alt

ক্যাম্পাস

অবন্তিকার আত্মহত্যা : শাস্তির দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪

শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের স্থায়ী শাস্তির দাবি সহ ৬ দফা দিয়ে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আরেকটি পক্ষ পারফর্মিং আর্টস (প্রতিকী নাটক) ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।

আজ রোববার রাত ৮ টার পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মশাল মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং শান্ত চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী প্রতীকী নাটক উপস্থাপন করে। মশাল মিছিলে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে ৬ দফা পেশ করে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসনকে।

ছয়টি দফা হলো: অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে; অভিযুক্তদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে; অতি দ্রুততম সময়ে নিরক্ষেপ যৌন নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অভিযোগ বক্স স্থাপন করতে হবে; স্পেশালিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে; আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

মশাল মিছিলের তৌফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন গতকালকের মতোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’

নাটক প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, ‘আমাদের বিগত দাবিগুলো কিছুটা সফল হয়েছে। আমরা এখন ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে আমাদের সমস্যা নেই। তবে অভিযুক্তদের তো আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করেছে। আর স্হায়ী বহিষ্কারের ক্ষেত্রে তো একটা প্রক্রিয়া আছে।’

ছবি

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক সোহেল রানা ও অধ্যাপক আইরিন আক্তার

ছবি

এক-দুই মাসের মধ্যে রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি

জাবির হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

জাবিতে জুলাই বিপ্লবের আহত ও শহীদদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে কমিটি গঠন

ছবি

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ, সাধারণ সম্পাদক রইছ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগে রাজধানী পরিবহনের ৩৫টি বাস আটক

ছবি

আবাসন সংকট নিরসনে আস-সুন্নাহর সঙ্গে জবির সমঝোতা স্বাক্ষর

ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে বাদ আওয়ামীপন্থী ৫ শিক্ষক

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসুর কথা ভাবছে ঢাবি প্রশাসন

ছবি

‘বিপ্লবোত্তর ছাত্র ঐক্যের’ ডাক এলো জগন্নাথ থেকে

ছবি

সকল আন্দোলনে ‘রসদ’ যোগায় জগন্নাথ, কিন্তু পরে আর মনে করা হয় না : রইছ উদদীন

ছবি

মা এখনও সাজিদের কাপড় বুকে নিয়ে ঘুমায়: শহীদ সাজিদের বোন

ছবি

২৪ এর বিজয় যেন চিরঞ্জীব থাকে : জবি উপাচার্য

ছবি

জাবিতে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে ছাত্রশিবিরের স্বারকলিপি

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বেরোবির সাবেক প্রক্টর বরখাস্ত

ছবি

আল্টিমেটাম: পদত্যাগ না করায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে তালা

ছবি

স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নিউজ প্রেজেন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

তিন মাসেরও বেশি সময় পর চাঁবিপ্রবির শিক্ষা কার্যক্রম চালু

ছবি

জাবিতে রাঁচি নিহতের ঘটনায় আল্টিমেটাম শেষে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা

ছবি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে আইইউটিতে তিন দিনের শোক

ছবি

জবিতে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দোকানের মালপত্র চুরি ও দখলের অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় দফায় ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপ: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি

ছবি

জবিস্থ জামালপুর জেলা ছাত্রকল্যাণের নেতৃত্বে হারুন-শাকিল

ছবি

১১ দফা দাবিতে জাবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে তালা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, রয়েছেন তিন সমন্বয়ক

ছবি

সায়েন্সল্যাবে দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত

ছবি

ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার কফিন মিছিল, সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা

ছবি

বেগম রোকেয়ার গ্রাফিতিতে কালো রং : শিক্ষার্থী ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানালেন প্রাধ্যক্ষ

ছবি

জাবির ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় বরখাস্ত ৪, ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা

ছবি

র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী কারাগারে

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লেজিং নিয়ে সংঘর্ষ, ৩৪ জন আহত

ছবি

৯ বছর পর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল ঢাবি

ছবি

জবিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা, অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

ছবি

জবিতে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন

ঢাবিতে ছাত্র রাজনীতি কীভাবে চলবে, পরামর্শ দিতে বিশেষ কমিটি

tab

ক্যাম্পাস

অবন্তিকার আত্মহত্যা : শাস্তির দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

প্রতিনিধি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪

শিক্ষক-সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের স্থায়ী শাস্তির দাবি সহ ৬ দফা দিয়ে ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আরেকটি পক্ষ পারফর্মিং আর্টস (প্রতিকী নাটক) ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ধারাবাহিক আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।

আজ রোববার রাত ৮ টার পর সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে মশাল মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে এবং শান্ত চত্বরে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী প্রতীকী নাটক উপস্থাপন করে। মশাল মিছিলে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করে ৬ দফা পেশ করে ৭ দিনের আল্টিমেটাম দেয় প্রশাসনকে।

ছয়টি দফা হলো: অবিলম্বে তদন্ত করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে; অভিযুক্তদের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং তৎকালীন প্রক্টরিয়াল বডিকে তদন্ত সাপেক্ষে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে; পূর্বে ঘটে যাওয়া সকল নিপীড়নের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে; অতি দ্রুততম সময়ে নিরক্ষেপ যৌন নিপীড়ন দমন সেল গঠন করতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগে অভিযোগ বক্স স্থাপন করতে হবে; স্পেশালিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিতে হবে; আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে উপস্থাপিত দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।

মশাল মিছিলের তৌফিকুল ইসলাম হৃদয় বলেন, ‘আমরা আমাদের আন্দোলন গতকালকের মতোই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে করছি। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।’

নাটক প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সুমাইয়া সোমা বলেন, ‘আমাদের বিগত দাবিগুলো কিছুটা সফল হয়েছে। আমরা এখন ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করলে আমাদের সমস্যা নেই। তবে অভিযুক্তদের তো আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করেছে। আর স্হায়ী বহিষ্কারের ক্ষেত্রে তো একটা প্রক্রিয়া আছে।’

back to top