নারী সার্জেন্টের সঙ্গে মা-মেয়ের ধস্তাধস্তি
গাড়ির ‘অবৈধ পাকিং’য়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ‘ধস্তাধস্তিতে জড়ানোয়’ এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম ও স্ত্রী দিলারা আক্তার এখন জেলে রয়েছেন। মায়ের সঙ্গে জেলে থাকা তাসফিয়ার এক সপ্তাহ পর আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (স্থাপত্য প্রকৌশল) ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার আগে এমন একটি ঘটনায় মেয়ে ও স্ত্রী জেলে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ি ‘অবৈধ পার্কিং’ করার অভিযোগে মামলা দেন নারী ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। এ সময় চালকের কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র কেড়ে নেন সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী দিলারা খাতুন ও মেয়ে তাসফিয়ার সঙ্গে সার্জেন্ট হাসিনা খাতুনের তর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়।
এ ঘটনায় ওই নারী সার্জেন্ট পুলিশের কাজে বাধা, গায়ে হাত তোলার অভিযোগে মা ও মেয়ের নামে আরো একটি মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় পরদিন বুধবার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মা ও মেয়েকে আদালতে তোলে। আদালত তাদের জেলে পাঠায়। বর্তমানে তারা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ি রং-সাইডে পার্কিং করা ছিল। এ কারণে ওই গাড়ির বিপরীতে ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন মামলা দেন। এ কারণে তারা (মা ও মেয়ে) সার্জেন্ট হাসিনার গায়ে হাত তোলেন। এ কারণে মারপিটের শিকার সার্জেন্ট হাসিনা বাদী হয়ে মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দেন।
জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম টেলিফোনে সংবাদকে জানান, তার মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং (স্থাপত্য প্রকৌশল) শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহ পর তার ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবেও হেয় হয়েছেন।
তার মতে, ঘটনায় বেশি বাড়া বাড়ি করেছে পুলিশ। তিনি ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে মীমাংসা করতে চেয়েছেন। কিন্ত তাকে রাত ২টা পর্যন্ত মীমাংসার কথা বলে পরে তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে মামলা দেয় পুলিশ।
পুলিশের এ ঘটনায় তার মেয়ের জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে জানিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল জানান, তার মেয়ে কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি। এখন তার মেয়ের বিরুদ্ধে এমন একটি মামলা দেয়া হয়েছে, যেটা মেয়ের জীবনকে প্রভাবিত করবে। তার সঙ্গে তার স্ত্রীও চরমভাবে হেনস্থার শিকার।
মফিজুল ইসলামের দাবি, তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি অবৈধ পাকিংয়ে অভিযোগে পুলিশ ৫ হাজার টাকা মামলা দিয়েছে। কিন্তু গাড়ি অবৈধ পাকিং করা ছিল না। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এ সময় নারী সার্জেন্ট ও তার সহযোগী কয়েকজন তার মেয়ে তাসফিয়া এবং স্ত্রীকে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছেন। কিন্তু সে ঘটনা ধাপাচাপা দিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে উল্টো সার্জেন্টের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে স্ত্রী ও মেয়েকে দেখতে যাই। বড় মেয়ে সঙ্গে ছিল। মেয়ে বলেছে, বাবা ওরা আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে, চুলের মুঠি ধরে মাথায় আঘাত করেছে, ব্যথায় রাতে ঘুমাতে পারিনি। জ্বর চলে এসেছে। তাদের ওষুধ কিনে দিয়ে এসেছি। জেলখানায় চিকিৎসাসহ অন্যন্য খরচের জন্য টাকা দিয়ে এসেছি। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।
কী ঘটেছিল
পুলিশ বলছে, ব্যাংক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ি রং পার্কিং করা ছিল। এ কারণে সার্জেন্ট মামলা দিয়েছে। আর সেই কারণে সার্জেন্টের গায়ে হাত তুলেছে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ও মেয়ে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মেয়ে তাফসিয়া গাড়ি নিয়ে মোহম্মদপুর শিয়া মসজিদের মোড়ে যায়। সেখানে একটি জিম (ব্যামাগার) রয়েছে। চলন্ত অবস্থায় কিছুটা গতি থামিয়ে ওই জিমের সামনে মেয়েকে নামিয়ে দেন চালক কামাল হোসেন। এরপর চালক ইউটার্ন নেন। এ সময় সার্জেন্ট হাসিনা নো পার্কিংয়ের মামলা দেন। অথচ গাড়ি পার্কিং করা ছিল না। ওইখানে পার্কিং এর জায়গাও নেই। বিষয়টি চালক তাকে জানালে তিনি চালক কামাল হোসেনকে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন।
মফিজুল ইসলাম বলেন, চালক গাড়ি নিয়ে বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী দিলারা খাতুনকে জানালে তিনি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন তার মেয়ে তাসফিয়া জিমে ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে নারী সার্জেন্টের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তার মেয়ে নিচে নেমে আসে। তিনি জানতে পেরেছেন, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে নারী সার্জেন্ট এর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তখন মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে ট্রাফিক বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেয়ের সঙ্গে তার স্ত্রীকেও আটকে রাখা হয়। ট্রাফিক বক্সের মধ্যে তাদের মারপিট করা হয়।
