alt

অর্থ-বাণিজ্য

ডিএসইতে ১০ কোম্পানিতেই ২৫ শতাংশ লেনদেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। কমেছে শেয়ারবাজারে মূলধন পরিমাণ। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা যার মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশই টপটেন বা দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন দেড়গুণ।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ১১৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৮টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১১টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৫২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৯২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৫২ পয়েন্ট ছিল।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি এ ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, রূপালী লাইফের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুডের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আইটিসির ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কসের ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। উত্থানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কিন্তু কমেছে বাজার মূলধন পরিমাণ। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন বেশি হয়েছে।

সিএসইর সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ কোটি ৪৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ৯৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৪টি কোম্পানির।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৭৬২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১১ হাজার ২২০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।

সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ১০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ার। একাই ৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া এডিএন টেলিকমের ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, বেক্সিমকোর ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, সিমটেক্সের ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, রূপালী লাইফের ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৪৪ লাক টাকা, বার্জার পেইন্টসের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের (এন ক্যাটাগরি) ২ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৪টির বা ২৮ দশমিক ৩৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে ইউনিট দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ন্যাশনাল টির শেয়ার।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ন্যাশনাল টির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩২ দশমিক ৪০ টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৪৭ দশমিক ৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজারের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা পেটের ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্স মিল্কের ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, নর্দান জুটের ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিংয়ের ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামীক ফান্ডের ১০ দশমিক ১৯ শতাংশের শেয়ার দর কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৯টির বা ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছ। সপ্তাহটিতে ইউনিট দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এন ক্যাটাগরির কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৭২ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ, ফাইন ফুডের ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ, বঙ্গজের ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশের শেয়ার দর বেড়েছে।

ছবি

বিআইসিএমের উদ্যোগে হবে পুঁজিবাজার সম্মেলন

ছবি

যমুনা ব্যাংক ও ডেল্টা লাইফের মধ্যে চুক্তি

ছবি

সোনার দাম আরও কমলো

ছবি

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি পেলেন মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার

ছবি

রিজার্ভ কমায় উদ্বেগ ও আতঙ্ক বাড়ছে

ছবি

তড়িঘড়ি ব্যাংক একীভূতকরণ খেলাপিদের দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি

ছবি

হঠাৎ ঝলকের পর আবার পতন, বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

শেয়ারবাজারে টানা দরপতনের প্রতিবাদে বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ

ছবি

পদত্যাগ করেছেন পদ্মা ব্যাংকের এমডি তারেক রিয়াজ

ঈদের পর শেয়ারবাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করেছে

ছবি

দিনাজপুরে বাঁশ ফুলের চাল তৈরি

ছবি

অভিনেতা ওয়ালিউল হক রুমি মারা গেছেন

ছবি

বিআইপিডি’র অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করছে : এফএফআইএল

ছবি

চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেলেও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সরকার বদ্ধপরিকর

ছবি

রাজধানীতে ঈদের পরও চড়া সবজির বাজার

ছবি

সয়াবিন তেলের লিটার প্রতি দাম বাড়ল ৪ টাকা

ছবি

সূচকের পতনে পুঁজিবাজারে চলছে লেনদেন

ছবি

ব্যাংক এশিয়া কিনবে পাকিস্তানি ব্যাংক আলফালাহর বাংলাদেশ অংশ

ছবি

এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ

ছবি

একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় থাকা ব্যাংক চাইলে সরে যেতে পারবে, তবে শর্তসাপেক্ষে : কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

পণ্যের দাম ঠিক রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : প্রতিমন্ত্রী

ছবি

একীভূত ব্যাংক : পাঁচটির বাইরে আপাতত আর না

ছবি

ঈদে মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখেছি : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

ছবি

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বিশ্ব ব্যাংকের চেয়ে বেশি দেখছে এডিবি

ছবি

মার্চে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯.৮১ শতাংশ

ছবি

ঈদের আগে পাঁচ দিনে দেশে এলো ৪৬ কোটি ডলার

ছবি

শিল্পাঞ্চলের বাইরের কারখানায় গ্যাস-বিদ্যুৎ আর নয়, পাবেনা ঋণও

এবার ঈদে পর্যটন খাত চাঙ্গা হওয়ার আশা

ছবি

জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ার অনুমোদন

সোনালীতে একীভূত হচ্ছে বিডিবিএল

ছবি

সোনার দাম আবার বাড়লো, ভরি ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা

ছবি

সিটি ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে রাষ্ট্রীয় বেসিক ব্যাংক

ছবি

বিজিএমইএর দায়িত্ব নিলেন এস এম মান্নান কচি

ছবি

বাজার মূলধন কিছুটা বাড়লো, তবু লাখ কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি

