আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে ২৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত বাজেটের চেয়ে ১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা বেশি। তবে, এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যা এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি। ইতিমধ্যে সরকার রাসায়নিক সারে ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে।
পুরো বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় বাবদ যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এই কৃষিখাতের বরাদ্দ তার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। সব কৃষককে স্মার্টকার্ড প্রদানের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
কৃষিযন্ত্রের উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রের আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ ও উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য কিছু পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব করছি। এসব পণ্যগুলো হলো কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার, ড্রায়ার, সব ধরনের স্প্রেয়ার মেশিন, পটেটো প্ল্যান্টার। এ ছাড়া সব ধরনের কনটেইনার আমদানিতে কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড়ি ঢল ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের ভর্তুকির পাশাপাশি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কৃষিখাতে অবদানের জন্য সরকার কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ‘এআইপি’ সম্মাননা পদকের প্রবর্তন করেছে এবং ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো এ পদক প্রদান করা হয়েছে।
কাজুবাদাম আমদানি কমাতে উচ্চ কর
প্রস্তাবিত বাজেটে কাজুবাদাম আমদানিতে উচ্চ করারোপের কথা বলা হয়েছে। খোসা ছাড়ানো কাজুবাদাম আমদানিতে মোট করভার সোয়া ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি কাজুবাদামের দাম ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে কাজুবাদাম উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদিত কাজুবাদামকে প্রক্রিয়াজাতকরণে কারখানা গড়ে উঠেছে। তাই স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য খোসা ছাড়ানো কাজুবাদামের (ঈধংযবি ঘঁঃং ঝযবষষবফ) আমদানিতে সর্বমোট করভার ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪৩ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে ২৫ হাজার ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত বাজেটের চেয়ে ১ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকা বেশি। তবে, এ খাতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৩৩ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা। যা এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি। ইতিমধ্যে সরকার রাসায়নিক সারে ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে।
পুরো বাজেটে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় বাবদ যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এই কৃষিখাতের বরাদ্দ তার ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি উপকরণ ও ঋণ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কার্ডধারী কৃষকের সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। সব কৃষককে স্মার্টকার্ড প্রদানের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
কৃষিযন্ত্রের উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রের আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ ও উৎপাদন ব্যয় কমানোর জন্য কিছু পণ্যের আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর অব্যাহতির প্রস্তাব করছি। এসব পণ্যগুলো হলো কৃষিকাজে ব্যবহৃত রাইস ট্রান্সপ্ল্যান্টার, ড্রায়ার, সব ধরনের স্প্রেয়ার মেশিন, পটেটো প্ল্যান্টার। এ ছাড়া সব ধরনের কনটেইনার আমদানিতে কর অব্যাহতির প্রস্তাব করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, পাহাড়ি ঢল ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের ভর্তুকির পাশাপাশি প্রণোদনা ও পুনর্বাসন সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কৃষিখাতে অবদানের জন্য সরকার কৃষিখাতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ‘এআইপি’ সম্মাননা পদকের প্রবর্তন করেছে এবং ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো এ পদক প্রদান করা হয়েছে।
কাজুবাদাম আমদানি কমাতে উচ্চ কর
প্রস্তাবিত বাজেটে কাজুবাদাম আমদানিতে উচ্চ করারোপের কথা বলা হয়েছে। খোসা ছাড়ানো কাজুবাদাম আমদানিতে মোট করভার সোয়া ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৩ শতাংশ করার প্রস্তাব আনা হয়েছে। এর ফলে বিদেশি কাজুবাদামের দাম ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে কাজুবাদাম উৎপাদিত হচ্ছে এবং উৎপাদিত কাজুবাদামকে প্রক্রিয়াজাতকরণে কারখানা গড়ে উঠেছে। তাই স্থানীয় শিল্পের প্রতিরক্ষণের জন্য খোসা ছাড়ানো কাজুবাদামের (ঈধংযবি ঘঁঃং ঝযবষষবফ) আমদানিতে সর্বমোট করভার ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪৩ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’