আইএটিএর উদ্বেগ প্রকাশের পর বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিভিন্ন বিমান সংস্থার পাওনা পরিশোধ করে দিতে দেশীয় ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের ৭ ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য, যদিও আইএটিএর হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ বেশি।
বিমান সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আই্এটিএ) গত ৪ জুন এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশে এয়ারলাইন্সগুলোর আটকে পড়া তহবিলের খতিয়ান দেয়।
তাতে বলা হয়, আটকে পড়া তহবিলের ৬৮ শতাংশই পাঁচটি দেশের। এর মধ্যে শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়ার কাছে আটকে আছে ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের কাছে আটকে আছে ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার।
এর পরের তিনটি দেশ হল আলজেরিয়া (১৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার), পাকিস্তান (১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার) এবং লেবানন (১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার)।
বিশাল অঙ্কের পাওনা আটকে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশগুলোর সরকারকে এয়ারলাইন্সগুলোর তহবিল ছাড় করতে আহ্বান জানায় আইএটিএ। নইলে এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করেন আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ।
এই বিবৃতি সংবাদ মাধ্যমে আসার পর মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “সংবাদপত্রের খবরে যে পাওনার কথা বলা হয়েছে, তার চেয়ে কম হবে। গত জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এয়ারলাইন্সগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
“সাতটি ব্যাংকের কাছে এয়ারলাইন্সগুলোর ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত অর্থ পরিশোধ করে দিতে।”
আইএটিএর দাবিকৃত টাকার অঙ্কের সঙ্গে ফারাকের বিষয়ে তিনি বলেন, “আইএটিএ যে তথ্য দিয়েছে, আর বাংলাদেশ ব্যাংক খোঁজ নিয়ে যে তথ্য জানতে পেরেছে, তার সঙ্গে মিসম্যাচ রয়েছে।
“হয়ত এমনও দেখা যেতে পারে, এয়ারলাইন্সগুলো এখনও অর্থ দাবির বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি। এজন্য হয়ত আইএটিএ ও ব্যাংকের তথ্যর মধ্যে একটু ফারাক রয়েছে।”
যে সাত ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেগুলোর ডলার পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান আবুল বশর, যদিও ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
“গ্রাহক হিসেবে এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক পরিশোধ করে থাকে। আমরা দেখেছি এই সাত ব্যাংকের ডলার পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে। দেখা যাবে কয়েকটি ব্যাংক আগামীকালই তা পরিশোধ করে দেবে।”
“যেহেতু এটি বাংলাদেশের মর্যাদার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা বলেছি খুব দ্রুত তাদের অর্থ ছেড়ে দিতে,” বলেন তিনি।
বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি কিনতে চাইলে স্থানীয় মুদ্রায় বিল পরিশোধ করতে পারবে, এমন নির্দেশনা ব্যাংকগুলোকে আগেই দেওয়া রয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র।
মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩
আইএটিএর উদ্বেগ প্রকাশের পর বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনাকারী বিভিন্ন বিমান সংস্থার পাওনা পরিশোধ করে দিতে দেশীয় ব্যাংকগুলোকে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশের ৭ ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য, যদিও আইএটিএর হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ বেশি।
বিমান সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আই্এটিএ) গত ৪ জুন এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশে এয়ারলাইন্সগুলোর আটকে পড়া তহবিলের খতিয়ান দেয়।
তাতে বলা হয়, আটকে পড়া তহবিলের ৬৮ শতাংশই পাঁচটি দেশের। এর মধ্যে শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়ার কাছে আটকে আছে ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের কাছে আটকে আছে ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার।
এর পরের তিনটি দেশ হল আলজেরিয়া (১৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার), পাকিস্তান (১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার) এবং লেবানন (১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার)।
বিশাল অঙ্কের পাওনা আটকে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশগুলোর সরকারকে এয়ারলাইন্সগুলোর তহবিল ছাড় করতে আহ্বান জানায় আইএটিএ। নইলে এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করেন আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ।
এই বিবৃতি সংবাদ মাধ্যমে আসার পর মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, “সংবাদপত্রের খবরে যে পাওনার কথা বলা হয়েছে, তার চেয়ে কম হবে। গত জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এয়ারলাইন্সগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
“সাতটি ব্যাংকের কাছে এয়ারলাইন্সগুলোর ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত অর্থ পরিশোধ করে দিতে।”
আইএটিএর দাবিকৃত টাকার অঙ্কের সঙ্গে ফারাকের বিষয়ে তিনি বলেন, “আইএটিএ যে তথ্য দিয়েছে, আর বাংলাদেশ ব্যাংক খোঁজ নিয়ে যে তথ্য জানতে পেরেছে, তার সঙ্গে মিসম্যাচ রয়েছে।
“হয়ত এমনও দেখা যেতে পারে, এয়ারলাইন্সগুলো এখনও অর্থ দাবির বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি। এজন্য হয়ত আইএটিএ ও ব্যাংকের তথ্যর মধ্যে একটু ফারাক রয়েছে।”
যে সাত ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেগুলোর ডলার পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান আবুল বশর, যদিও ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
“গ্রাহক হিসেবে এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক পরিশোধ করে থাকে। আমরা দেখেছি এই সাত ব্যাংকের ডলার পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে। দেখা যাবে কয়েকটি ব্যাংক আগামীকালই তা পরিশোধ করে দেবে।”
“যেহেতু এটি বাংলাদেশের মর্যাদার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমরা বলেছি খুব দ্রুত তাদের অর্থ ছেড়ে দিতে,” বলেন তিনি।
বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি কিনতে চাইলে স্থানীয় মুদ্রায় বিল পরিশোধ করতে পারবে, এমন নির্দেশনা ব্যাংকগুলোকে আগেই দেওয়া রয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র।