ওয়ারীতে কাভার্ড ভ্যানের নিচে প্রাইভেটকার
৮ নভেম্বর বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে দুই ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মহিউদ্দিন (৩০)। ছেলেরা তখন জানতে চেয়েছিল, তিনি কখন বাসায় ফিরবেন। ফিরতে কিছুটা দেরি হবে, তাই ছেলেদেরকে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলেছিলেন মহিউদ্দিন। দুই ছেলের সঙ্গে এমন কথোপকথনের মাত্র কয়েক মিনিট পর মহিউদ্দিনের স্ত্রীর ফোনে কল দেয় পুলিশ এবং জানায়, মহিউদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ওয়ারীর হাটখোলা রোডে মালবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান মহিউদ্দিনের প্রাইভেটকারের ওপর কাত হয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এমন খবরে মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে মহিউদ্দিনের পরিবারে। যেন আকাশ ভেঙে পড়লো স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর। তাৎক্ষণাৎ তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিউদ্দিনের স্ত্রী ও দুই সন্তান। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারীর হাটখোলা রোডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে প্রাইভেটকারের ওপরে কাত হয়ে পড়া কাভার্ডভ্যানটি সরিয়ে চালকের আসন থেকে মহিউদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ বের করে আনে। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা দুজন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মহিউদ্দিনের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। বাবার নাম মো. তোফাজ্জেল। স্ত্রী আর্জু বেগম ও ২ ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মগবাজার নয়াটোলায়। নিহতের স্ত্রী আর্জু বেগম জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেটকার নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মহিউদ্দিন। সেদিন ঢাকা থেকে ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে বরিশাল যান। আবার বুধবার বরিশাল থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। দুপুরে ও সন্ধ্যায় ফোনে এমনটি জানিয়েছেন মহিউদ্দিন। দুই যাত্রী নিয়ে ওয়ারী পর্যন্ত চলে এসেছেন। দুর্ঘটনার মিনিট দশেক আগে স্ত্রী ও দুই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহিউদ্দিন। তখন ছেলেরা জানতে চেয়ছিল, তার বাসায় ফিরতে কতো সময় লাগবে। কিছুটা দেরি হবে জানিয়ে দুই ছেলেকে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলেন মহিউদ্দিন। এর ঠিক কিছুক্ষণ পর পুলিশ কল করে জানায়, আমার স্বামী আর জীবিত নেই। কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন আর্জু বেগম। তিনি জানান, মহিউদ্দিন ২০ বছর ধরে প্রাইভেটকার চালাতেন। নিজস্ব গাড়ি ছিল না। বছর খানেক আগে ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে প্রাইভেটকারটি কিনেছিলেন মহিউদ্দিন। নিজেই ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতেন।
তবে ঘটনার পরপরই কাভার্ডভ্যান চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। ওয়ারী থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভারী স্টিলের তিনটি রিং নিয়ে যাচ্ছিল কাভার্ডভ্যানটি। রিং গুলো ঠিকমতো বাঁধা হয়নি। চাকার মতো করে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল চালক। এগুলোর ধাক্কায় কাভার্ডভ্যানটির স্কেল ভেঙে যায়। রাতের বেলায় সেটি নজরে আসেনি চালক-হেলপারের। কাভার্ডভ্যানটি হাটখোলা রোডের দুর্ঘটনাস্থলে জাম্প করে। এতে পাশের দরজা ভেঙে প্রাইভেটকারের ওপর একটি ১৩ টন ওজনের রিং পড়ে। কাভার্ডভ্যানটিও কাত হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নিহতের পরিবার মামলা করেছে। তবে ঘটনায় জড়িত চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।
ওয়ারীতে কাভার্ড ভ্যানের নিচে প্রাইভেটকার
বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩
৮ নভেম্বর বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১১টার দিকে দুই ছেলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন মহিউদ্দিন (৩০)। ছেলেরা তখন জানতে চেয়েছিল, তিনি কখন বাসায় ফিরবেন। ফিরতে কিছুটা দেরি হবে, তাই ছেলেদেরকে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলেছিলেন মহিউদ্দিন। দুই ছেলের সঙ্গে এমন কথোপকথনের মাত্র কয়েক মিনিট পর মহিউদ্দিনের স্ত্রীর ফোনে কল দেয় পুলিশ এবং জানায়, মহিউদ্দিন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ওয়ারীর হাটখোলা রোডে মালবোঝাই একটি কাভার্ডভ্যান মহিউদ্দিনের প্রাইভেটকারের ওপর কাত হয়ে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এমন খবরে মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে মহিউদ্দিনের পরিবারে। যেন আকাশ ভেঙে পড়লো স্ত্রী ও সন্তানদের ওপর। তাৎক্ষণাৎ তারা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। কান্নায় ভেঙে পড়েন মহিউদ্দিনের স্ত্রী ও দুই সন্তান। বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারীর হাটখোলা রোডে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে প্রাইভেটকারের ওপরে কাত হয়ে পড়া কাভার্ডভ্যানটি সরিয়ে চালকের আসন থেকে মহিউদ্দিনের রক্তাক্ত মরদেহ বের করে আনে। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা দুজন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মহিউদ্দিনের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলায়। বাবার নাম মো. তোফাজ্জেল। স্ত্রী আর্জু বেগম ও ২ ছেলেকে নিয়ে থাকতেন মগবাজার নয়াটোলায়। নিহতের স্ত্রী আর্জু বেগম জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে প্রাইভেটকার নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মহিউদ্দিন। সেদিন ঢাকা থেকে ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে বরিশাল যান। আবার বুধবার বরিশাল থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। দুপুরে ও সন্ধ্যায় ফোনে এমনটি জানিয়েছেন মহিউদ্দিন। দুই যাত্রী নিয়ে ওয়ারী পর্যন্ত চলে এসেছেন। দুর্ঘটনার মিনিট দশেক আগে স্ত্রী ও দুই ছেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মহিউদ্দিন। তখন ছেলেরা জানতে চেয়ছিল, তার বাসায় ফিরতে কতো সময় লাগবে। কিছুটা দেরি হবে জানিয়ে দুই ছেলেকে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলেন মহিউদ্দিন। এর ঠিক কিছুক্ষণ পর পুলিশ কল করে জানায়, আমার স্বামী আর জীবিত নেই। কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন আর্জু বেগম। তিনি জানান, মহিউদ্দিন ২০ বছর ধরে প্রাইভেটকার চালাতেন। নিজস্ব গাড়ি ছিল না। বছর খানেক আগে ১০ লাখ টাকা লোন নিয়ে প্রাইভেটকারটি কিনেছিলেন মহিউদ্দিন। নিজেই ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করতেন।
তবে ঘটনার পরপরই কাভার্ডভ্যান চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। ওয়ারী থানা পুলিশ জানিয়েছে, ভারী স্টিলের তিনটি রিং নিয়ে যাচ্ছিল কাভার্ডভ্যানটি। রিং গুলো ঠিকমতো বাঁধা হয়নি। চাকার মতো করে বসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল চালক। এগুলোর ধাক্কায় কাভার্ডভ্যানটির স্কেল ভেঙে যায়। রাতের বেলায় সেটি নজরে আসেনি চালক-হেলপারের। কাভার্ডভ্যানটি হাটখোলা রোডের দুর্ঘটনাস্থলে জাম্প করে। এতে পাশের দরজা ভেঙে প্রাইভেটকারের ওপর একটি ১৩ টন ওজনের রিং পড়ে। কাভার্ডভ্যানটিও কাত হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মজিবর রহমান জানান, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নিহতের পরিবার মামলা করেছে। তবে ঘটনায় জড়িত চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।