কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর আয়োজনে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে ‘ডাকা হয়নি’ সাংবাদিকদের। সেমিনারটিতে গণমাধ্যমের স্মার্ট কৃষির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হলেও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তাদের দেয়া তালিকায় বিভিন্ন পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর খামারবাড়িতে এআইএস কনফারেন্স রুমে এই সেমিনারের প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। সভায় সভাপতিত্ব করবেন এআইএস পরিচালক সুরজিত সাহা রায়। বিশেষ অতিথি রাখা হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাসকে।
জানাগেছে, সেমিনারে ৮১ জনের দাওয়াতের তালিকায় পত্রিকার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিদের নাম রয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর পরিচালক সুরজিত সাহা রায় নিজে এই তালিকা ঠিক করেছেন।
এ ঘটনায় কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে গতকাল দুপুরে কৃষি সাংবাদিকদের কয়েকজন সুরজিত সাহার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি এর দায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়ার উপর দেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে থেকে সাংবাদিকদের তালিকা দেয়া হয়েছে। এখানে আমার কিছুই করার ছিল না।’
পরবর্তীতে, নতুন করে শুধু বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটিকে তালিকায় যুক্ত করেন তিনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘কৃষি সাংবাদিকদের তালিকা এআইএসকে দেয়া আছে। গতবছর সে তালিকা অনুযায়ী তারা দাওয়াত (আমন্ত্রণ) দিয়েছে। এ বছর আমি দেশে না থাকায়, সে তালিকা অনুযায়ী দাওয়াত দেয়ার কথা ছিল এআইএসের সঙ্গে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের দাওয়াত দিয়েছে, তাদের তালিকা কোথায় পেয়েছে আমার জানা যাই।’
এআইএস পরিচালক সুরজিত সাহা রায়ের বিরুদ্ধে নানা ‘অনিয়ম দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এরপর থেকে তিনি কৃষি সাংবাদিকের এড়িয়ে চলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এআইএস এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিচালক নিজেই সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করেছেন। তিনি সবসময় মূলধারার সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলেন।’
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের কৃষিবিষয়ক সাংবাদিকরা জানান, ৮১ জনের তালিকায় মাত্র ছয়-সাত জন গণমাধ্যম কর্মী নাম আছে, তাও তারা বিজ্ঞাপন বিভাগে কাজ করেন।
এ বিষয়ে এআইএস পরিচালক সুরজিত সাহা রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তালিকা সংশোধন করেছি। ভুলবশত বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রতিনিধিদের নাম তালিকায় এসেছে, তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এখানে আমাদের খারাপ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’
বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর আয়োজনে ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে ‘ডাকা হয়নি’ সাংবাদিকদের। সেমিনারটিতে গণমাধ্যমের স্মার্ট কৃষির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হলেও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
তাদের দেয়া তালিকায় বিভিন্ন পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাম দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর খামারবাড়িতে এআইএস কনফারেন্স রুমে এই সেমিনারের প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার। সভায় সভাপতিত্ব করবেন এআইএস পরিচালক সুরজিত সাহা রায়। বিশেষ অতিথি রাখা হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) বাদল চন্দ্র বিশ্বাসকে।
জানাগেছে, সেমিনারে ৮১ জনের দাওয়াতের তালিকায় পত্রিকার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধিদের নাম রয়েছে। কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর পরিচালক সুরজিত সাহা রায় নিজে এই তালিকা ঠিক করেছেন।
এ ঘটনায় কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে গতকাল দুপুরে কৃষি সাংবাদিকদের কয়েকজন সুরজিত সাহার সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তিনি এর দায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়ার উপর দেন। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ে থেকে সাংবাদিকদের তালিকা দেয়া হয়েছে। এখানে আমার কিছুই করার ছিল না।’
পরবর্তীতে, নতুন করে শুধু বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী কমিটিকে তালিকায় যুক্ত করেন তিনি।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘কৃষি সাংবাদিকদের তালিকা এআইএসকে দেয়া আছে। গতবছর সে তালিকা অনুযায়ী তারা দাওয়াত (আমন্ত্রণ) দিয়েছে। এ বছর আমি দেশে না থাকায়, সে তালিকা অনুযায়ী দাওয়াত দেয়ার কথা ছিল এআইএসের সঙ্গে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের দাওয়াত দিয়েছে, তাদের তালিকা কোথায় পেয়েছে আমার জানা যাই।’
এআইএস পরিচালক সুরজিত সাহা রায়ের বিরুদ্ধে নানা ‘অনিয়ম দুর্নীতির’ অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এরপর থেকে তিনি কৃষি সাংবাদিকের এড়িয়ে চলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এআইএস এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পরিচালক নিজেই সাংবাদিকদের তালিকা তৈরি করেছেন। তিনি সবসময় মূলধারার সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলেন।’
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের কৃষিবিষয়ক সাংবাদিকরা জানান, ৮১ জনের তালিকায় মাত্র ছয়-সাত জন গণমাধ্যম কর্মী নাম আছে, তাও তারা বিজ্ঞাপন বিভাগে কাজ করেন।
এ বিষয়ে এআইএস পরিচালক সুরজিত সাহা রায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তালিকা সংশোধন করেছি। ভুলবশত বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রতিনিধিদের নাম তালিকায় এসেছে, তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এখানে আমাদের খারাপ কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।’