alt

ক্যাম্পাস

ঢাবির দুই অধ্যাপককে স্থায়ী ও দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা ও নৈতিক পদস্খলনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আরেকজন অধ্যাপককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া বিভাগের অন্য দুই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানান তারা। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানানো দুই শিক্ষক হলেন, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ও অধ্যাপক সুমন দাস। তাছাড়া বিভাগের শিক্ষক ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী ও ড. শবনম জাহানকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘রং চা না দুধ চা, মোশাররফ লুইচ্চা, রং চা না দুধ চা,সুমন দাস লুইচ্চা’, ‘বয়কট বয়কট, মোশাররফ বয়কট বয়কট বয়কট, সুমন দাস বয়কট’-ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ওই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক মোশাররফ ও সুমন দাসের বিরুদ্ধে বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও কু প্রস্তাব দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। শুধু চলমান ৫টি ব্যাচ না এর আগেও তারা নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা করে গেছে। এতদিন শিক্ষার্থীরা মুখ থাকতেও চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছিলো কিন্তু এখন তারা তাদের কুকীর্তির কথা সবার সামনে প্রকাশ করছেন।

তিনি বলেন, এই দুজন শিক্ষক কোটা সংস্কার আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা করেছে। শিক্ষার্থীদের পোস্ট সরিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে নানাভাবে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা সুস্পষ্টভাবে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ ছিলেন। তাই নৈতিক পদস্থলন ও আন্দোলনে বাধা দেওয়ার কারণে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছে। তাদেরকে কেউ বিভাগে দেখতে চায় না। তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

অন্য দুজন শিক্ষকের ব্যপারে তিনি বলেন, মুশফিক মান্নান ও শবনম জাহান আওয়ামী লীগের দালাল। মুশফিক মান্নান তিনি শিক্ষক হবার পরেও দালালি করে বিআরটিসির কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখানে থেকে তিনি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে বিভিন্নভাবে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শবনম জাহানও শিক্ষকদের সাথেও অনেক বেয়াদবি করেছেন। তাছাড়া ২০১৮ সালে ডাকসু নির্বাচনে সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি আওয়ামী লীগ করায় শিক্ষকতা চালিয়ে যান।

ছবি

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে কুবি কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ

জাবিতে নবীন শিক্ষার্থীদের কল্যাণে শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের উদ্যোগ নিল ছাত্রশিবির

ছবি

মন্ত্রণালয়ের চিঠি ‘অস্পষ্ট’, অনশনকারীদের দাবি মেনে সংশোধিত চিঠির আহ্বান

ছবি

জবি: আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত পাশে থাকার ঘোষণা শিক্ষক সমিতির

ছবি

গণঅনশন চলাকালে এবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন

ছবি

অনশনে একাত্মতা জানাতে হল থেকে বেরিয়ে এলেন জগন্নাথের ছাত্রীরা

ছবি

আনন্দ মোহন কলেজে সংঘর্ষ: সিট নবায়ন ইস্যুতে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

ছবি

অনশনে অসুস্থ জগন্নাথের ১৪ শিক্ষার্থী

ছবি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও আবাসন দাবি: অনশনস্থলে বসলেন জবি উপাচার্যও

ছবি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও আবাসন দাবি: অনশনে জগন্নাথের ১২ শিক্ষার্থী

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সমূহ র‌্যাগিং ও মাদকমুক্ত রাখতে হবে : ড. মাছুমা হাবিব

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মুঠোফোনে ছবি তোলা নিয়ে স্থানীয়দের মারধরে দুই শিক্ষার্থী আহত

ছবি

বিডিইউ-তে ডি-নথি ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ

ছবি

স্থানীয়দের হামলায় শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থী আহত

ছবি

রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও আবাসন দাবি: জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের গণঅনশনের ঘোষণা

ছবি

বেরোবিতে হলের সীট বন্টন কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ, আহত ৪

ছবি

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য আতিয়ার রহমান

ছবি

ঢাবির মুহসীন হলে পলেস্তারা খসে পড়ল শিক্ষার্থীর মাথায়

ছবি

ভিডিও ধারণের সন্দেহে জবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীর বিরুদ্ধে

