alt

নগর-মহানগর

ফোন করে বলে ‘ও তো আমার লোক’ কিশোর গ্যাং আটক প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ১২ মে ২০২৪

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফোনে কিশোর গ্যাংয়ের আটকদের মধ্যে কাউকে কাউকে ছেড়ে দিতে হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, আমরা যখন কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে আটক করি, তখন কেউ ফোন করে বলে, ‘ও তো আমার লোক, সে মাদক ব্যবসা করে না।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কিশোর অপরাধের ধরন ও কারণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের তাৎপর্য বিবেচনা করছি। বিভিন্ন সমাবেশে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে আমরা পুলিশের সদস্যরা উঠেপড়ে লেগেছি। কিশোরদের বিষয়টি নিয়ে অনেক সময় কিছুটা কনফিউশান তৈরি হয়।

ইউনিসেফ বলছে, ১০-১৯ বছরের মধ্যে ছেলেমেয়েরা এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার আমাদের সংবিধানে ১৬ বছর বলা আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকাল বাচ্চারা সাত বছর বয়সেই ম্যাচুরিটি অর্জন করে ফেলছে। কিশোর গ্যাং বিভিন্ন নাম দিয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, প্রত্যেক এলাকায় যদি আমাদের লোক পাঠাই যে এরা কারা। সেখানে পোশাকের ধরন দেখলেই বোঝা যাবে এরা কারা। এক সময় আমরা দেখতাম রজনৈতিক নেতারা বস্তির ছেলেদের সস্তায় মিছিলে নিতেন, তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতেন। এখন কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে, কারণ বস্তির সংখ্যা কমে গেছে। আমরা সমাজের প্রতিটি রন্ধে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে কিশোর গ্যাংয়ের জন্য যে শুধু তারা দায়ী তা নয়, একটি বড় ভাই গ্রুপ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি বলেন, পারিবারিক শিক্ষাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটি সঠিকভকবে হচ্ছে না বলে অপরাধ বাড়ছে। আমরা যখন কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে আটক করি, তখন কেউ ফোন করে বলে, ‘ও তো আমার লোক, সে মাদক ব্যবসা করে না।’ আবার তারা অনেক সময় এমনভাবে তদবির করে, দলের সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রীদের মতো প্রভাবশালীদের গিয়ে বলে, ‘ডিবি তো আমাদের লোকদের ধরে নিয়ে গেছে।’ ওনারা যখন আমাদের ফোনটা করেন, তখন আমরা ভাবি এখন কথা না রাখলে তো পরে মাইন্ড করবে। অনেক সময় আমরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। সব সময় যে ছাড়ি তাও নয়।

ছবি

ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্যক্তিগত নজরদারি মৌলিক অধিকার হরণ করে: টিআইবি

ছবি

নৈতিক খবরদারির উচ্চ কণ্ঠস্বর মোকাবিলায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান

ছবি

চামড়া শিল্পের সংকট নিরসনে গণমাধ্যমের করণীয়— বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরে ৩ প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্ঠকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ

ছবি

গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিমের তিন ঘণ্টার বেশি সময়

ছবি

নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ভয়াবহতা অতীতের সব মাত্রা ছাড়িয়েছে: মহিলা পরিষদ

পৃথক মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আইজিপির রিমান্ড মঞ্জুর

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সাবেক এমপি গোলাপের ৯টি বাড়ির ‘সন্ধান পেয়েছে’ দুদক, মামলা

ছবি

খিলক্ষেতে ধর্ষণ অভিযুক্ত কিশোরকে জনতার পিটুনি, পুলিশের ওপর হামলা

ছবি

তরুণদের জলবায়ু নেতৃত্ব ও অ্যাডভোকেসির সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কর্মশালা

ছবি

নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ না করার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ

ছবি

সরকার পতন আন্দোলনে জড়িত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত

ছবি

ডিবি হেফাজতে যুবকের মৃত্যুতে এমএসএফের উদ্বেগ

ছবি

সালমান এফ রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোভিড টিকা কেনায় অনিয়মের অভিযোগ

ছবি

বকেয়া বেতনের আশ্বাসে রেলভবন ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার

ছবি

শব্দচয়ন বিতর্কে সমালোচনার মুখে দুঃখপ্রকাশ করলেন ডিএমপি কমিশনার

ছবি

রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড

ছবি

কেরানীগঞ্জে ৪ বছরের শিশুকে নির্যাতন চেষ্টার অভিযোগ, ১১ বছরের শিশু আটক

ছবি

ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের

ছবি

কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও বারিধারা ডিওএইচএস থেকে গাড়ি চুরি

ছবি

গণমাধ্যমকে ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহারে সতর্ক থাকার অনুরোধ ডিএমপি কমিশনারের

ছবি

সিপিবি কার্যালয় ঘিরে পুলিশ, পিনাকীর ‘দখলের’ ঘোষণায় উত্তেজনা

ছবি

অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের দাফন সম্পন্ন

ছবি

ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রাঃ ১২ জনের নামে পুলিশের মামলা, অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জন আসামি

ছবি

ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে ডিএমপির অনুমতি বাধ্যতামূলক

ছবি

চিকিৎসকদের : চার দফা দাবিতে লংমার্চে পুলিশের বাধা

ছবি

বৃহস্পতিবার ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আশকোনা-উত্তরখান এলাকায়

ছবি

মহাখালীতে গভীর রাতে পুড়ল সাত তলা বস্তি

ছবি

উপাধ্যক্ষ সাইফুর হত্যা: রহস্য ঘনীভূত, সন্দেহভাজন দম্পতি গ্রেপ্তার

ছবি

সাগর-রুনি হত্যা মামলা: শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ফারজানা রূপাকে

ছবি

সাবেক উপাচার্য আব্দুস সোবহানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ছবি

পঙ্গু হাসপাতালে কর্মীদের সঙ্গে ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সংঘর্ষ

ছবি

বনানী সড়কে শ্রমিকদের অবরোধ প্রত্যাহার

ছবি

বনানীতে দুর্ঘটনার জেরে সড়ক অবরোধ, রাজধানীতে তীব্র যানজট

ছবি

ভোরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার থানা পরিদর্শন: আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর নির্দেশ

tab

নগর-মহানগর

ফোন করে বলে ‘ও তো আমার লোক’ কিশোর গ্যাং আটক প্রসঙ্গে ডিবি প্রধান

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ১২ মে ২০২৪

প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফোনে কিশোর গ্যাংয়ের আটকদের মধ্যে কাউকে কাউকে ছেড়ে দিতে হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, আমরা যখন কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে আটক করি, তখন কেউ ফোন করে বলে, ‘ও তো আমার লোক, সে মাদক ব্যবসা করে না।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কিশোর অপরাধের ধরন ও কারণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

হারুন অর রশীদ বলেন, কিশোর গ্যাং নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের তাৎপর্য বিবেচনা করছি। বিভিন্ন সমাবেশে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের কারণে আমরা পুলিশের সদস্যরা উঠেপড়ে লেগেছি। কিশোরদের বিষয়টি নিয়ে অনেক সময় কিছুটা কনফিউশান তৈরি হয়।

ইউনিসেফ বলছে, ১০-১৯ বছরের মধ্যে ছেলেমেয়েরা এ ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আবার আমাদের সংবিধানে ১৬ বছর বলা আছে। সবকিছু বিবেচনা করে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আজকাল বাচ্চারা সাত বছর বয়সেই ম্যাচুরিটি অর্জন করে ফেলছে। কিশোর গ্যাং বিভিন্ন নাম দিয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় আধিপত্য বিস্তার করছে।

ডিবিপ্রধান বলেন, প্রত্যেক এলাকায় যদি আমাদের লোক পাঠাই যে এরা কারা। সেখানে পোশাকের ধরন দেখলেই বোঝা যাবে এরা কারা। এক সময় আমরা দেখতাম রজনৈতিক নেতারা বস্তির ছেলেদের সস্তায় মিছিলে নিতেন, তাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতেন। এখন কিন্তু পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে, কারণ বস্তির সংখ্যা কমে গেছে। আমরা সমাজের প্রতিটি রন্ধে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে কিশোর গ্যাংয়ের জন্য যে শুধু তারা দায়ী তা নয়, একটি বড় ভাই গ্রুপ তাদের নিয়ন্ত্রণ করে।

তিনি বলেন, পারিবারিক শিক্ষাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেটি সঠিকভকবে হচ্ছে না বলে অপরাধ বাড়ছে। আমরা যখন কিশোর গ্যাংয়ের কাউকে আটক করি, তখন কেউ ফোন করে বলে, ‘ও তো আমার লোক, সে মাদক ব্যবসা করে না।’ আবার তারা অনেক সময় এমনভাবে তদবির করে, দলের সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রীদের মতো প্রভাবশালীদের গিয়ে বলে, ‘ডিবি তো আমাদের লোকদের ধরে নিয়ে গেছে।’ ওনারা যখন আমাদের ফোনটা করেন, তখন আমরা ভাবি এখন কথা না রাখলে তো পরে মাইন্ড করবে। অনেক সময় আমরা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। সব সময় যে ছাড়ি তাও নয়।

back to top