২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সম্মিলিতভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে ৮ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জন্য সম্মিলিত বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৫ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা; যা সংশোধিত বাজেটে গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ২১১ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৯৯৪ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে সংশোধনের মাধ্যমে ১ হাজার ৯০২ কোটি টাকা করা হয়। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে আগামী অর্থবছর জ্বালানিতে ৯০৮ কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তবে জ্বালানিখাতে বরাদ্দ কমলেও বেড়েছে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুৎ বিভাগে এবার বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ২৫ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৮ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করার আশা করছে সরকার। বর্তমানে দেশে ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট আমদানি হচ্ছে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ভুটানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিনে উন্নীত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশের খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, দেশের পাঁচটি কয়লাখনিতে ৭ হাজার ৮২৩ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ আছে। দেশের কয়লাক্ষেত্র থেকে কয়লা সংগ্রহের কারিগরি ও অন্য সম্ভাবনা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে বাজেটে জ্বালানি খাতের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। তারা বলছেন, দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে জোর দিতে চাইলে অর্থ প্রয়োজন। এজন্যই জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।
বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সম্মিলিতভাবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের চেয়ে ৮ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা এবং সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ৭ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বাড়লেও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমেছে।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের জন্য সম্মিলিত বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছিল ২৫ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা; যা সংশোধিত বাজেটে গিয়ে দাঁড়ায় ২৭ হাজার ২১১ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৯৯৪ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। পরবর্তীতে তা বাড়িয়ে সংশোধনের মাধ্যমে ১ হাজার ৯০২ কোটি টাকা করা হয়। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে আগামী অর্থবছর জ্বালানিতে ৯০৮ কোটি টাকা কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তবে জ্বালানিখাতে বরাদ্দ কমলেও বেড়েছে বিদ্যুৎ খাতে। বিদ্যুৎ বিভাগে এবার বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৩৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ছিল ২৫ হাজার ৩০৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৮ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করার আশা করছে সরকার। বর্তমানে দেশে ১২ হাজার ৯৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রতিবেশী দেশ থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভারত থেকে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট আমদানি হচ্ছে। নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। ভুটানের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মজুদ ক্ষমতা ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬০ দিনে উন্নীত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দেশের খনি থেকে কয়লা উৎপাদন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, দেশের পাঁচটি কয়লাখনিতে ৭ হাজার ৮২৩ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ আছে। দেশের কয়লাক্ষেত্র থেকে কয়লা সংগ্রহের কারিগরি ও অন্য সম্ভাবনা যাচাইয়ের কাজ চলছে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তার স্বার্থে বাজেটে জ্বালানি খাতের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। তারা বলছেন, দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে জোর দিতে চাইলে অর্থ প্রয়োজন। এজন্যই জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি।