শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের স্থায়ী শাস্তির দাবি সহ ৬ দফা দিয়ে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আরেকটি পক্ষ পারফর্মিং আর্টস (প্রতিকী নাটক) ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
আজ রোববার রাত ৮ টার পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মশাল মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং শান্ত চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী প্রতীকী নাটক উপস্থাপন করে। মশাল মিছিলে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে ৬ দফা পেশ করে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসনকে।
ছয়টি দফা হলো: অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে; অভিযুক্তদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে; অতি দ্রুততম সময়ে নিরক্ষেপ যৌন নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অভিযোগ বক্স স্থাপন করতে হবে; স্পেশালিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে; আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
মশাল মিছিলের তৌফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন গতকালকের মতোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
নাটক প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, ‘আমাদের বিগত দাবিগুলো কিছুটা সফল হয়েছে। আমরা এখন ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে আমাদের সমস্যা নেই। তবে অভিযুক্তদের তো আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করেছে। আর স্হায়ী বহিষ্কারের ক্ষেত্রে তো একটা প্রক্রিয়া আছে।’
রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪
শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের স্থায়ী শাস্তির দাবি সহ ৬ দফা দিয়ে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আরেকটি পক্ষ পারফর্মিং আর্টস (প্রতিকী নাটক) ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
আজ রোববার রাত ৮ টার পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মশাল মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং শান্ত চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী প্রতীকী নাটক উপস্থাপন করে। মশাল মিছিলে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে ৬ দফা পেশ করে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসনকে।
ছয়টি দফা হলো: অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে; অভিযুক্তদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে; অতি দ্রুততম সময়ে নিরক্ষেপ যৌন নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অভিযোগ বক্স স্থাপন করতে হবে; স্পেশালিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে; আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।
মশাল মিছিলের তৌফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন গতকালকের মতোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’
নাটক প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, ‘আমাদের বিগত দাবিগুলো কিছুটা সফল হয়েছে। আমরা এখন ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে আমাদের সমস্যা নেই। তবে অভিযুক্তদের তো আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করেছে। আর স্হায়ী বহিষ্কারের ক্ষেত্রে তো একটা প্রক্রিয়া আছে।’