বর্তমানে দেশের অর্থনীতি চকচকে, কিন্তু গভীরতা কম, সামান্য ধুলো-বাতাসে এটা কেঁপে ওঠে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘এখন অর্থনীতির গভীরতা বাড়াতে হবে।’ বুধবার (৭ জুন) এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি ধুলো-বাতাসে কেঁপে উঠে না কারণ অর্থনীতির গভীরতা অনেক।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের থেকে ভারতের অর্থনীতির গভীরতা প্রায় ৫০ গুণ। এ কারণে হাওয়ার দোলাটা তাদের একটু কম লাগে।
ভারতের এই অর্থনীতি একদিনে হয়নি। শতবর্ষের প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমরাও সেই প্রচেষ্টায় আছি। ভালোভাবেই আছি। আমাদের অর্থনীতিতে উপরে যথেষ্ট চাকচিক্য এসেছে। এখন গভীরতা বাড়াতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতির গভীরতা বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। আমরা সেই কাজটাই করবো যেটা করলে অর্থনীতির গভীরতা বাড়ে। এই মুহুর্তে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভয়ংকর মূল্যস্ফীতি এবং বিদ্যুতের সমস্যা। এটা মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য কিছু কৌশল ঠিক করা হয়েছে। খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করতে হবে। কৌশলগুলোর মধ্যে প্রধান উদ্দেশ্যই হলো ডলার বাড়ানো। অধিক পরিমাণে মার্কিন মুদ্রা আয় করতে হবে এবং জমাতে হবে।’
বিবিএসের জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র শীর্ষক প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যানের উন্নয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বাড়ছে। যেকোন তথ্যের জন্য পরিসংখ্যান আমাদের প্রধান অস্ত্র। যা দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয় এবং বাস্তবায়নে কাজে লাগে। ভবিষ্যতে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে।’
বিবিএসকে বিভিন্ন কাজ করার কথাও বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। মিতব্যয়ী মানে এমন নয় যে অর্থ খরচ করবো। তবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এক টাকাও খরচ করলেও সেটার ফল যেন পাওয়া যায়। এজন্য কাজ সমাপ্তির পর মূল্যায়ন করাটা জরুরি। মূল্যায়ন দুইভাবে করতে হবে। নিজেদের পাশাপাশি এবং অন্য কোন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে। যাতে প্রকল্পের মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা যায়।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক ও বিবিএস একসঙ্গে কাজ করছে। বিবিএসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের তথ্য নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সার্বিক উন্নয়নে পরিসংখ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের উন্নয়ন, দক্ষতার মূল্যায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ডাটা দরকার। ডাটা মূলত বিবিএস থেকে জানতে পারছি আমরা।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান, এনএসডিএস প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেনসহ আরও অনেকে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩
বর্তমানে দেশের অর্থনীতি চকচকে, কিন্তু গভীরতা কম, সামান্য ধুলো-বাতাসে এটা কেঁপে ওঠে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘এখন অর্থনীতির গভীরতা বাড়াতে হবে।’ বুধবার (৭ জুন) এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আয়োজিত জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র প্রণয়ন শীর্ষক কর্মশালায় তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি ধুলো-বাতাসে কেঁপে উঠে না কারণ অর্থনীতির গভীরতা অনেক।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের থেকে ভারতের অর্থনীতির গভীরতা প্রায় ৫০ গুণ। এ কারণে হাওয়ার দোলাটা তাদের একটু কম লাগে।
ভারতের এই অর্থনীতি একদিনে হয়নি। শতবর্ষের প্রচেষ্টায় হয়েছে। আমরাও সেই প্রচেষ্টায় আছি। ভালোভাবেই আছি। আমাদের অর্থনীতিতে উপরে যথেষ্ট চাকচিক্য এসেছে। এখন গভীরতা বাড়াতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অর্থনীতির গভীরতা বাড়ানোর জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হবে। আমরা সেই কাজটাই করবো যেটা করলে অর্থনীতির গভীরতা বাড়ে। এই মুহুর্তে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। ভয়ংকর মূল্যস্ফীতি এবং বিদ্যুতের সমস্যা। এটা মোকাবিলা করতে হবে। এজন্য কিছু কৌশল ঠিক করা হয়েছে। খুব দ্রুতই বাস্তবায়ন করতে হবে। কৌশলগুলোর মধ্যে প্রধান উদ্দেশ্যই হলো ডলার বাড়ানো। অধিক পরিমাণে মার্কিন মুদ্রা আয় করতে হবে এবং জমাতে হবে।’
বিবিএসের জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র শীর্ষক প্রকল্প প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যানের উন্নয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বাড়ছে। যেকোন তথ্যের জন্য পরিসংখ্যান আমাদের প্রধান অস্ত্র। যা দিয়ে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হয় এবং বাস্তবায়নে কাজে লাগে। ভবিষ্যতে এর গুরুত্ব আরও বাড়বে।’
বিবিএসকে বিভিন্ন কাজ করার কথাও বলেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে হবে। মিতব্যয়ী মানে এমন নয় যে অর্থ খরচ করবো। তবে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এক টাকাও খরচ করলেও সেটার ফল যেন পাওয়া যায়। এজন্য কাজ সমাপ্তির পর মূল্যায়ন করাটা জরুরি। মূল্যায়ন দুইভাবে করতে হবে। নিজেদের পাশাপাশি এবং অন্য কোন স্বাধীন প্রতিষ্ঠান বা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে মূল্যায়ন করতে হবে। যাতে প্রকল্পের মূল্যায়ন সঠিকভাবে করা যায়।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক ও বিবিএস একসঙ্গে কাজ করছে। বিবিএসের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্যের তথ্য নিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। সার্বিক উন্নয়নে পরিসংখ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের উন্নয়ন, দক্ষতার মূল্যায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ডাটা দরকার। ডাটা মূলত বিবিএস থেকে জানতে পারছি আমরা।’
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান, এনএসডিএস প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেনসহ আরও অনেকে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।