তাসফিয়ার বড় বোন তানজিলা বলেন, খবর পেয়ে তিনি শিয়া মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখেন তাসফিয়া ও তার মাকে শিয়া মসজিদ ট্রাফিক বক্সের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে। তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারাগারে তাসফিয়া তাদের ওপর পুলিশের হামলা ও নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। ‘ট্রাফিক বক্সে আটকে রেখে মারধর করার পর পোশাক পরা এক পুলিশ সদস্য তার (তাসফিয়া) মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে বলেন, ‘গুলি করে মেরে ফেলব।’ পুলিশের পোশাক পরা নেই, এমন কয়েকজন যুবক তাদের অকথ্য গালাগাল করেন।’
জানতে চাইলে পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, রং পাকিংয়ের কারণে পুলিশ মামলা দিয়েছে। তারা পুলিশের গায়ে হাত দিয়েছে। যেই নারী সার্জেন্ট এর গায়ে হাত দিয়েছে সেই মামলা করেছে। এখন মামলা হওয়ায় তারা নানা রকম কথা বলছে। তাদের অভিযোগ সত্য নয়। সবকিছু ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে।
সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন যা বলেছেন
ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন গণমাধ্যমে বলেন, অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেয়ার পর দিলারা আক্তার ছুটে এসে উত্তেজিত হন। এ সময় তাকে বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে তাসফিয়া এসেই বলেন, ‘আমার গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিলি কেন?’ এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাসফিয়া তার মুখমন্ডলে আঘাত করেন। তখন তাসফিয়ার মা-ও তাকে আক্রমণ করেন। তখন তিনি একাই দুজনকে ধরে পুলিশ বক্সে এনে আটকে রাখেন। সেখানে তিনি বা অন্য কেউ মা ও মেয়েকে মারধর করেননি। এর তথ্য প্রমাণ তার কাছে আছে।
নারী সার্জেন্টের সঙ্গে মা-মেয়ের ধস্তাধস্তি
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
গাড়ির ‘অবৈধ পাকিং’য়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ট্রাফিক সার্জেন্টের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ও ‘ধস্তাধস্তিতে জড়ানোয়’ এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে মামলা করেছে পুলিশ। সেই মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তা মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম ও স্ত্রী দিলারা আক্তার এখন জেলে রয়েছেন। মায়ের সঙ্গে জেলে থাকা তাসফিয়ার এক সপ্তাহ পর আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (স্থাপত্য প্রকৌশল) ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষার আগে এমন একটি ঘটনায় মেয়ে ও স্ত্রী জেলে থাকায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার মোহাম্মদপুর এলাকায় ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ি ‘অবৈধ পার্কিং’ করার অভিযোগে মামলা দেন নারী ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। এ সময় চালকের কাছ থেকে গাড়ির কাগজপত্র কেড়ে নেন সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী দিলারা খাতুন ও মেয়ে তাসফিয়ার সঙ্গে সার্জেন্ট হাসিনা খাতুনের তর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়।
এ ঘটনায় ওই নারী সার্জেন্ট পুলিশের কাজে বাধা, গায়ে হাত তোলার অভিযোগে মা ও মেয়ের নামে আরো একটি মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় পরদিন বুধবার মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মা ও মেয়েকে আদালতে তোলে। আদালত তাদের জেলে পাঠায়। বর্তমানে তারা গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলামের ব্যক্তিগত গাড়ি রং-সাইডে পার্কিং করা ছিল। এ কারণে ওই গাড়ির বিপরীতে ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন মামলা দেন। এ কারণে তারা (মা ও মেয়ে) সার্জেন্ট হাসিনার গায়ে হাত তোলেন। এ কারণে মারপিটের শিকার সার্জেন্ট হাসিনা বাদী হয়ে মা ও মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দেন।
জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম টেলিফোনে সংবাদকে জানান, তার মেয়ে তাসফিয়া ইসলাম স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং (স্থাপত্য প্রকৌশল) শেষবর্ষের শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহ পর তার ফাইনাল পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে মেয়ে ও স্ত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনায় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। বিষয়টি নিয়ে সামাজিকভাবেও হেয় হয়েছেন।
তার মতে, ঘটনায় বেশি বাড়া বাড়ি করেছে পুলিশ। তিনি ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে মীমাংসা করতে চেয়েছেন। কিন্ত তাকে রাত ২টা পর্যন্ত মীমাংসার কথা বলে পরে তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে মামলা দেয় পুলিশ।
