সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে যশোরের বেনাপোলের বিজিবির দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২০ সালের ২ মে যশোরের বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিল বিজিবি। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে তাকে বেনাপোল থানায় সোপর্দ করে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ ।
এ ছাড়া ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি মামলা হয়। ওই তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পরে হাই কোর্টের আদেশে সেসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ওই সময় বলেছিলেন, সাংবাদিক কাজলকে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক এবং অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করে। ওই মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।
একই ঘটনায় পরদিন ওসমান আরা বেলী হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন এবং ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা কামরাঙ্গীরচর থানায় আরও দুটি মামলা করেন। পরে তিন মামলাতে শুধু কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন।
মামলা হওয়ার পরদিন ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপহরণ মামলা করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে ‘অপহরণ’ করেছে।
প্রায় দুই মাস পর ২০২০ সালের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়।
যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর ২০২০ সালের জুন মাসে কাজলকে ঢাকায় এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে নভেম্বর মাসে তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান।
২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে যশোরের বেনাপোলের বিজিবির দায়ের করা মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে কাজলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০২০ সালের ২ মে যশোরের বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছিল বিজিবি। এরপর অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে তাকে বেনাপোল থানায় সোপর্দ করে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ ।
এ ছাড়া ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায়ও তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিনটি মামলা হয়। ওই তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। পরে হাই কোর্টের আদেশে সেসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান ওই সময় বলেছিলেন, সাংবাদিক কাজলকে রঘুনাথপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটক এবং অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে থানায় হস্তান্তর করে। ওই মামলায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেলকেন্দ্রিক কারবারে ‘জড়িতদের’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ২০২০ সালের ৯ মার্চ মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় প্রথম মামলাটি দায়ের করেন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি সাইফুজ্জামান শিখর।
একই ঘটনায় পরদিন ওসমান আরা বেলী হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন এবং ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা কামরাঙ্গীরচর থানায় আরও দুটি মামলা করেন। পরে তিন মামলাতে শুধু কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছিলেন।
মামলা হওয়ার পরদিন ১০ মার্চ বকশিবাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপহরণ মামলা করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে ‘অপহরণ’ করেছে।
প্রায় দুই মাস পর ২০২০ সালের ২ মে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় বিজিবি। তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ আনা হয়।
যশোর থেকে ঢাকায় আনার পর ২০২০ সালের জুন মাসে কাজলকে ঢাকায় এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে নভেম্বর মাসে তিনি হাই কোর্ট থেকে জামিন পান।
২০২১ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানার তিন মামলায় কাজলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন।