সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের তালিকা চেয়েছে উচ্চ আদালত। একইসাথে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব অথবা স্থানীয় সরকারসচিবকে নামের তালিকা হলফনামা আকারে আগামী ১৩ মে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছেন কিছু ব্যক্তি এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত করছেন এই মর্মে ‘বিক্রি হচ্ছে ঢাকার ফুটপাত’ শিরোনামে ২০২২ সালের আগস্টে একটি সংবাদ প্রচারিত হলে, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের বিষয়ে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন এবং দখলকারীদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি ২২ এপ্রিল আদালতে তুলে ধরেন রিট আবেদনকারীপক্ষ। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা এবং ফুটপাত দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেওয়া পদক্ষেপের অগ্রগতি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ২৯ এপ্রিল (আজ) প্রতিবেদন দিতে বলেন। সে অনুসারে আজ বিষয়টি ওঠে।
আজ আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষ থেকে আজ হলফনামা দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২১ মে ওই কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) ড. মলয় চৌধুরীকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত বছরের ২৪ আগস্ট কমিটির সভা হয়। সভার আলোচ্যসূচিতে ফুটপাতে দোকান বসানো, দখলের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে রাজউক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে বিদ্যমান ওয়াকওয়ে ও ফুটপাতের তালিকা এবং অবৈধভাবে তা দখলের তালিকা দাখিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অপর সিদ্ধান্তে ফুটপাত ভাড়া ও বিক্রির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও রাজউককে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত অবৈধভাবে দখল ও বিক্রি করার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তাদের তালিকা চেয়েছে উচ্চ আদালত। একইসাথে দখলকারীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তাও জানাতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্রসচিব অথবা স্থানীয় সরকারসচিবকে নামের তালিকা হলফনামা আকারে আগামী ১৩ মে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ফুটপাত বিক্রি ও ভাড়া দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করছেন কিছু ব্যক্তি এবং জনগণের স্বাভাবিক চলাচল বিঘিœত করছেন এই মর্মে ‘বিক্রি হচ্ছে ঢাকার ফুটপাত’ শিরোনামে ২০২২ সালের আগস্টে একটি সংবাদ প্রচারিত হলে, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে। ওই রিটের বিষয়ে হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন এবং দখলকারীদের তালিকা ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়টি ২২ এপ্রিল আদালতে তুলে ধরেন রিট আবেদনকারীপক্ষ। সেদিন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ঢাকার ফুটপাত দখল ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা এবং ফুটপাত দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেওয়া পদক্ষেপের অগ্রগতি জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে ২৯ এপ্রিল (আজ) প্রতিবেদন দিতে বলেন। সে অনুসারে আজ বিষয়টি ওঠে।
আজ আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের পক্ষ থেকে আজ হলফনামা দাখিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বছরের ২১ মে ওই কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) ড. মলয় চৌধুরীকে কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। মলয় চৌধুরীর সভাপতিত্বে গত বছরের ২৪ আগস্ট কমিটির সভা হয়। সভার আলোচ্যসূচিতে ফুটপাতে দোকান বসানো, দখলের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে রাজউক ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে বিদ্যমান ওয়াকওয়ে ও ফুটপাতের তালিকা এবং অবৈধভাবে তা দখলের তালিকা দাখিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। অপর সিদ্ধান্তে ফুটপাত ভাড়া ও বিক্রির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ও রাজউককে নির্দেশনা দেওয়া হয়।