alt

অর্থ-বাণিজ্য

১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

এবার চরম মূল্যস্ফীতির রেকর্ড হয়েছে গত মে মাসে। এ মাসে গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখলো দেশবাসী। সোমবার (৫ জুন) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্যে দেখা গেছে, গত মে মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই হার গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এরপর আর কখনো মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি। পরের মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে।

বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রাম ও শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান। গ্রামে এখন মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, শহরে এই হার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

গত মে মাসে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলো, ২০২২ সালের মে মাসে একজন মানুষ যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতেন, চলতি বছরের মে মাসে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা। মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। এক বছর ধরেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শুরু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আগস্টে জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি এক লাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উঠে যায়, যা ২০১১ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

এরপর টানা পাঁচ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমে। তবে তা কোন মাসেই সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। গত তিন মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়ই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কমছে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। আমদানিকারকেরা এর জন্য মূলত ডলার সংকট এবং আমদানির এলসি খোলার ওপর কড়াকড়িকে দায়ী করে থাকেন।

ছবি

২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১০৫ কোটি ডলার

ছবি

রাশিয়ার মুদ্রা বাজারে লেনদেন করতে পারবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠান

বড় দরপতনে সপ্তাহ শুরু শেয়ারবাজারে

কারখানার উন্নয়নে ১৫১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে বিএটিবিসি

সুপারভিশন চার্জের নামে কেটে নেয়া টাকা ফেরত চায় দোকান মালিক সমিতি

ছবি

সূচকের ওঠানামায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে

ছবি

বাংলাদেশকে রুশ মুদ্রায় বাণিজ্যের অনুমতি

ছবি

অক্টোবরে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট

ছবি

ন্যাপথলিন কারখানার গন্ধে ৩ বছর ধরে বন্ধ রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা

যুক্তরাজ্যে ২০৩২ সাল পর্যন্ত বিনা শুল্কে পোশাক রপ্তানির সুবিধা চায় বিজিএমইএ

সিএমজেএফ-এর কর্মশালায় বক্তারা তথ্যের নয়-ছয় করেই পুঁজিবাজারে কারসাজি

ওয়ালটনের নতুন চমক সিঙ্গেল ডোরের অলরাউন্ডার মডেলের ফ্রিজ

শেয়ারবাজারে মূলধন বেড়েছে তিন হাজার কোটি টাকা

সুদসহ সব ঋণ শোধ করলো শ্রীলঙ্কা

ছবি

সুদসহ সব ঋণ পরিশোধ করল শ্রীলঙ্কা

ছবি

কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না, নিত্যপণ্যের দাম

ছবি

এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে : এফবিসিসিআই

অভিযানেও কমছে না খুলনার ‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের কারসাজি

ছবি

চলতি বছরেই পোশাক খাতে নতুন ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা

বাংলাদেশ ব্যাংকে অ্যালার্ম, ফায়ার সার্ভিস গিয়ে দেখল আগুন লাগেনি

শিশু জুনায়েদের বিমানে চড়ার ‘স্বপ্ন পূরণ’ করলো ওয়ালটন প্লাজা

ছবি

দেশের উন্নয়নে নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে বিআরআই : দীপু মনি

ছবি

সবজির বাজারে আগুন, বাড়তি ফার্মের মুরগির দামও

আরও ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

সূচকের সামান্য পতন, কমেছে লেনদেনও

এসএমই ফাউন্ডেশনের ‘ন্যাচারাল ডাইং’ প্রশিক্ষণে পোশাকে প্রাকৃতিক রঙ ব্যবহার করা শিখছেন উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি : বাংলাদেশ ব্যাংক

ছবি

দুই মাসে রাজস্ব ঘাটতি ৪ হাজার ৮৭ কোটি টাকা

পিপলস লিজিংয়ের লেনদেন বন্ধের মেয়াদ বেড়েছে ৯৫ দফা

রিজার্ভ কমে ২ হাজার ১৪৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে

ছবি

সাউথইস্ট ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন মো. আকিকুর রহমান

ছবি

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের চেয়ে ঋণ বেশি

ছবি

শেষ কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

ছবি

বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে : এডিবি

ছবি

সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আলু আমদানির সুপারিশ

ছবি

মামলা নিষ্পত্তি বাড়লেও ঋণ আদায় কম

tab

অর্থ-বাণিজ্য

১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

সোমবার, ০৫ জুন ২০২৩

এবার চরম মূল্যস্ফীতির রেকর্ড হয়েছে গত মে মাসে। এ মাসে গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখলো দেশবাসী। সোমবার (৫ জুন) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ মূল্যস্ফীতির তথ্যে দেখা গেছে, গত মে মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এই হার গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ।

এর আগে ২০১২ সালের মার্চে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এরপর আর কখনো মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি। পরের মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে নেমে আসে।

বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গ্রাম ও শহরের সার্বিক মূল্যস্ফীতি প্রায় সমান। গ্রামে এখন মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ, শহরে এই হার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।

গত মে মাসে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হওয়ার মানে হলো, ২০২২ সালের মে মাসে একজন মানুষ যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতেন, চলতি বছরের মে মাসে একই পণ্য কিনতে তার খরচ হয়েছে ১০৯ টাকা ৯৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে খরচ বেড়েছে ৯ টাকা ৯৪ পয়সা। মূল্যস্ফীতি হলো একধরনের করের মতো, যা ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ বাড়ায়। এক বছর ধরেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শুরু হয়। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় মূল্যস্ফীতি বাড়ে। আগস্টে জ্বালানি তেলের রেকর্ড দাম বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি এক লাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ উঠে যায়, যা ২০১১ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

এরপর টানা পাঁচ মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমে। তবে তা কোন মাসেই সাড়ে ৮ শতাংশের নিচে নামেনি। গত তিন মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়ই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে বিশ্ববাজারে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কমছে। তবে এর প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। আমদানিকারকেরা এর জন্য মূলত ডলার সংকট এবং আমদানির এলসি খোলার ওপর কড়াকড়িকে দায়ী করে থাকেন।

back to top