সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত ওই চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।
“এই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে।“
সেহেলা পারভীন ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়; তাদের তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, ওই চক্রটির সন্ধান পেয়ে পুলিশ ১ এপ্রিল মিরপুরের পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন-বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারি ফয়সাল।
“অভিযানে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করা হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্ল্যাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা, গুরুত্বপূর্ণ দলিল পাওয়া যায়।”
হারুন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া শামসুজ্জামান ও ফয়সালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকা থেকে ‘গড়াই সার্ভে ইন্সটিটিউটের’ পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে প্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনজেনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কলির দেওয়া জবানবন্দিতে চেয়াম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রীর নাম আসে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন।
পুলিশ এরপর শামসুজ্জামান, ফয়সাল ও কলির ব্যবহৃত ডিভাইস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমানকে এবং শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান এবং সানজিদা আক্তার কলির ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক রয়েছে।
তাদের মধ্যে ‘অর্থ লেনদেন হত’ জানিয়ে হারুন বলেন, “সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেটগুলোকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করত, তাই ধরা পড়ার সম্ভবনা থাকতো না। এছাড়া তারা হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে টাকা বিনিময়ের তথ্য আদান প্রদান করত।“
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রোববার, ২১ এপ্রিল ২০২৪
সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।
অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত ওই চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের ‘প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।
“এই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে।“
সেহেলা পারভীন ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়; তাদের তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ।
রোববার (২১ এপ্রিল) রাজধানীতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, ওই চক্রটির সন্ধান পেয়ে পুলিশ ১ এপ্রিল মিরপুরের পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন-বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারি ফয়সাল।
“অভিযানে তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করা হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্ল্যাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা, গুরুত্বপূর্ণ দলিল পাওয়া যায়।”
হারুন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া শামসুজ্জামান ও ফয়সালের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকা থেকে ‘গড়াই সার্ভে ইন্সটিটিউটের’ পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে প্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনজেনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
কলির দেওয়া জবানবন্দিতে চেয়াম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রীর নাম আসে বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন।
পুলিশ এরপর শামসুজ্জামান, ফয়সাল ও কলির ব্যবহৃত ডিভাইস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমানকে এবং শুক্রবার যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান এবং সানজিদা আক্তার কলির ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্ক রয়েছে।
তাদের মধ্যে ‘অর্থ লেনদেন হত’ জানিয়ে হারুন বলেন, “সিস্টেম অ্যানালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেটগুলোকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করত, তাই ধরা পড়ার সম্ভবনা থাকতো না। এছাড়া তারা হোয়াটঅ্যাপের মাধ্যমে টাকা বিনিময়ের তথ্য আদান প্রদান করত।“
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরো ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।