আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের যে মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযুকাত হয়েছেন সে মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
এমামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে।
এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ওই অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের শুনানির পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, জাল জালিয়াতি করে ডকুমেন্ট সৃজন করে শ্রমিকদের জন্য সেটেলড ৪৩৭ কোটির মধ্যে ২৬ কেটি টাকা তারা সরিয়েছিলেন। জাল ডকুমেন্ট তৈরি করেছিলেন তা ব্যবহার করেছিলেন নিজে লাভবান হওয়ার জন্য। যে সব গ্রাউন্ডে এ মামলায় ড. ইউনুস, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী নেতা, তাদের আইনজীবীসহ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তা বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন বিচারক। মামলায় যেসব অভিযোগ রয়েছে তা সাক্ষ্য প্রমাণের ব্যাপার, সে কারণে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ মামলায় যেসব ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা রয়েছে। এ ধারার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। অপরাধ প্রমাণিত হলে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সম্পত্তি বা কোনো সম্পত্তির উপর কর্তৃত্বের ভারপ্রাপ্ত কেউ সম্পত্তির বিষয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন হয়েছে, সেই ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে এ মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হতে পারে।
বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের যে মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযুকাত হয়েছেন সে মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
এমামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ঠিক করে দিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে।
এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ওই অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে আসামিদের বিরুদ্ধে। দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ গঠনের শুনানির পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, জাল জালিয়াতি করে ডকুমেন্ট সৃজন করে শ্রমিকদের জন্য সেটেলড ৪৩৭ কোটির মধ্যে ২৬ কেটি টাকা তারা সরিয়েছিলেন। জাল ডকুমেন্ট তৈরি করেছিলেন তা ব্যবহার করেছিলেন নিজে লাভবান হওয়ার জন্য। যে সব গ্রাউন্ডে এ মামলায় ড. ইউনুস, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির শ্রমিক-কর্মচারী নেতা, তাদের আইনজীবীসহ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তা বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন বিচারক। মামলায় যেসব অভিযোগ রয়েছে তা সাক্ষ্য প্রমাণের ব্যাপার, সে কারণে চার্জ গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ মামলায় যেসব ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে, তার মধ্যে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা রয়েছে। এ ধারার সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন। অপরাধ প্রমাণিত হলে ড. ইউনূসের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সম্পত্তি বা কোনো সম্পত্তির উপর কর্তৃত্বের ভারপ্রাপ্ত কেউ সম্পত্তির বিষয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের যে ধারায় অভিযোগ গঠন হয়েছে, সেই ধারায় অপরাধ প্রমাণিত হলে এ মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ ১২ বছর এবং সর্বনিম্ন চার বছরের সাজা হতে পারে।