ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্বাচনে মোট ৫০৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৪৬২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪০২ জন ও ছাত্রী ৬০ জন। ৪৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। হল সংসদে ১ হাজার ১০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১০৮ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। মাত্র একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
মোট প্রার্থীর
১৩ শতাংশ মেয়ে
তিনটি পদে নেই কোনো নারী প্রার্থী
হল সংসদেও
অনাগ্রহ ছাত্রীদের
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত এ তালিকায় ছেলে প্রার্থীদের তুলনায় নারী প্রার্থী অনেক কম। শতাংশের হিসেবে মোট প্রার্থিতার ৮৭ শতাংশই ছেলে। বাকি ১৩ শতাংশ মেয়ে।
প্রাথমিক তালিকার হিসাবে এবারের কেন্দ্রীয় সংসদের তিনটি পদে কোনো নারী প্রার্থীকেই লড়তে দেখা যাবে না। এ পদগুলো হলো- সমাজসেবা সম্পাদক, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে একজন, মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে একজন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাত্র একজন নারী প্রার্থীকে লড়তে দেখা যাবে। তবে সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থীদের লড়তে দেখা যাবে কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে। এই পদে মোট ১১ জন প্রার্থীর ৯ জনই নারী।
ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জনের মধ্যে ৪৩ জনই ছেলে প্রার্থী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৮ জন প্রার্থীর ৪ জন মেয়ে প্রার্থী বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছেন। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ৯ জনের মাত্র দুজন মেয়ে। মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জনের তিনজন নারী প্রার্থী পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জনের তিনজন মেয়ে। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১১ জনের চারজন মেয়ে, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জনের দুইজন মেয়ে এবং সদস্য পদে ২১৫ জনের মাত্র ২৪ জন নারী প্রার্থী লড়াই করবেন।
হল সংসদেরও অনাগ্রহ মেয়েদের
কেন্দ্রীয় সংসদের মতোই হল সংসদে প্রার্থিতায়ও মেয়েরা যোজন-যোজন পিছিয়ে। মেয়েদের মোট পাঁচ হলে ১৩ পদের কোনো কোনোটিতে মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েদের হলগুলোতে ভোটারের তুলনায় মাত্র এক শতাংশেরও কম প্রার্থী মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকা থেকে জানা যায়, মেয়েদের শামসুন্নাহার হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বহিরাঙ্গন ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাত্র একজন করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে। ফলে এ পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নিজ নিজ হলে নির্বাচিত হবেন তারা।
ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি উমামা ফাতেমার
ডাকসু নির্বাচনে হল থেকে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব বিবেচনায় শামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এবং হলপাড়ার চারটি হলের ভোটকেন্দ্র ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে (এফবিএস) নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার।
শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে হল থেকে ভোটকেন্দ্র যাওয়ার জন্য দরকার হলে তারা ভোটগ্রহণের দিন বাসের ট্রিপগুলো বাড়াবে। সেই সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের মধ্যে যে নীলক্ষেত মোড়টা রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা বাড়াবে। কিন্তু আমরা দেখেছি সেই মোড়ে সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের সুবিধার্থে আমার ভোটকেন্দ্রগুলো পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্রে সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটি?উটে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘মেয়েদের হলগুলোর পাশাপাশি ছেলেদের হলের ক্ষেত্রেও ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে হলপাড়ার হলগুলোকে বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানাচ্ছি। এতে বেশি মাত্রায় ভোট কাস্টিং হবে।’ উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে লক্ষ্য করেছি, ডাকসু নিয়ে বিভিন্ন তথ্যগুলো প্রশাসন সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে না। হল কার্ড রিনিউ না করলে কেউ ভোট করতে পারে না?। তখন শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের সদিচ্ছা থাকলেও তারা ভোট দিতে পারে না। তাই সেন্ট্রাল আইডি কার্ড দিয়ে ভোট নেয়ার আহ্বান করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভোটারদের ভোগান্তি কমানো।’
‘বিকৃত ফটোকার্ড বিরুদ্ধে কাদেরকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ আবিদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন বিকৃত ফটোকার্ড নিয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া আব্দুল কাদেরকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আরেক ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম। প্রতিউত্তরে আব্দুল কাদের বিষয়গুলোকে সামাজিক জায়গা থেকে প্রতিরোধ করা ও প্রশাসনকে অবহিত করার বিষয়ে জানান। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত আলাপকালে আব্দুল কাদের ও আবিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এবারের ডাকসু নির্বাচনে সংগঠনের সমর্থিক প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আবিদুল ইসলাম খান।
পরস্পরের আলাপকালে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে ফটোকার্ডগুলো করা হয় এগুলোর বিরুদ্ধে আজকে আমিও বলেছি তুমিও বলবা। সত্যিকার অর্থে ক্যাম্পাসটাকে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই। কথা বলতেছি একটা, ফটোকার্ড বানাচ্ছে আরেকটা। এই প্রোপাগান্ডা কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে সহনশীলতার পরিচয় না। তোমার আমার মাঝে এখনও পর্যন্ত কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি হয় নাই। সামগ্রিকভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি কার সঙ্গে হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে হচ্ছে। সেই গোষ্ঠীটাকে আমরা সামগ্রিকভাবে সহনশীল করে দিতে চাই আপনারাও সহনশীলতার কাতারে আসেন। এটাও তোমরা তোমাদের জায়গা থেকে বার্তা দিও।’
উত্তরে আব্দুল কাদের বলেন, ‘সামাজিক জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে হবে। অনলাইনে যে নোংরামিটা হচ্ছে সেটার বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এটা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করে দিবে।’
আবিদুল ইসলাম আবার বলেন, ‘যদি কোনো অপরাধ আমরা করে থাকি তাহলে প্রমাণসহকারে তোমরা আসো। কথা বলি। কিন্তু, আমার কথাটা তুমি বিকৃত করে ফটোকার্ড বানাবা এটা কেমন বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ?’