পুলিশের এ ঘটনায় তার মেয়ের জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে জানিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল জানান, তার মেয়ে কখনো কারো সঙ্গে খারাপ আচরণ করেননি। এখন তার মেয়ের বিরুদ্ধে এমন একটি মামলা দেয়া হয়েছে, যেটা মেয়ের জীবনকে প্রভাবিত করবে। তার সঙ্গে তার স্ত্রীও চরমভাবে হেনস্থার শিকার।
মফিজুল ইসলামের দাবি, তাদের ব্যক্তিগত গাড়ি অবৈধ পাকিংয়ে অভিযোগে পুলিশ ৫ হাজার টাকা মামলা দিয়েছে। কিন্তু গাড়ি অবৈধ পাকিং করা ছিল না। এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়েছে। এ সময় নারী সার্জেন্ট ও তার সহযোগী কয়েকজন তার মেয়ে তাসফিয়া এবং স্ত্রীকে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে নিয়ে বেধড়ক মারপিট করেছেন। কিন্তু সে ঘটনা ধাপাচাপা দিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়ের বিরুদ্ধে উল্টো সার্জেন্টের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে কাশিমপুর কারাগারে স্ত্রী ও মেয়েকে দেখতে যাই। বড় মেয়ে সঙ্গে ছিল। মেয়ে বলেছে, বাবা ওরা আমাকে বেধড়ক মারপিট করেছে, চুলের মুঠি ধরে মাথায় আঘাত করেছে, ব্যথায় রাতে ঘুমাতে পারিনি। জ্বর চলে এসেছে। তাদের ওষুধ কিনে দিয়ে এসেছি। জেলখানায় চিকিৎসাসহ অন্যন্য খরচের জন্য টাকা দিয়ে এসেছি। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।
কী ঘটেছিল
পুলিশ বলছে, ব্যাংক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ি রং পার্কিং করা ছিল। এ কারণে সার্জেন্ট মামলা দিয়েছে। আর সেই কারণে সার্জেন্টের গায়ে হাত তুলেছে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী ও মেয়ে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম বলেন, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মেয়ে তাফসিয়া গাড়ি নিয়ে মোহম্মদপুর শিয়া মসজিদের মোড়ে যায়। সেখানে একটি জিম (ব্যামাগার) রয়েছে। চলন্ত অবস্থায় কিছুটা গতি থামিয়ে ওই জিমের সামনে মেয়েকে নামিয়ে দেন চালক কামাল হোসেন। এরপর চালক ইউটার্ন নেন। এ সময় সার্জেন্ট হাসিনা নো পার্কিংয়ের মামলা দেন। অথচ গাড়ি পার্কিং করা ছিল না। ওইখানে পার্কিং এর জায়গাও নেই। বিষয়টি চালক তাকে জানালে তিনি চালক কামাল হোসেনকে গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যেতে বলেন।
মফিজুল ইসলাম বলেন, চালক গাড়ি নিয়ে বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী দিলারা খাতুনকে জানালে তিনি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তখন তার মেয়ে তাসফিয়া জিমে ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে নারী সার্জেন্টের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তার মেয়ে নিচে নেমে আসে। তিনি জানতে পেরেছেন, তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে নারী সার্জেন্ট এর সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। তখন মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হিঁচড়ে ট্রাফিক বক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেয়ের সঙ্গে তার স্ত্রীকেও আটকে রাখা হয়। ট্রাফিক বক্সের মধ্যে তাদের মারপিট করা হয়।
তাসফিয়ার বড় বোন তানজিলা বলেন, খবর পেয়ে তিনি শিয়া মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখেন তাসফিয়া ও তার মাকে শিয়া মসজিদ ট্রাফিক বক্সের ভেতর আটকে রাখা হয়েছে। তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কারাগারে তাসফিয়া তাদের ওপর পুলিশের হামলা ও নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন। ‘ট্রাফিক বক্সে আটকে রেখে মারধর করার পর পোশাক পরা এক পুলিশ সদস্য তার (তাসফিয়া) মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে বলেন, ‘গুলি করে মেরে ফেলব।’ পুলিশের পোশাক পরা নেই, এমন কয়েকজন যুবক তাদের অকথ্য গালাগাল করেন।’
জানতে চাইলে পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান, রং পাকিংয়ের কারণে পুলিশ মামলা দিয়েছে। তারা পুলিশের গায়ে হাত দিয়েছে। যেই নারী সার্জেন্ট এর গায়ে হাত দিয়েছে সেই মামলা করেছে। এখন মামলা হওয়ায় তারা নানা রকম কথা বলছে। তাদের অভিযোগ সত্য নয়। সবকিছু ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে।
সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন যা বলেছেন
ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসিনা খাতুন গণমাধ্যমে বলেন, অবৈধ গাড়ি পার্কিংয়ের অভিযোগে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেয়ার পর দিলারা আক্তার ছুটে এসে উত্তেজিত হন। এ সময় তাকে বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। কিন্তু এরই মধ্যে তাসফিয়া এসেই বলেন, ‘আমার গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দিলি কেন?’ এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাসফিয়া তার মুখমন্ডলে আঘাত করেন। তখন তাসফিয়ার মা-ও তাকে আক্রমণ করেন। তখন তিনি একাই দুজনকে ধরে পুলিশ বক্সে এনে আটকে রাখেন। সেখানে তিনি বা অন্য কেউ মা ও মেয়েকে মারধর করেননি। এর তথ্য প্রমাণ তার কাছে আছে।