শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছেন।
এছাড়াও জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করেন এবং শাপলা ফোরামের ব্যানারে মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গত ৭ মার্চেও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি হস্তক্ষেপ করে তাকে একটি গাড়িতে করে ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনে ভর্তি সংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নেন সব বিভাগীয় সভাপতি। এতে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকরা অংশ নিয়েছে জানতে পেরে একদল শিক্ষার্থী সভাস্থলের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আওয়ামীপন্থি অন্যান্য শিক্ষকরা সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে যান। তবে শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে ভ্যানে করে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় তাকে পেছন থেকে কিছু শিক্ষার্থী ধাওয়া দিলে দ্রুত তিনি নিজের অফিস রুমে চলে যান। ধাওয়াকারীরা বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের সামনে গিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, "তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপাতত কিছুদিন তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ থাকবেন বলে মনে করছি। তাই তাকে বাইরে পৌঁছে দিলাম।"
গত ৫ মার্চ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি আবাসিক হল ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নামে রাখা হয়। শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিলেন এবং পরে জিয়াউর রহমানের আমলে প্রধানমন্ত্রী হন। এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি শহীদুল ইসলামকে সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে সমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছেন।
এছাড়াও জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করেন এবং শাপলা ফোরামের ব্যানারে মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। গত ৭ মার্চেও তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানিমূলক পোস্ট করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি হস্তক্ষেপ করে তাকে একটি গাড়িতে করে ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার বেলা ১২টায় প্রশাসন ভবনে ভর্তি সংক্রান্ত একটি বৈঠকে অংশ নেন সব বিভাগীয় সভাপতি। এতে আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষকরা অংশ নিয়েছে জানতে পেরে একদল শিক্ষার্থী সভাস্থলের বাইরে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে আওয়ামীপন্থি অন্যান্য শিক্ষকরা সভাকক্ষ থেকে বের হয়ে যান। তবে শহীদুল ইসলাম প্রশাসন ভবন থেকে বের হয়ে ভ্যানে করে বিভাগের উদ্দেশে রওনা হন। এসময় তাকে পেছন থেকে কিছু শিক্ষার্থী ধাওয়া দিলে দ্রুত তিনি নিজের অফিস রুমে চলে যান। ধাওয়াকারীরা বিভাগীয় সভাপতির কক্ষের সামনে গিয়েও বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহীনুজ্জামান বলেন, "তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কাজে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। আপাতত কিছুদিন তিনি ক্যাম্পাসের বাইরে নিরাপদ থাকবেন বলে মনে করছি। তাই তাকে বাইরে পৌঁছে দিলাম।"
গত ৫ মার্চ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত ছয়টি আবাসিক হল ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম পরিবর্তন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের নামে রাখা হয়। শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ছিলেন এবং পরে জিয়াউর রহমানের আমলে প্রধানমন্ত্রী হন। এই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।