পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যযবধান অবশ্যই বাড়ানো দরকার। এতে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে।’ রোববার (৪ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) যৌথ উদ্যোগে সিএসজেএফ অডিটরিয়ামে বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় এই কথা বলেন তিনি।
সভার শিরোনাম ‘বাজেট ২০২৩-২৪ : প্রেক্ষিত পুঁজিবাজার’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও এবং সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘লভ্যাংশে দ্বৈতকর প্রত্যযাহারের যে দাবি করা হয়েছে, তা গভীরভাবে দেখতে হবে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এআইটি নিয়ে তোলা দাবির বিষয়টি আগেও শুনেছি। এটি হয়তো চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যাহোক আজকে যেসব দাবি করা হয়েছে, সেগুলো আমি সঠিক জায়গায় পাঠিয়ে দেব।’
অনুষ্ঠানে ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক নির্ভর হয়ে উন্নত দেশ হওয়া যাবে না। বিশ্বের সব দেশই শেয়ারবাজারকে সামনে রেখে উন্নত হয়েছে। আমাদেরকেও শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে। এই বাজারকে এগিয়ে নিতে লভ্যাংশে দ্বৈত কর প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়াতে হবে। এটা কমপক্ষে ১৫ শতাংশ করা দরকার। এতে করে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো খুবই দূর্বল। এগুলো ব্যাংককিং কার্যক্রম করে না। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকক নাম হওয়ায় ব্যাংককের ন্যায় ৩৭.৫০ শতাংশ কর দিতে হয়। এটা সমাধান করা দরকার।’
এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের স্থান না পাওয়াকে হতাশাজনক বলে দাবি করেছেন স্টেকহোল্ডাররা। তারা বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কোন কিছু আরোপ করা না হলেও প্রণোদনাও দেয়া হয়নি। বিশেষ করে বাজেটে পুঁজিবাজার সম্পর্কে কোন আলোচনা না থাকায় আমাদের মনে হচ্ছে এ খাতটি সরকারের কাছে একেবারেই অবহেলিত।
এতে বিনিয়োগকারীসহ খাত সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে পাঁচ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে তারা।
দাবিগুলো হচ্ছে, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিাবাজারে তালিকাভুক্ত করা, ব্রোকার হাউজের লেনদেনের ওপর উৎসে কর কমানো এবং বন্ডে সুদের ওপরও আরোপিত লভ্যাংশের ওপর কর প্রত্যাহার করা।
বিশ্বের অনেক দেশই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পুঁজিবাজার। কিন্তু সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও কেন যেন আমাদের দেশের পুঁজিবাজার সেই অবস্থানে যেতে পারছে না জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেরঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, ‘সরকারের একটু নীতি সহায়তা পেলে আমাদের পুঁজিবাজার অনেক কিছুই দিতে পারবে। এখানে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্ব আহরণ পুঁজিবাজার থেকেই বড় যোগান দিতে পারবে।’
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে পুঁজিবাজার বিষয়ে কিছু থাকবে। কিন্তু এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। অথচ ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি. রোজারিও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এতদিন গরিব দেশ হিসেবে কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব তখন আমরা অনেক সুযোগ হারাব। এজন্য দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে আমাদের ছোট ছোট কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিতে হবে এবং তাদের পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে।’
রোববার, ০৪ জুন ২০২৩
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যযবধান অবশ্যই বাড়ানো দরকার। এতে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে।’ রোববার (৪ জুন) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) যৌথ উদ্যোগে সিএসজেএফ অডিটরিয়ামে বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভায় এই কথা বলেন তিনি।
সভার শিরোনাম ‘বাজেট ২০২৩-২৪ : প্রেক্ষিত পুঁজিবাজার’। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। এছাড়া ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি রোজারিও এবং সিএমজেএফ সভাপতি জিয়াউর রহমান বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘লভ্যাংশে দ্বৈতকর প্রত্যযাহারের যে দাবি করা হয়েছে, তা গভীরভাবে দেখতে হবে। এছাড়া ব্রোকারেজ হাউজগুলোর এআইটি নিয়ে তোলা দাবির বিষয়টি আগেও শুনেছি। এটি হয়তো চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যাহোক আজকে যেসব দাবি করা হয়েছে, সেগুলো আমি সঠিক জায়গায় পাঠিয়ে দেব।’
অনুষ্ঠানে ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক নির্ভর হয়ে উন্নত দেশ হওয়া যাবে না। বিশ্বের সব দেশই শেয়ারবাজারকে সামনে রেখে উন্নত হয়েছে। আমাদেরকেও শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে হবে। এই বাজারকে এগিয়ে নিতে লভ্যাংশে দ্বৈত কর প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান বাড়াতে হবে। এটা কমপক্ষে ১৫ শতাংশ করা দরকার। এতে করে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো খুবই দূর্বল। এগুলো ব্যাংককিং কার্যক্রম করে না। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংকক নাম হওয়ায় ব্যাংককের ন্যায় ৩৭.৫০ শতাংশ কর দিতে হয়। এটা সমাধান করা দরকার।’
এছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের স্থান না পাওয়াকে হতাশাজনক বলে দাবি করেছেন স্টেকহোল্ডাররা। তারা বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন কোন কিছু আরোপ করা না হলেও প্রণোদনাও দেয়া হয়নি। বিশেষ করে বাজেটে পুঁজিবাজার সম্পর্কে কোন আলোচনা না থাকায় আমাদের মনে হচ্ছে এ খাতটি সরকারের কাছে একেবারেই অবহেলিত।
এতে বিনিয়োগকারীসহ খাত সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে পুঁজিবাজারকে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে পাঁচ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে তারা।
দাবিগুলো হচ্ছে, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার, বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিাবাজারে তালিকাভুক্ত করা, ব্রোকার হাউজের লেনদেনের ওপর উৎসে কর কমানো এবং বন্ডে সুদের ওপরও আরোপিত লভ্যাংশের ওপর কর প্রত্যাহার করা।
বিশ্বের অনেক দেশই অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে পুঁজিবাজার। কিন্তু সম্ভাবনা থাকা স্বত্বেও কেন যেন আমাদের দেশের পুঁজিবাজার সেই অবস্থানে যেতে পারছে না জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেরঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু বলেন, ‘সরকারের একটু নীতি সহায়তা পেলে আমাদের পুঁজিবাজার অনেক কিছুই দিতে পারবে। এখানে সেই সম্ভাবনা রয়েছে। রাজস্ব আহরণ পুঁজিবাজার থেকেই বড় যোগান দিতে পারবে।’
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম বাজেটে পুঁজিবাজার বিষয়ে কিছু থাকবে। কিন্তু এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। অথচ ব্যাংক দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য নয়, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই।’
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি. রোজারিও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি এতদিন গরিব দেশ হিসেবে কিছু সুযোগ সুবিধা পেয়েছে যখন আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হব তখন আমরা অনেক সুযোগ হারাব। এজন্য দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে হলে আমাদের ছোট ছোট কোম্পানিগুলোর দিকে নজর দিতে হবে এবং তাদের পুঁজি সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে।’