কাদের বলেন, ‘অপরাজনীতি কিংবা গুপ্ত রাজনীতিতে আপনারা কখনও সুফল ভোগ করবেন না।’
আলাপ শেষে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে কোলাকুলি করে তাকে শুভকামনা জানান আবিদুল ইসলাম খান।
অনলাইন ‘প্রোপাগান্ডার’ অভিযোগ সাদিক কায়েমের
পরিকল্পিতভাবে অনলাইনে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অব্যাহত ‘ট্যাগিং, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, চরিত্রহনন ও অমর্যাদাকর’ প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নির্বাচনে মোট ৫০৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৪৬২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ বলে গৃহীত হয়েছে। বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪০২ জন ও ছাত্রী ৬০ জন। ৪৭ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। হল সংসদে ১ হাজার ১০৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১০৮ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। মাত্র একজন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
মোট প্রার্থীর
১৩ শতাংশ মেয়ে
তিনটি পদে নেই কোনো নারী প্রার্থী
হল সংসদেও
অনাগ্রহ ছাত্রীদের
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত এ তালিকায় ছেলে প্রার্থীদের তুলনায় নারী প্রার্থী অনেক কম। শতাংশের হিসেবে মোট প্রার্থিতার ৮৭ শতাংশই ছেলে। বাকি ১৩ শতাংশ মেয়ে।
প্রাথমিক তালিকার হিসাবে এবারের কেন্দ্রীয় সংসদের তিনটি পদে কোনো নারী প্রার্থীকেই লড়তে দেখা যাবে না। এ পদগুলো হলো- সমাজসেবা সম্পাদক, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে একজন, মুক্তিযুদ্ধ ও ছাত্র আন্দোলন সম্পাদক পদে একজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে একজন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাত্র একজন নারী প্রার্থীকে লড়তে দেখা যাবে। তবে সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থীদের লড়তে দেখা যাবে কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে। এই পদে মোট ১১ জন প্রার্থীর ৯ জনই নারী।
ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৮ জনের মধ্যে ৪৩ জনই ছেলে প্রার্থী এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৮ জন প্রার্থীর ৪ জন মেয়ে প্রার্থী বৈধ হিসেবে গণ্য হয়েছেন। ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ৯ জনের মাত্র দুজন মেয়ে। মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক পদে ১১ জনের তিনজন নারী প্রার্থী পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জনের তিনজন মেয়ে। গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১১ জনের চারজন মেয়ে, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জনের দুইজন মেয়ে এবং সদস্য পদে ২১৫ জনের মাত্র ২৪ জন নারী প্রার্থী লড়াই করবেন।
হল সংসদেরও অনাগ্রহ মেয়েদের
কেন্দ্রীয় সংসদের মতোই হল সংসদে প্রার্থিতায়ও মেয়েরা যোজন-যোজন পিছিয়ে। মেয়েদের মোট পাঁচ হলে ১৩ পদের কোনো কোনোটিতে মাত্র একজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, মেয়েদের হলগুলোতে ভোটারের তুলনায় মাত্র এক শতাংশেরও কম প্রার্থী মনোনয়ন বৈধতা পেয়েছে।
নির্বাচন কমিশন প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকা থেকে জানা যায়, মেয়েদের শামসুন্নাহার হল ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের বহিরাঙ্গন ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাত্র একজন করে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে। ফলে এ পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই নিজ নিজ হলে নির্বাচিত হবেন তারা।
ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি উমামা ফাতেমার
ডাকসু নির্বাচনে হল থেকে ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব বিবেচনায় শামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্র সমাজকল্যাণ গবেষণা ইনস্টিটিউটে এবং হলপাড়ার চারটি হলের ভোটকেন্দ্র ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে (এফবিএস) নেয়ার দাবি জানিয়েছেন ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলে ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমার।
শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে হল থেকে ভোটকেন্দ্র যাওয়ার জন্য দরকার হলে তারা ভোটগ্রহণের দিন বাসের ট্রিপগুলো বাড়াবে। সেই সঙ্গে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের মধ্যে যে নীলক্ষেত মোড়টা রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা বাড়াবে। কিন্তু আমরা দেখেছি সেই মোড়ে সব সময় জ্যাম লেগেই থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের সুবিধার্থে আমার ভোটকেন্দ্রগুলো পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছি। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও কুয়েত মৈত্রী হলের ভোটকেন্দ্রে সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটি?উটে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে শামসুন্নাহার হলের ভোটকেন্দ্র পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউটে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ‘মেয়েদের হলগুলোর পাশাপাশি ছেলেদের হলের ক্ষেত্রেও ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব রয়ে গেছে। এক্ষেত্রে হলপাড়ার হলগুলোকে বিজনেস ফ্যাকাল্টিতে ভোটকেন্দ্র করার দাবি জানাচ্ছি। এতে বেশি মাত্রায় ভোট কাস্টিং হবে।’ উমামা ফাতেমা আরও বলেন, ‘২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে লক্ষ্য করেছি, ডাকসু নিয়ে বিভিন্ন তথ্যগুলো প্রশাসন সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে না। হল কার্ড রিনিউ না করলে কেউ ভোট করতে পারে না?। তখন শিক্ষার্থীদের ভোট প্রদানের সদিচ্ছা থাকলেও তারা ভোট দিতে পারে না। তাই সেন্ট্রাল আইডি কার্ড দিয়ে ভোট নেয়ার আহ্বান করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ভোটারদের ভোগান্তি কমানো।’
‘বিকৃত ফটোকার্ড বিরুদ্ধে কাদেরকে সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ আবিদের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন বিকৃত ফটোকার্ড নিয়ে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাওয়া আব্দুল কাদেরকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আরেক ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম। প্রতিউত্তরে আব্দুল কাদের বিষয়গুলোকে সামাজিক জায়গা থেকে প্রতিরোধ করা ও প্রশাসনকে অবহিত করার বিষয়ে জানান। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত আলাপকালে আব্দুল কাদের ও আবিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন। গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের এবারের ডাকসু নির্বাচনে সংগঠনের সমর্থিক প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আবিদুল ইসলাম খান।
পরস্পরের আলাপকালে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, ‘যে ফটোকার্ডগুলো করা হয় এগুলোর বিরুদ্ধে আজকে আমিও বলেছি তুমিও বলবা। সত্যিকার অর্থে ক্যাম্পাসটাকে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই। কথা বলতেছি একটা, ফটোকার্ড বানাচ্ছে আরেকটা। এই প্রোপাগান্ডা কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে সহনশীলতার পরিচয় না। তোমার আমার মাঝে এখনও পর্যন্ত কোনো কাদা ছোড়াছুড়ি হয় নাই। সামগ্রিকভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি কার সঙ্গে হচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সঙ্গে হচ্ছে। সেই গোষ্ঠীটাকে আমরা সামগ্রিকভাবে সহনশীল করে দিতে চাই আপনারাও সহনশীলতার কাতারে আসেন। এটাও তোমরা তোমাদের জায়গা থেকে বার্তা দিও।’
উত্তরে আব্দুল কাদের বলেন, ‘সামাজিক জায়গা থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ জানাতে হবে। অনলাইনে যে নোংরামিটা হচ্ছে সেটার বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এটা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করে দিবে।’
আবিদুল ইসলাম আবার বলেন, ‘যদি কোনো অপরাধ আমরা করে থাকি তাহলে প্রমাণসহকারে তোমরা আসো। কথা বলি। কিন্তু, আমার কথাটা তুমি বিকৃত করে ফটোকার্ড বানাবা এটা কেমন বিকৃত মস্তিষ্কের কাজ?’
কাদের বলেন, ‘অপরাজনীতি কিংবা গুপ্ত রাজনীতিতে আপনারা কখনও সুফল ভোগ করবেন না।’
আলাপ শেষে আব্দুল কাদেরের সঙ্গে কোলাকুলি করে তাকে শুভকামনা জানান আবিদুল ইসলাম খান।
অনলাইন ‘প্রোপাগান্ডার’ অভিযোগ সাদিক কায়েমের
পরিকল্পিতভাবে অনলাইনে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে অব্যাহত ‘ট্যাগিং, মিথ্যাচার, অপপ্রচার, চরিত্রহনন ও অমর্যাদাকর’ প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম।