২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের গরিব বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কিছুটা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া উপকারভোগীর সংখ্যাও কিছুটা বাড়ছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করেন।
বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে যৌক্তিকভাবে সাজানো হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা খাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা এবং ভাতার হার পরিবর্তন করা হয়েছে।’ মন্ত্রী জানান, নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম খাতে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির দুই দশমিক ৫২ শতাংশ।
তিনি বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে জানান, সরকার আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা এক লাখ বাড়িয়ে ৫৮ লাখ এক হাজার জন করবে। এছাড়া মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হবে।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে এই শ্রেণীর ভাতাভোগী রয়েছেন ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জন। আগামী অর্থবছরে তা এক লাখ বাড়িয়ে ২৫ লাখ ৭৫ জনে উন্নীত করা হবে। তাদের মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরে সরকারের প্রতিবন্ধী ডেটাবেজের আওতাভুক্ত সবাইকে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে এই শ্রেণীতে মোট ভাতাভোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৯ লাখ। এতে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই হার প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ চার হাজার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর দৈনিক ভাতার হার ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন বাজেটে হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮১৫ থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার ৮৮০ জন করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এছাড়া বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার ৬২০ জন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০৩ জন করার প্রস্তাব করেছেন। এই শ্রেণীতে বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫৪ হাজার ৩০০ জন করা হয়েছে। এই শ্রেণীতে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ হাজার ৯০৩ থেকে বাড়িয়ে ২৬ হাজার ২৮৩ জন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের গরিব বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তি কিছুটা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া উপকারভোগীর সংখ্যাও কিছুটা বাড়ছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করেন।
বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমকে যৌক্তিকভাবে সাজানো হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা খাতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে উপকারভোগীর সংখ্যা এবং ভাতার হার পরিবর্তন করা হয়েছে।’ মন্ত্রী জানান, নতুন অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম খাতে মোট এক লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং জিডিপির দুই দশমিক ৫২ শতাংশ।
তিনি বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ও ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব রেখে জানান, সরকার আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা এক লাখ বাড়িয়ে ৫৮ লাখ এক হাজার জন করবে। এছাড়া মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হবে।
বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতাভোগীর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমানে এই শ্রেণীর ভাতাভোগী রয়েছেন ২৪ লাখ ৭৫ হাজার জন। আগামী অর্থবছরে তা এক লাখ বাড়িয়ে ২৫ লাখ ৭৫ জনে উন্নীত করা হবে। তাদের মাসিক ভাতার হার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী অর্থবছরে সরকারের প্রতিবন্ধী ডেটাবেজের আওতাভুক্ত সবাইকে ভাতার আওতায় আনা হচ্ছে। ফলে এই শ্রেণীতে মোট ভাতাভোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২৯ লাখ। এতে গত অর্থবছরের তুলনায় প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার বাড়বে।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের মাসিক শিক্ষা উপবৃত্তির হার বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই হার প্রাথমিক স্তরে ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০০ টাকা, মাধ্যমিক স্তরে ৮০০ টাকা থেকে ৯৫০ টাকা এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির উপকারভোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৫৪ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৩ লাখ চার হাজার করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কার্যক্রমে উপকারভোগীর দৈনিক ভাতার হার ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন বাজেটে হিজড়া জনগোষ্ঠীর ভাতাভোগীর সংখ্যা চার হাজার ৮১৫ থেকে বাড়িয়ে ছয় হাজার ৮৮০ জন করা হয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এছাড়া বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা দুই হাজার ৬০০ থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার ৬২০ জন করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীর সংখ্যা ৬৯ হাজার ৫৭৩ থেকে বাড়িয়ে ৮২ হাজার ৫০৩ জন করার প্রস্তাব করেছেন। এই শ্রেণীতে বিশেষ ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৫ হাজার ২৫০ থেকে বাড়িয়ে ৫৪ হাজার ৩০০ জন করা হয়েছে। এই শ্রেণীতে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ হাজার ৯০৩ থেকে বাড়িয়ে ২৬ হাজার ২৮৩ জন করা হয়েছে।