বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ নিতে সবধরনের প্রস্তুতি শেষ রাজধানীর রমনার বটমূল। রমনা এলাকা ইতোমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) নানা আয়োজনে বরণ করে নেয়া হবে নতুন বছরকে।
প্রতিবছরের মতো এবারও রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে বৈশাখকে বরণ করে নেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শেষ হলেও বর্ষবরণের মূল আয়োজনের জন্য শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছায়ানটের শিল্পী-কলাকুশলীরা। বাদকরা পরীক্ষা করে নিচ্ছেন তাদের বাদ্যযন্ত্র।
ছায়ানট এর সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। আমাদের শিল্পী-কলাকুশলীরা এখন নববর্ষের অনুষ্ঠানে কাজগুলো ঠিক করে নিচ্ছেন।এবারের নববর্ষের প্রথম প্রভাতে আমরা মানুষের জয়গান করব।
ছায়ানট এর যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায় জানান, এবার আয়োজনে সম্মিলিত গান থাকবে ১১টি, একক গান থাকবে ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তি থাকবে।
বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি, র্যাবের কনট্রোল রুম বসানো হয়েছে। আলাদা প্রবেশ ও নির্গমন পথ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় সোয়াতের মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান এবং দুপুর ১২টায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে যান।
এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি মূর্ত প্রকাশ। সেজন্য এটির ওপর বার বার আঘাত এসেছে, সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যদিও কোনো হামলার শঙ্কা নেই। আমরা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ মিনার, রবীন্দ্র সরণী, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হাতিরঝিলসহ সারা ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠন অনুষ্ঠান করবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যেসকল জায়গায় অনুষ্ঠান হবে প্রত্যেকটি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রোন ভিউ দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া ভিডিও ক্যামেরা থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশের এলাকায় অনুষ্ঠান শুরুর আগে সুইপ করা হবে এসবির ইকুইপমেন্ট এবং ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দ্বারা। ইতিমধ্যে এই কাজগুলো শুরু হয়ে গেছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে, তারা ইতিমধ্যে মহড়া করেছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা পার্ক এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই। নববর্ষের দিনে নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু কিছু জায়গায় যানবাহন ডাইভারশন করা হবে। রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করতে হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। র্যাব সদর দপ্তর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। গোয়েন্দা ও সাইবার টিমের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের নাশকতার তৎপরতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত আছে।
শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন বছর ১৪৩১ বঙ্গাব্দকে বরণ নিতে সবধরনের প্রস্তুতি শেষ রাজধানীর রমনার বটমূল। রমনা এলাকা ইতোমধ্যে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (১৪ এপ্রিল) নানা আয়োজনে বরণ করে নেয়া হবে নতুন বছরকে।
প্রতিবছরের মতো এবারও রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনে বৈশাখকে বরণ করে নেয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শেষ হলেও বর্ষবরণের মূল আয়োজনের জন্য শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে ছায়ানটের শিল্পী-কলাকুশলীরা। বাদকরা পরীক্ষা করে নিচ্ছেন তাদের বাদ্যযন্ত্র।
ছায়ানট এর সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা গণমাধ্যমকে বলেন, এখন শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছি। আমাদের শিল্পী-কলাকুশলীরা এখন নববর্ষের অনুষ্ঠানে কাজগুলো ঠিক করে নিচ্ছেন।এবারের নববর্ষের প্রথম প্রভাতে আমরা মানুষের জয়গান করব।
ছায়ানট এর যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায় জানান, এবার আয়োজনে সম্মিলিত গান থাকবে ১১টি, একক গান থাকবে ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তি থাকবে।
বর্ষবরণের আয়োজনকে ঘিরে নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি, র্যাবের কনট্রোল রুম বসানো হয়েছে। আলাদা প্রবেশ ও নির্গমন পথ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় সোয়াতের মহড়াও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএমপি কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান এবং দুপুর ১২টায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম রমনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে যান।
এসময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, নববর্ষের এই অনুষ্ঠান বাঙালি জাতিসত্তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার একটি মূর্ত প্রকাশ। সেজন্য এটির ওপর বার বার আঘাত এসেছে, সহিংস হামলা হয়েছে, জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেজন্য সবকিছু মাথায় রেখেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যদিও কোনো হামলার শঙ্কা নেই। আমরা সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি, সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
তিনি আরও বলেন, রমনা বটমূল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ মিনার, রবীন্দ্র সরণী, আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, হাতিরঝিলসহ সারা ঢাকায় বিভিন্ন সংগঠন অনুষ্ঠান করবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এসব অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যেসকল জায়গায় অনুষ্ঠান হবে প্রত্যেকটি জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রোন ভিউ দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
তিনি বলেন, এছাড়া ভিডিও ক্যামেরা থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশের এলাকায় অনুষ্ঠান শুরুর আগে সুইপ করা হবে এসবির ইকুইপমেন্ট এবং ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দ্বারা। ইতিমধ্যে এই কাজগুলো শুরু হয়ে গেছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে, তারা ইতিমধ্যে মহড়া করেছে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রমনা পার্ক এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই। নববর্ষের দিনে নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু কিছু জায়গায় যানবাহন ডাইভারশন করা হবে। রোববার বিকাল ৫টার মধ্যে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করতে হবে।
র্যাবের মহাপরিচালক খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতৃপ্তিতে ভুগছি না। র্যাব সদর দপ্তর থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে। গোয়েন্দা ও সাইবার টিমের মনিটরিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের নাশকতার তৎপরতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত আছে।