গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগী মারা গেছেন। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী। গতকাল সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
মমতাজের ভাই শাহদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমি রোগী নিয়ে ১১ তলা থেকে ৪ তলায় আসার পথে লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ৪৫ মিনিট (পৌনে এক ঘণ্টা) লিফটের ভেতরে রোগী নিয়ে আটকা পড়ি। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে লিফট ফাঁকা করে আমাদের বের করেন। বের হওয়ার আগেই আমাদের রোগী মারা যান।’
মমতাজের মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মা সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৬টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে জানা যায় হার্টে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে ১১ তলা থেকে চারতলায় হৃদরোগ বিভাগে নেয়ার কথা বলে।
লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, আমার মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিন জন লিফটম্যানের নম্বরে কল দিই। তারা গাফিলতি করেন। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪৫ মিনিট আমরা ভেতরে অবস্থান করেছি। উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিই। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।’ গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসনিন জাহান বলেন, ‘লিফটের ভেতরে একজন রোগী মারা গেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’
হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে চারতলায় নেয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকে থাকা সবাই সুস্থ ছিলেন, কিন্তু উনি অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কারও গাফিলতি আছে কিনা, সেটি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত ৪ মে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জিল্লুর রহমান (৭০) হাসপাতালের ১২ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে। ওই দিন দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের ১২ তলায় মেডিসিন বিভাগের পাশের বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই লিফটে এক রোগীর মৃত্যু হলো।
রোববার, ১২ মে ২০২৪
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হঠাৎ লিফট বন্ধ হয়ে মমতাজ বেগম (৫৩) নামে এক রোগী মারা গেছেন। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার বাড়িগাঁও গ্রামের শারফুদ্দিনের স্ত্রী। গতকাল সকাল ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
মমতাজের ভাই শাহদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘আমি রোগী নিয়ে ১১ তলা থেকে ৪ তলায় আসার পথে লিফট হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। ৪৫ মিনিট (পৌনে এক ঘণ্টা) লিফটের ভেতরে রোগী নিয়ে আটকা পড়ি। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে লিফট ফাঁকা করে আমাদের বের করেন। বের হওয়ার আগেই আমাদের রোগী মারা যান।’
মমতাজের মেয়ে শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মা সকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল ৬টায় হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সেখানে জানা যায় হার্টে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। পরে ১১ তলা থেকে চারতলায় হৃদরোগ বিভাগে নেয়ার কথা বলে।
লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, আমার মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিন জন লিফটম্যানের নম্বরে কল দিই। তারা গাফিলতি করেন। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪৫ মিনিট আমরা ভেতরে অবস্থান করেছি। উপায় না পেয়ে ৯৯৯-এ ফোন দিই। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে।’ গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হাসনিন জাহান বলেন, ‘লিফটের ভেতরে একজন রোগী মারা গেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’
হাসপাতালের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ থেকে চারতলায় নেয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকেন। পরে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে উদ্ধার করেন। লিফটে আটকে থাকা সবাই সুস্থ ছিলেন, কিন্তু উনি অসুস্থ থাকায় মারা গেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হবে। কারও গাফিলতি আছে কিনা, সেটি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গত ৪ মে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা জিল্লুর রহমান (৭০) হাসপাতালের ১২ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মারা যান। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামের কাসেম আলীর ছেলে। ওই দিন দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের ১২ তলায় মেডিসিন বিভাগের পাশের বিদ্যুৎ রক্ষণাবেক্ষণ কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার রেশ না কাটতেই লিফটে এক রোগীর মৃত্যু হলো।