ছবি

বশেমুরকৃবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে আশরাফ- মসিউল

ছবি

বিডিইউ ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এআই প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

প্রধান ফটকের সামনে বসে পড়লেন জবি ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিয়ালের কামড়ে আহত দুই

ছবি

ঢাবিতে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’: হাসিনার সেই ছবি আবার আঁকা হল

ছবি

প্রক্টরের অনুমতিতে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ মোছার চেষ্টায় ঢাবি প্রশাসনের দুঃখ প্রকাশ

ছবি

শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভের’ গ্রাফিতি মোছায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি

ছবি

জাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত হলেন অধ্যাপক সোহেল রানা ও অধ্যাপক আইরিন আক্তার

ছবি

এক-দুই মাসের মধ্যে রাজনৈতিক দল ঘোষণা করা হবে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

ছবি

জাবির হল থেকে ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

জাবিতে জুলাই বিপ্লবের আহত ও শহীদদের আর্থিক সহায়তা প্রদানে কমিটি গঠন

ছবি

জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররফ, সাধারণ সম্পাদক রইছ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্থার অভিযোগে রাজধানী পরিবহনের ৩৫টি বাস আটক

ছবি

আবাসন সংকট নিরসনে আস-সুন্নাহর সঙ্গে জবির সমঝোতা স্বাক্ষর

ঢাবির সিন্ডিকেট থেকে বাদ আওয়ামীপন্থী ৫ শিক্ষক

ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ডাকসুর কথা ভাবছে ঢাবি প্রশাসন

tab

ক্যাম্পাস

ঢাবির দুই অধ্যাপককে স্থায়ী ও দুজনকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের হেনস্থা ও নৈতিক পদস্খলনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আরেকজন অধ্যাপককে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া বিভাগের অন্য দুই শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানান তারা। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা বিভাগের সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানানো দুই শিক্ষক হলেন, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন ও অধ্যাপক সুমন দাস। তাছাড়া বিভাগের শিক্ষক ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী ও ড. শবনম জাহানকে সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘রং চা না দুধ চা, মোশাররফ লুইচ্চা, রং চা না দুধ চা,সুমন দাস লুইচ্চা’, ‘বয়কট বয়কট, মোশাররফ বয়কট বয়কট বয়কট, সুমন দাস বয়কট’-ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ওই বিভাগের শিক্ষার্থী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, অধ্যাপক মোশাররফ ও সুমন দাসের বিরুদ্ধে বিভাগের নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হেনস্থা ও কু প্রস্তাব দেওয়ার কথা উঠে এসেছে। শুধু চলমান ৫টি ব্যাচ না এর আগেও তারা নারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা করে গেছে। এতদিন শিক্ষার্থীরা মুখ থাকতেও চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছিলো কিন্তু এখন তারা তাদের কুকীর্তির কথা সবার সামনে প্রকাশ করছেন।

তিনি বলেন, এই দুজন শিক্ষক কোটা সংস্কার আন্দোলনেও শিক্ষার্থীদের নানাভাবে হেনস্থা করেছে। শিক্ষার্থীদের পোস্ট সরিয়ে দিতে বাধ্য করেছে। আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে নানাভাবে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। তারা সুস্পষ্টভাবে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ ছিলেন। তাই নৈতিক পদস্থলন ও আন্দোলনে বাধা দেওয়ার কারণে তাদেরকে শিক্ষার্থীরা বর্জন করেছে। তাদেরকে কেউ বিভাগে দেখতে চায় না। তাদেরকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।

অন্য দুজন শিক্ষকের ব্যপারে তিনি বলেন, মুশফিক মান্নান ও শবনম জাহান আওয়ামী লীগের দালাল। মুশফিক মান্নান তিনি শিক্ষক হবার পরেও দালালি করে বিআরটিসির কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এখানে থেকে তিনি আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যেতে বিভিন্নভাবে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শবনম জাহানও শিক্ষকদের সাথেও অনেক বেয়াদবি করেছেন। তাছাড়া ২০১৮ সালে ডাকসু নির্বাচনে সুস্পষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি আওয়ামী লীগ করায় শিক্ষকতা চালিয়ে যান।

back to top