ত দেয়া হয়েছে। যার কারণে এ খাতে বিনিয়োগ ঋণাত্বক (নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধিতে নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে ঘাটতি পূরণে সরকার সঞ্চয়পত্রের নির্ভরতাও কমিয়ে ফেলছে।

চলতি অর্থবছর ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকলে রিটার্নের সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার। তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা হয়। এছাড়া ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। দুর্নীতি বা কালো টাকায় সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। এসব কড়াকড়ির প্রভাবে বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।

ছবি

সরকার পতনের পরও রিজার্ভ সংকট কাটেনি, এখনও ২০ বিলিয়নের নিচে

ছবি

আইএটিএ সদস্যপদ পেল এয়ার এ্যাস্ট্রা 

ছবি

কমওয়ার্ড ২০২৪ এ ১৬টি পুরস্কার জিতেছে বিকাশ

ছবি

সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা সাইনোভিয়া ফার্মা কর্তৃপক্ষের

ছবি

সূচকের বড় পতনে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাজার স্থিতিশীল রাখতে ১২ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

ছবি

তামাকের ক্ষতিহ্রাস পণ্যের নিয়ন্ত্রণে যুক্তিসংগত নীতিমালা চায় বেন্ডস্টা

ছবি

গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি – সব বিল পেমেন্টে ‘ভরসা বিকাশ’

ছবি

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যানসহ ৮ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অমিত শাহর সফর বাতিল, বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

ছবি

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধা সীমিত: সপ্তাহে একদিন নিলামের নতুন সিদ্ধান্ত

ছবি

টেকনাফে আরও ২০০ টন পেঁয়াজের কার্গো জাহাজ ভিড়েছে

ছবি

পেট্রাপোলের টার্মিনাল উদ্বোধনে অমিত শাহ আসছেন না, আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক

বন্যা ও মজুদদারির কারসাজিতে চালের দাম বৃদ্ধি, শুল্ক কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল করার উদ্যোগ

ছবি

আইসিসি বাংলাদেশের আয়োজনে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা

ছবি

ডিবির সাবেক কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ

ছবি

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক হ্রাস, এনবিআরের নতুন পদক্ষেপ

ছবি

বিদেশি ঋণ ছাড়ে ৩৪ শতাংশ পতন, ঋণ পরিশোধে শীর্ষে বাংলাদেশ

ছবি

পর্ষদ বাতিল করে বিজিএমইএ-তে প্রশাসক বসাল সরকার

ছবি

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায় ৯ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি আটাবের

ছবি

শ্রমিক অসন্তোষ: ৪০ কোটি ডলারের উৎপাদন ক্ষতির কথা জানাল বিজিএমইএ

পণ্যের ‘যে দাম! না খেয়ে মরণ লাগবো’

ছবি

তেজগাঁওয়ে ডিম বিক্রি শুরু, ব্যবসায়ীদের লোকসানের অভিযোগ

ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

তিন চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের, চলতি অর্থবছর প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াতে পারে ৪ শতাংশে : বিশ্বব্যাংক

ছবি

ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

ছবি

বাংলাদেশের এমএসএমই সেক্টরকে এগিয়ে নিচ্ছে প্রিয়শপ

ছবি

রিয়েলমি ১২ এর প্রি-অর্ডার ক্যাম্পেইন বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

ছবি

বাজারে আসুস আরওজি সিরিজের নতুন গেমিং মনিটর

ছবি

ব্যাংক আমানত কমেছে ১০ হাজার কোটি টাকা, গ্রাহকদের মধ্যে উদ্বেগ

মাত্র দুই মাস সময় দিয়েই সরকারকে ব্যর্থ বলা যায় কিনা, প্রশ্ন বাণিজ্য উপদেষ্টার

ছবি

ঋণ প্রবৃদ্ধি কমে ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ইঙ্গিত

ছবি

মেট্রোরেলের একক টিকিট ফেরত না দেওয়ায় সঙ্কট: যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ

ছবি

পাঠাও ফেস্টে গোল্ড জিতে নেয়ার সুযোগ

ছবি

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: আগামীকাল থেকে ওএমএসে সবজি বিক্রি করবে কৃষি বিপনণ অধিদপ্তর

৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

tab

অর্থ-বাণিজ্য

সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে বিক্রি বেশি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বুধবার, ৩১ মে ২০২৩

উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এর মধ্যে বিনিয়োগে নানা শর্ত দেয়া হয়েছে, যার কারণে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে বিক্রি বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র কিনেছে তার চেয়ে তিন হাজার ৫৮০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি করেছে গ্রাহকরা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সময় কোন স্কিমের মেয়াদ শেষ হলে আবার সেখানেই বিনিয়োগ করতেন বেশিরভাগ গ্রাহকরা। তবে এখন মেয়াদপূর্তির পর যে হারে সঞ্চয়পত্র ভাঙছে, সেই হারে নতুন বিনিয়োগ করছে না। এর কারণে বিক্রির আয়ের চেয়ে সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধে বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। ফলে এ খাতে ধারাবাহিক বিনিয়োগ কমে বেশ কয়েক মাস ধরে ঋণাত্বক (নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধি চলছে।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যে পরিমাণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে, তা দিয়ে গ্রাহকদের আগে বিনিয়োগ করা সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। উল্টো ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা সরকার তার কোষাগার ও ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করেছে।

সঞ্চয় অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি বছরের এপ্রিলে এক মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৩৮১ কোটি টাকার। বিপরীতে ওই মাসে মূল ও মুনাফা বাবদ সরকারকে পরিশোধ করতে হয়েছে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা। এ সময় নিট বিক্রির দাঁড়িয়েছে ৫৮১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের মাস মার্চে নিট বিক্রির ঘাটতি (ঋণাত্মক) ছিল ৬৫২ কোটি টাকা।

আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ-আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে বলা হয় নিট বিক্রি। ওই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা থাকে। সরকার তা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির ভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) ৬৮ হাজার ৩৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর বিপরীতে মুনাফা ও মূল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৭১ হাজার ৬১৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ১০ মাসে যা বিনিয়োগ হয়েছে তার চেয়ে ৩ হাজার ৫৭৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে সরকার। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার কোন ঋণ পায়নি। উল্টো আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের নগদায়নের চাপে মূল ও মুনাফাসহ ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে।

এদিকে অতি মাত্রায় সুদ পরিশোধ কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে নানা শর্ত দেয়া হয়েছে। যার কারণে এ খাতে বিনিয়োগ ঋণাত্বক (নেগেটিভ) প্রবৃদ্ধিতে নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসছে বাজেটে ঘাটতি পূরণে সরকার সঞ্চয়পত্রের নির্ভরতাও কমিয়ে ফেলছে।

চলতি অর্থবছর ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ থাকলে রিটার্নের সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রকম সঞ্চয়পত্রের সুদহার ২ শতাংশের মতো কমিয়ে দেয় সরকার। তার আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগ সীমা কমিয়ে আনা হয়। এছাড়া ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে মুনাফার ওপর উৎসে করের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়। দুর্নীতি বা কালো টাকায় সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেজ তৈরি হয়েছে। এসব কড়াকড়ির প্রভাবে বর্তমানে সঞ্চয়পত্র বিক্রি তলানিতে ঠেকেছে।

back to top