ছবি

নতুন বিদেশী ঋণ নিয়ে পুরনো ঋণ শোধ করছে সরকার : সিপিডি

ছবি

ব্যাংক একীভুতকরনে নীতিমালা জারি

tab

অর্থ-বাণিজ্য

ডিএসইতে ১০ কোম্পানিতেই ২৫ শতাংশ লেনদেন

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩

গত সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সব ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। কমেছে শেয়ারবাজারে মূলধন পরিমাণ। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহটিতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা যার মোট লেনদেনের ২৫ শতাংশই টপটেন বা দশ কোম্পানির দখলে রয়েছে। ওই দশ কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর উত্থানের তুলনায় পতন দেড়গুণ।

গত ১০ অক্টোবর পুঁজিবাজারে সরকারি বন্ডের লেনদেন শুরু হয়। এরপর ডিএসইতে ২৫০ বন্ডের লেনদেন হয়। এতে ডিএসইর শেয়ারবাজার মূলধন ২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেড়ে ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছিল। এরপর গত ২৭ অক্টোবর শেয়ারবাজার মূলধন কমে দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ কোটি ৭২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৬৮৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায়। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭৪ হাজার ২৮১ কোটি ২৬ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫৯২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫ হাজার ৫২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডিএসইতে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৮৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড়ে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১০৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৪০২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ১১৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০৮টি কোম্পানির। লেনদন হয়নি ১১টি কোম্পানির শেয়ার।

সপ্তাহে সব ধরনের সূচক উত্থানে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে ডিএসইএক্স ২ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৬ হাজার ৩৫২ দশমিক ৮৪ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৮ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট এবং শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১ দশমিক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ২ হাজার ১৯২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩৭৮ দশমিক ৪৩ পয়েন্টে।

এদিকে গত সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) ডিএসইর পিই রেশিও অবস্থান করে ১৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহের শেষে (বৃহস্পতিবার) পিই রেশিও দাঁড়িয়েছিল ১৪ দশমিক ৫২ পয়েন্ট ছিল।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৭০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। বাকি এ ক্যাটাগরির ৩০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। মোট লেনদেনের ২৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার ১০ কোম্পানির দখলে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারে। কোম্পানিটি একাই মোট শেয়ারের ৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ লেনদেন করেছে।

এছাড়া ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ, রূপালী লাইফের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুডের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নাভানা ফার্মার ২ দশমিক ১৪ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডের ১ দশমিক ৯১ শতাংশ, অগ্নি সিস্টেমসের ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, আইটিসির ১ দশমিক ৮৪ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং আমরা নেটওয়ার্কসের ১ দশমিক ৬৯ শতাংশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। উত্থানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই। কিন্তু কমেছে বাজার মূলধন পরিমাণ। কোম্পানিরগুলোর শেয়ার দর উত্থানের চেয়ে পতন বেশি হয়েছে।

সিএসইর সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০০ কোটি ৪৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৩২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৯৯ কোটি ২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ৩০৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৬৯টির, দর কমেছে ৯৪টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪৪টি কোম্পানির।

প্রধান সূচক সিএএসপিআই উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিএএসপিআই দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৭৬২ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং সিএসই এসএমইএক্স ৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১১ হাজার ২২০ দশমিক ৯৩ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭৬৩ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।

সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৪০ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক দশমিক ১৩ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ১০ পয়েন্টে, ১ হাজার ৩৮৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৭ দশমিক ৬৪ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এ ক্যাটাগরির ৮০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। এছাড়া বি ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ এবং এন ক্যাটাগরির ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ার। একাই ৭ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

এছাড়া এডিএন টেলিকমের ৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, বেক্সিমকোর ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের ৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, সিমটেক্সের ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা, রূপালী লাইফের ৩ কোটি ৩ লাখ টাকা, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুডের (বি ক্যাটাগরি) ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ২ কোটি ৪৪ লাক টাকা, বার্জার পেইন্টসের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের (এন ক্যাটাগরি) ২ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১১৪টির বা ২৮ দশমিক ৩৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। সপ্তাহটিতে ইউনিট দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ন্যাশনাল টির শেয়ার।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ন্যাশনাল টির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৩২ দশমিক ৪০ টাকা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৪৪৭ দশমিক ৪০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন লুজারের তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন লুজার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা পেটের ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ, মেঘনা কনডেন্স মিল্কের ১৫ দশমিক ১৭ শতাংশ, সি পার্ল বিচের ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৭০ শতাংশ, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ, নর্দান জুটের ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বাংলাদেশ ওয়েল্ডিংয়ের ১০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১০ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামীক ফান্ডের ১০ দশমিক ১৯ শতাংশের শেয়ার দর কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৬৯টির বা ১৭ দশমিক ১৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছ। সপ্তাহটিতে ইউনিট দর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এন ক্যাটাগরির কোম্পানি ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪৪ টাকা ৯০ পয়সা। আর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর দাঁড়ায় ৭২ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৬০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিএসইর সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকার শীর্ষে উঠে আসে।

ডিএসইতে সাপ্তাহিক টপটেন গেইনার তালিকায় উঠে আসা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ, এসকে ট্রিমসের ২০ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ইয়াকিন পলিমারের ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ, ফাইন ফুডের ১৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৪ দশমিক ৮১ শতাংশ, বঙ্গজের ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশের শেয়ার দর বেড়েছে।

back to top