alt

নগর-মহানগর

দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাজুক : মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একবারে তলানিতে। ভয়ংকর অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি গত জানুয়ারি মাসে বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তারের (১৯) সাথে ঘটে যাওয়া অমানবিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গর্ভবতী মেঘলাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়।

রোগীর অবস্থা খারাপ হলে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রæত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। সেখানে মেঘলা ও তার নবজাতক সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক । এমন ঘটনা থেকেই বোঝা যায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতোটা নাজুক বলে মন্তব্য করেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভ‚মিকা বিষয়ক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশনের সা¤প্রতিক বিষয়ে কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংস্থাটির পরিচালক কাজী আরফান আশিক। স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কমিশন সচিব সেবাষ্টিন রেমা।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিত-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। তিনি বলেন, ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জন্য নিপীড়িত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের সংখ্যা সহস্রাধিক।

গত বছরের শেষার্ধে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ২৮২টি অভিযোগ পেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ সব অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩০টি অভিযোগ, ১২৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ সময়ে কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে ৫১টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে। এর মধ্যে ১২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। কার্যক্রম চলমান রয়েছে ৩৯টি অভিযোগের।

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানতে আমরা গণমাধ্যমের সহায়তাই নিয়ে থাকি। আমার স্বপ্রণোদিত হয়ে যেসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছি তা গণমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করেই।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশনের ক্ষমতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা আমরা অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায় এসেছে, এমন ঘটনাও আছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমার দুই সহকর্মী (সাগর-রুনি) হত্যার শিকার হয়েছে, তাদের সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছানো হয়েছে। এমন আরো অনেক ঘটনায় বলতে পারি আমাদের মানবাধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। মানবাধিকার নিশ্চিতে সকলের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সংকুচিত এবং ততটাই ঝুঁকিতে।’

আনোয়ারুল হক বলেন, ‘মানবাধিকতার ইস্যুতে বিশেষায়িত সাংবাদিকতার বিকাশ জরুরি। সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষারও প্রয়োজন। আমরা এসব কিছু নিয়েই মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কমিশন, গণমাধ্যম এবং সিভিল সোসাইটিকে মানবাধিকার নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বায়তুল মোকাররমে কঠোর নিরাপত্তা

কারফিউ পুরোপুরি তুলে না নেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

ছবি

জনজীবনে স্বস্তি, রাজধানীতে যানজট

ছবি

স্বাভাবিকতার পথে নগরজীবন

ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রামপুরায় বিটিভি ভবনে অগ্নিকাণ্ড

ছবি

বাড্ডায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ, একজন নিহত

ছবি

মেট্রোরেলের মিরপুর অংশে চলাচল বন্ধ

ছবি

বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে পুলিশের রাবার বুলেট ও ছররা গুলিতে আহত অনেকে

ছবি

উত্তাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, যান চলাচল বন্ধ

ছবি

মিরপুর-১০ রণক্ষেত্র, আ.লীগের সমাবেশ পণ্ড

ছবি

রামপুরা পুলিশ বক্সে আগুন, সড়কে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ছবি

সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া

ছবি

সহিংসতা পরিহার করুনঃ পুলিশ সদর দপ্তর

ছবি

ঢাকার শনির আখড়ায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ, শিশুসহ ৬ জন গুলিবিদ্ধ

ছবি

ঢাকায় কোটা সংঘর্ষে নিহত ২ঃ পুলিশ বলছে দায় আন্দোলনকারীদের

ছবি

আজ গায়েবানা জানাজা ও কফিন মিছিল কর্মসূচি

ছবি

সায়েন্সল্যাবে কলেজ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

ছবি

"তাণ্ডবের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশের মোতায়েন"

ছবি

"কোটা আন্দোলন: ঢাকা মেডিকেলের সামনে সংঘর্ষ ও হাত বোমা বিস্ফোরণ"

রাজধানীতে গ্যাস সংকট, চুলা জ্বলে না বাসাবাড়িতে

ছবি

ডিএনসিসির চিঠি, ‘আতঙ্কে’ গরুর খামারিরা

ছবি

চার দফা দাবিতে রাজধানীতে হরিজন সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি

প্রবল বর্ষণে রাজধানীতে বিদ্যুতায়িত হয়ে চার শ্রমজীবীর মৃত্যু

৫ বছর পড়ে আছে ৩৮ কোটির সিজেএম ভবন

ছবি

কোটাবিরোধী আন্দোলন: শিক্ষার্থীদের নামে পুলিশের মামলা

ছবি

সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি, ভাসছে ঢাকা

ছবি

বেবিচক এর মাঠ পর্যায়ের কার্যালয়সমূহের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনু্ষ্ঠান

ছবি

‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দিল শিক্ষার্থীরা

ছবি

আত্মসাত মামলা: ইউনূসের আবেদনের রায় ২১ জুলাই

ছবি

এসি নষ্ট, আকাশে ৩৭ মিনিট উড়ে ঢাকায় ফিরল বিমান

ছবি

কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হরিজনদের ওপর হামলার অভিযোগ

ছবি

বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরামের নেতৃত্বে সবুজ-কাওসার

ছবি

বিসিএস ও মেডিকেল প্রশ্নফাঁসকারীদের বিচার চায় জবি শিক্ষার্থীরা

ছবি

কোটা : ঢাবির পর এবার জবি শিক্ষার্থীদের জিরো পয়েন্ট অবরোধ

ছবি

বাংলা ব্লকেডে’ অচল সড়ক, মেট্রোতে উপচেপড়া ভিড়

ছবি

কোটা : স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ আপিল বিভাগের

tab

নগর-মহানগর

দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাজুক : মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ০২ এপ্রিল ২০২৪

দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা একবারে তলানিতে। ভয়ংকর অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

তিনি গত জানুয়ারি মাসে বামনার ডৌয়াতলা কলেজ রোডে অবস্থিত সুন্দরবন হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেঘলা আক্তারের (১৯) সাথে ঘটে যাওয়া অমানবিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, গর্ভবতী মেঘলাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে মেঘলার ভুল চিকিৎসা হয়।

রোগীর অবস্থা খারাপ হলে জীবিত নবজাতক সন্তানকে ফের মায়ের পেটে ঢুকিয়ে দ্রæত বরিশালে নিতে বলেন চিকিৎসকরা। সেখানে মেঘলা ও তার নবজাতক সন্তানকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক । এমন ঘটনা থেকেই বোঝা যায় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতোটা নাজুক বলে মন্তব্য করেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভ‚মিকা বিষয়ক মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশনের সা¤প্রতিক বিষয়ে কার্যক্রম উপস্থাপন করেন সংস্থাটির পরিচালক কাজী আরফান আশিক। স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন কমিশন সচিব সেবাষ্টিন রেমা।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিপ্রেক্ষিত-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ বোরহান কবীর। তিনি বলেন, ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টের তথ্য অনুযায়ী গত বছর বিশ্বজুড়ে ৯৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। সংবাদ প্রকাশের জন্য নিপীড়িত, নির্যাতিত সাংবাদিকদের সংখ্যা সহস্রাধিক।

গত বছরের শেষার্ধে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ২৮২টি অভিযোগ পেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ সব অভিযোগের মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৩০টি অভিযোগ, ১২৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তির বিষয়ে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ সময়ে কমিশন স্বপ্রণোদিত হয়ে ৫১টি অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছে। এর মধ্যে ১২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে। কার্যক্রম চলমান রয়েছে ৩৯টি অভিযোগের।

কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক।

সভাপতির বক্তব্যে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মুক্ত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সুরক্ষা একে অন্যের পরিপূরক। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানতে আমরা গণমাধ্যমের সহায়তাই নিয়ে থাকি। আমার স্বপ্রণোদিত হয়ে যেসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করেছি তা গণমাধ্যমের খবরের ওপর ভিত্তি করেই।’

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশনের ক্ষমতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা আমরা অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে কাজ করি। পুলিশ সদস্যরা শাস্তির আওতায় এসেছে, এমন ঘটনাও আছে।’

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘আমার দুই সহকর্মী (সাগর-রুনি) হত্যার শিকার হয়েছে, তাদের সেই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছানো হয়েছে। এমন আরো অনেক ঘটনায় বলতে পারি আমাদের মানবাধিকার এখনো নিশ্চিত হয়নি। মানবাধিকার নিশ্চিতে সকলের সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রবণতা বেশি, সেখানে গণমাধ্যম তত সংকুচিত এবং ততটাই ঝুঁকিতে।’

আনোয়ারুল হক বলেন, ‘মানবাধিকতার ইস্যুতে বিশেষায়িত সাংবাদিকতার বিকাশ জরুরি। সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষারও প্রয়োজন। আমরা এসব কিছু নিয়েই মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে কাজ করতে চাই। কমিশন, গণমাধ্যম এবং সিভিল সোসাইটিকে মানবাধিকার নিয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’

back to top