ঈদুল ফিতরের পর থেকে দেশি পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বেড়ে দেড় মাসের মাথায় একশ টাকা ছুঁয়েছিল। ফলে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে দেশি পেঁয়াজের বাজার। সরকারি সিদ্ধান্তে ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। কিন্তু আদা ও জিরার দাম আকাশচুম্বি। কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধির পরও সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি। তেল-ডাল-আট-ময়দা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও বেশিরভাগ সবজি ষাট থেকে আশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা কয়েকদিন আগে ১০০ টাকায় ছুঁয়েছিল। আর ঈদুল ফিতরের আগে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
এছাড়া ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। বাজারে আদা ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা ও দেশি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ২ দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মসলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজারভেদে জিরা বাড়তি দামে ৭৮০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জিরা। এছাড়া গুলমরিচ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, সাদা এলাচ ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা, কালো এলাচ ৮৫০ থেকে ১০৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং লবঙ্গ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক দফা দাম বাড়ানোর পরও সরকার নির্ধরিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। ক্রেতাদেরকে এখনও বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ খেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্যাকেটের লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায় ।
চিনির বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজরের ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘আমারে ডাইরেক্ট মাল দিবো না। একজনের মাধ্যম দিবো। প্যাকেটের গায়ের রেটের টাকা আগেই দিতে হইবো। আবার ম্যামো দিবো না, স্লিপ নাই। সাংবাদিক আইলে আমনেরটা আমনেরে ফেস করতে হইবো, ভোক্তা অধিকার আইলে আমনেরটা আমনেরে ফেস করতে হইবো বা ম্যাজিস্ট্রেট আসলেও আমনেরটা আমনেরে ফেস করতে হইবো। আবার বলতেও পাবেন না হের থেকে মাল লইছি। বললে আর মাল দিবো না। নানা বিদিকিচ্চা।’
বাজারে মানভেদে মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, বুট ডাল ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেল-ডাল-আটা-ময়দা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে, মানভেদে ও আকারভেদে সবচেয়ে কমদামি সবজি কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আলু ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ পিস আকারে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সালাদের শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি জাত ও বাজারভেদে কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চাষের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি আকারের রুইয়ের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী ২৭০ টাকা দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩
ঈদুল ফিতরের পর থেকে দেশি পেঁয়াজের দাম দফায় দফায় বেড়ে দেড় মাসের মাথায় একশ টাকা ছুঁয়েছিল। ফলে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে দেশি পেঁয়াজের বাজার। সরকারি সিদ্ধান্তে ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। কিন্তু আদা ও জিরার দাম আকাশচুম্বি। কয়েক দফায় দাম বৃদ্ধির পরও সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না চিনি। তেল-ডাল-আট-ময়দা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও বেশিরভাগ সবজি ষাট থেকে আশি টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ জুন) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। যা কয়েকদিন আগে ১০০ টাকায় ছুঁয়েছিল। আর ঈদুল ফিতরের আগে বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
এছাড়া ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। বাজারে আদা ৩০০ থেকে ৩৮০ টাকা ও দেশি রসুন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ২ দিনে ৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে এক বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মসলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজারভেদে জিরা বাড়তি দামে ৭৮০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে জিরা। এছাড়া গুলমরিচ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, সাদা এলাচ ১৬০০ থেকে ২২০০ টাকা, কালো এলাচ ৮৫০ থেকে ১০৫০ টাকা, দারুচিনি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং লবঙ্গ ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক দফা দাম বাড়ানোর পরও সরকার নির্ধরিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। ক্রেতাদেরকে এখনও বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ খেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্যাকেটের লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায় ।
চিনির বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজরের ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া সংবাদকে বলেন, ‘আমারে ডাইরেক্ট মাল দিবো না। একজনের মাধ্যম দিবো। প্যাকেটের গায়ের রেটের টাকা আগেই দিতে হইবো। আবার ম্যামো দিবো না, স্লিপ নাই। সাংবাদিক আইলে আমনেরটা আমনেরে ফেস করতে হইবো, ভোক্তা অধিকার আইলে আমনেরটা আমনেরে ফেস করতে হইবো বা ম্যাজিস্ট্রেট আসলেও আমনেরটা আমনেরে ফেস করতে হইবো। আবার বলতেও পাবেন না হের থেকে মাল লইছি। বললে আর মাল দিবো না। নানা বিদিকিচ্চা।’
বাজারে মানভেদে মসুর ডাল ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা, বুট ডাল ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তেল-ডাল-আটা-ময়দা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারভেদে, মানভেদে ও আকারভেদে সবচেয়ে কমদামি সবজি কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আলু ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধুন্দল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ পিস আকারে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সালাদের শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি জাত ও বাজারভেদে কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে চাষের তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ মাছ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি আকারের রুইয়ের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে, ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালী ২৭০ টাকা দেশি মুরগি ৬৫০ থেকে ৬৭০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।