alt

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকনির্দেশনা নেই : বিসিআই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা ও আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কোন দিকনির্দেশনা নেই। বিশেষ করে মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নেও কোন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এক প্রাথমিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।

প্রতিক্রিয়ায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, ‘করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলোর মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ঝরে পড়েছে। রাজস্ব আয় প্রধানত বেসরকারি খাত থেকে সংগ্রহ করা হলেও বর্তমানে উচ্চমূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, জ্বালানি সমস্যার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এরই প্রভাবে উৎপাদনশীল কারখানাগুলোও প্রবৃদ্ধি হারিয়েছে। এদিকে বেসরকারি খাতের ক্রেডিট গ্রোথ নিম্নগামী, রপ্তানিও মন্থর এবং রেমিট্যান্সও ওই পরিমাণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে গেলে আমদানি বিকল্প শিল্প এবং কীভাবে কারখানাগুলোর প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এর কোন দিকনির্দেশনা নেই।’

বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘শুধু আইএমএফের শর্তে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের অর্থনীতি কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যাবে তার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমাদের এখন স্থানীয়, আমদানি বিকল্প শিল্পের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা, টেকসই করা এবং কর্মসংস্থান ধরে রাখার দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’

বিসিআই বলছে, বেসরকারি খাতে জ্বালানি স্বল্পতা, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় শিল্প-কারখানাগুলো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে গত ১০ মাসে শিল্পগুলো মূলধনি যন্ত্রপাতিতে ৫৬ শতাংশ, মধ্যবর্তী কাঁচামাল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং কাঁচামাল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ কম ঋণপত্র খুলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন অবস্থাতেই শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় দেশীয় শিল্প সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি না কমে বেকারত্বের হার বাড়বে, কর আহরণ বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি জানান, সেক্টরভিত্তিক থামরুলে গ্রোস প্রফিট (জিপি) ধরে শুল্কায়ন না করে কোম্পানি বিশেষে একচুয়াল একাউন্টিং প্রাক্টিসের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করা উচিত যেমন- একচুয়াল প্রফিট অথবা একচুয়াল লস মেনে কোম্পানি ওয়াইজ হিসেবে শুল্কায়ন করলে যেসব কোম্পানি কর দিচ্ছে না তারা কর দিতে আগ্রহী হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মোট করের ৮০ শতাংশের বেশি সংগ্রহ হয় অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় ৪৫ শতাংশ অন্য জেলায় অবস্থিত। এসব অঞ্চলে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মানুষের কাছে গেলে কর আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং কর নেট প্রসারিত হবে।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর দিকনির্দেশনা নেই : বিসিআই

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০৪ জুন ২০২৩

প্রস্তাবিত বাজেটে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা ও আমদানি বিকল্প শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর কোন দিকনির্দেশনা নেই। বিশেষ করে মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পের উন্নয়নেও কোন দিকনির্দেশনা দেয়া হয়নি। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) এক প্রাথমিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।

প্রতিক্রিয়ায় বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, ‘করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মাইক্রো, কুটির ও ক্ষুদ্র শিল্পগুলোর মধ্যে প্রায় ৪৫ শতাংশ ঝরে পড়েছে। রাজস্ব আয় প্রধানত বেসরকারি খাত থেকে সংগ্রহ করা হলেও বর্তমানে উচ্চমূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, জ্বালানি সমস্যার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। এরই প্রভাবে উৎপাদনশীল কারখানাগুলোও প্রবৃদ্ধি হারিয়েছে। এদিকে বেসরকারি খাতের ক্রেডিট গ্রোথ নিম্নগামী, রপ্তানিও মন্থর এবং রেমিট্যান্সও ওই পরিমাণে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে না। দেশের অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখতে গেলে আমদানি বিকল্প শিল্প এবং কীভাবে কারখানাগুলোর প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এর কোন দিকনির্দেশনা নেই।’

বিসিআই সভাপতি বলেন, ‘শুধু আইএমএফের শর্তে গুরুত্ব না দিয়ে দেশের অর্থনীতি কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়া যাবে তার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। আমাদের এখন স্থানীয়, আমদানি বিকল্প শিল্পের সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা, টেকসই করা এবং কর্মসংস্থান ধরে রাখার দিকে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে।’

বিসিআই বলছে, বেসরকারি খাতে জ্বালানি স্বল্পতা, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি এবং নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ না থাকায় শিল্প-কারখানাগুলো ৫০ থেকে ৬০ শতাংশের বেশি উৎপাদন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারছে না। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকোচন নীতির কারণে গত ১০ মাসে শিল্পগুলো মূলধনি যন্ত্রপাতিতে ৫৬ শতাংশ, মধ্যবর্তী কাঁচামাল ৩১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং কাঁচামাল ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ কম ঋণপত্র খুলেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন অবস্থাতেই শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত না হয় তার জন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। অন্যথায় দেশীয় শিল্প সক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না এবং উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। এতে মূল্যস্ফীতি না কমে বেকারত্বের হার বাড়বে, কর আহরণ বাধাগ্রস্ত হবে।

তিনি জানান, সেক্টরভিত্তিক থামরুলে গ্রোস প্রফিট (জিপি) ধরে শুল্কায়ন না করে কোম্পানি বিশেষে একচুয়াল একাউন্টিং প্রাক্টিসের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করা উচিত যেমন- একচুয়াল প্রফিট অথবা একচুয়াল লস মেনে কোম্পানি ওয়াইজ হিসেবে শুল্কায়ন করলে যেসব কোম্পানি কর দিচ্ছে না তারা কর দিতে আগ্রহী হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মোট করের ৮০ শতাংশের বেশি সংগ্রহ হয় অথচ বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রায় ৪৫ শতাংশ অন্য জেলায় অবস্থিত। এসব অঞ্চলে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মানুষের কাছে গেলে কর আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং কর নেট প্রসারিত হবে।

back to top